আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘আপনাদেরই ঢাকা ছাড়তে হবে’

রোববার মতিঝিলে শাপলা চত্বরে সমাবেশে বক্তারা বলেন, সৈয়দ আশরাফ সন্ধ্যার মধ্যে তাদের ঢাকা ছাড়তে বলেছেন। তবে দাবি পূরণ না করে তারা ফিরবেন না।  
এ পর্যায়ে সমাবেশ স্থলে উত্তেজনা দেখা দিলে মঞ্চ থেকে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি হেফাজত আমির আল্লামা আহমদ শফি কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও কর্মীদের আশ্বস্ত করতে দেখা যায়।
সমাবেশে একজন বক্তা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা বলছি- আজ রাতের পর আপনারা কোন পথে পা বাড়াবেন তা ভেবে দেখুন।

রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, আল্লাহর জমিনে শহীদের রক্তের বিনিময়ে নবীজির ইজ্জতকে হেফাজত করেই ফিরবো।
প্রয়োজনে মতিঝিলে আরো একমাস অবস্থান নিয়ে সমাবেশ চালিয়ে যাবেন বলে জানান হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী।
এর আগে বিশৃঙ্খলা না করে সমাবেশ শেষ করে ঢাকা ছাড়তে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সরকার বরদাশত করবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি। আশরাফ বলেন, “এবার ঢাকায় আসতে দিয়েছি, ভবিষ্যতে ঢাকায় আসতেও দেব না, ঘর থেকে বের হতে দেব না।


হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ দাবি পূরণ না হলে ঢাকায় অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, যতই হুমকি ধমকি দেয়া হোক, দাবি পূরণ না করে তারা ঢাকা ছাড়বেন না।
রোববার সমাবেশে যোগ দেয়া হেফাজতকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন পরিবহন শ্রমিক নিহত হন। হেফাজতকর্মীরা আগুন দিয়েছে পল্টনে সিপিবি ভবনের নিচতলায় বহু দোকানে।
দুপুরে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর ঢাকার প্রবেশ পথে অবস্থান নেয়া হেফাজতকর্মীরা মতিঝিলে শাপলা চত্বরে জড়ো হতে শুরু করেন। অবশ্য এর আগেই যাত্রাবাড়িতে অবরোধের সৃষ্টি করা হেফাজতকর্মীদের একটি অংশ মতিঝিলে অবস্থান নিয়ে রেখেছিলেন।


মতিঝিলে আগে থেকে অবস্থান নেয়া হেফাজত কর্মীদের একটি অংশ বেলা ১২টার দিকে পল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দিলে বায়তুল মোকররম মসজিদের সীমানার ভেতরে রাখা পুলিশের দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা।
হেফাজতে ইসলাম জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জোহরের নামাজের পর রাস্তায় সমাবেশে করার অনুমতি চাইলেও শনিবার তার অনুমতি পায়নি। রোববার পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, হেফাজতে ইসলামকে শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
ব্লগারদের শাস্তি ও নারীনীতি বাতিলসহ ‘বিতর্কিত’ ১৩ দফা দাবিতে সরকারকে চূড়ান্ত চাপ দিতে হেফাজতে ইসলামের অবরোধে ভোর থেকে সারাদেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রাজধানী।


রোববার ভোরে ফজরের নামাজের পরপরই ১৩ দফা দাবিতে হেফাজতকর্মীরা টঙ্গী ব্রিজ, যাত্রাবাড়ির কাজলা, ডেমরা, বাবুবাজার ব্রিজ, পোস্তগোলা ব্রিজ, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারের আমিনবাজার ও গাবতলীতে অবস্থান নেয়। তাদের ঢাকার কেন্দ্রে আসা ঠেকাতে বিভিন্ন স্থান ব্যারিকেডও দেয় পুলিশ।
ফজরের নামাজের পরপরই অবরোধ করে ঢাকা 'বিচ্ছিন্ন' করে ফেলা হেফাজতের নেতাকর্মীরা অবশ্য পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হলেও ঢাকায় সমাবেশ করার হুঁমকি দিচ্ছিলেন। প্রয়োজনে দুই-তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ারও কথা জানান হেফাজতকর্মীরা।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।