বিং হিউম্যান ত্রিদিব রায় কে?
- একজন রাজাকার।
শুধুই কি তাই?
- উঁহু। পাকিস্তানকে সমর্থন দেবার পাশাপাশি এই লোক সশস্ত্র একটি বাহিনী গঠনে সহায়তা করেছে পাকিস্তানীদের এবং একই সাথে মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় প্রত্যক্ষ সহায়তা করেছে।
বলেন কি?
- শুধু তাই নয়, আবার আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশ ঘুরে ফিরে পাকিস্তানীদের পক্ষ হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রচারনাও চালিয়েছে। অর্থাৎ, একজন আন্তর্জাতিক রাজাকার।
তা তিনি এখন কোথায়?
- পরাপারে। ধরাধমের মায়া ত্যাগ করেছেন অল্প কিছুদিন আগেই।
তা এতদিন কোথায় ছিলেন? এর নামও তো শুনিনি এতদিন।
- একাত্তরের পর থেকে এই প্রকৃত পাকিস্তানপ্রেমী ছিলেন পাকিস্তানেই। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু জাতীয়তা বাতিল করে তার।
ভুট্টো আবার এই ব্যক্তিকে অত্যন্ত আনন্দের সাথে বুকে টেনে (ছবিতে দেখুন) আজীবন মন্ত্রীত্ব দিয়েছেন পাকিস্তানের। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর গোলামের মত রাজাকাররা ফিরে এলেও ত্রিদিব সাহেব পাকিস্তানেই রয়ে জান।
সম্প্রতি উনাকে নিয়ে এত শোরগোল কেন?
- কারণ সারা জীবন পাকিস্তান থাকলেও এখন এই যুদ্ধাপরাধী রাজাকারকে আনা হচ্ছে এই দেশে, তার মরদেহ সৎকারে। যেই লোক বেঁচে থাকতে নিজ থেকে বাংলাদেশের দেশের মাটি চাননি সেই লোককে এখন এনে কেনই বা এদেশের মাটি এবং সেই লোকের মৃত আত্মা উভয়কেই কষ্ট দেওয়া?
আরো কিছু?
- তাছাড়া যেখানে আমাদের বীরশ্রেষ্ঠদের লাশ দেশে আসতে সময় লাগে ৩৭ বছর সেখানে যুদ্ধাপরাধের বিচার চলার মত সঙ্কটময় এই মুহুর্তে তড়িঘড়ি একজন কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীর লাশ দেশে এনে সসম্মানে সমাহিত করা অন্য ধরনের প্রশ্ন জাগাতে পারে জনমনে, যার সুযোগ নিতে পারে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র।
আসলেই তো।
তা এখন কী করা উচিত আমাদের?
- প্রতিবাদে নামতে হবে মাঠে। বাংলার মাটি দূষিত হোক চাইনা মোটেও। তাই আসুন আগামীকাল ১২টায় প্রেসক্লাবে। চট্টগ্রামের বন্ধুরা চলে আসুন আন্দরকিল্লায় ১১টা ৩০-এ। আর হ্যাঁ, শেয়ার করতে ভুলবেন না এই নিউজ।
কারণ বঙ্গবন্ধুর বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।