শুধু আওয়াজ নয়, চিৎকার চাই.... বগুড়ার ঘটনাটা নিয়ে এত মাতামাতি করার কি হইসে? হ্যাঁ? দেশে গত ২-৩ সপ্তাহে এত্তগুলা ধর্ষনের ঘটনা ঘটে গেলো, যার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভিকটিম হলো শিশুরা, তখন তো এত মাতামাতি দেখি নাই? তখন সবাই ঘোমটার আড়ালে মুখ লুকায়া ছিলো ক্যান? হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া প্রতিবাদ করতে দেখি নাই কাউরে, অনলাইন মিডিয়া দায়সারা ভাবে নিউজ সারসে, প্রিন্ট মিডিয়ার ভেতরের পাতায় চিপা থেইকা খুইজা নিউজ বাইর করতে হইসে। তখন কই ছিলো সমাজ নিয়া চিন্তা? ধর্ষক ধরা পড়লো কিনা তা নিয়া তোমাগো টেনশন দেখি নাই কোন, আজ কয়েকটা জুটিরে ধরসে দেইখা খুশিতে লাফাইতেসো? বগুড়া জামাতের একটা বড়সড় ঘাঁটি। কাদের মোল্লার যখন রায় হয় তখন বগুড়ায় সপ্তাহখানেক হরতাল ছিলো, গনজাগরনরে মিডল ফিংগার দেখায়া সে হরতাল পালিতও হইসে। তো সেই বগুড়ায় খোদ শহরের ভেতর এই জুটিরা অসামাজিক কাজ করতে ছিলো, এই কথা বুঝাও তোমরা আমাগোরে, না? ছবি কথা বলে, ছবির দিকে তাকায়া দেখো একবার, মেয়েগুলার ড্রেসআপ দেখো। তারা বোরকা-হিজাব পইরা ওইখানে অসামাজিক কাজ করতেছিলো, না? ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান রুমীরে কই, তোমার নামের থেকে রুমী নামটা বাদ দেও। রুমী বাংলাদেশের গর্বের নাম, তোমার নামের সাথে তার নাম শোভা পায় না। তোমারে কোন চুদির ভাই ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নিয়োগ দিছে? ম্যাজিস্ট্রেট কি এখন ধর্মীয় গোঁড়ামির ভিত্তিতে নিয়োগ হয়? সারা জীবন পড়াশোনা কইরা বিসিএস দিয়া এই শিখসো? পারলে একটা ধর্ষকরে গ্রেফতার কইরা দেখো দেখি, কেমন মুরোদ তোমার!!! কয়দিন পরে দেখা যাইবো রাস্তা দিয়া ভাইবোন হাইটা যাইতেসে, ম্যাজিস্ট্রেট আইসা ধইরা নিয়া যাইবো থানায়। সেখানে প্রুভ করতে হইবো, তারা ভাইবোন, তারপর মুচলেকা দিয়া ছাড়া পাইবো। দেশটা হেফাজতে ইসলামীর হাতে যাইতে আর কত দেরী, পাঞ্জেরী? আমার ভাবতে অবাক লাগে, এই ম্যাজিস্ট্রেটরে সাপোর্ট দেয়ার লোকও কম নাই দেশে। আফসোস! যেই দেশের মানুষ কোন ধর্ষকের গ্রেফতার কিংবা শাস্তির দাবি করার চাইতে কিছু প্রেমরত মানব-মানবীর গ্রেফতারকে প্রাধান্য দেয়, আমি সেই দেশে বাস করি! একটা জাতির মানসিক বিকারগ্রস্থ হইতে আর কত দেরী, পাঞ্জেরী?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।