আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাবণ্য

লাবণ্য আমি তাকে ভালবাসতাম,ভালবাসি আর ভালবাসব। হয়ত সারা জীবন এমনি করইে কাটয়িে দবি। হয়ত কখনও এই ভালবাসার কমতি হবে না আবার হলওে হতে পার। েকনে না আজ যে আমার জীবন তোমার ভালবাসাকে ঘরিে যতটা না ব্যস্ত থাক,েতার থকেে যান্ত্রকি শহররে যান্ত্রকিতাকে নয়িে অনকে বশেি ব্যস্ত থাক। েহয়ত না থাকলওে চলত কন্তিু তোমাকে ভালবাসার মত যান্ত্রকিতার ব্যস্ততাকওে যে ভালবাস।

িকনেনা আজ যে আমি কায়কি শ্রমচালতি কোন যন্ত্ররে পরচিালক। কন্তিু তোমার কোথাও তো আমার স্থান নইে!তবুও তোমায় ভালবাস। ি হয়ত তোমার ইচ্ছা শক্তরি প্রাধন্যতার বলইে আজ তুমি কোন কংক্রটিরে গড়া পাহাড়-তুল্য ঐতহ্যি-ধারি প্রাসাদ। েকন্তিু আমার তো আর ঐতহ্যি খাটে না তাই এই নগররে নাগরকিরে কুঁড়ে ঘররে পাশইে মাথা গুজছেি আমায় নয়ি। েতাই তো আজ তোমায় হারয়িে ফলেওে তোমার সুখরে মাঝে আমি আনন্দ পাই,আর আমার প্রতকিূলতার মাঝে তোমাকে ভালবাস।

িকনেনা আমি চাইনি তোমাকে এই প্রতকিূলতায় জড়াত। ে কখনও ভাবি নি এই কথাগুলো সবাইকে জানাব। যদি বুঝতে পারতাম তবে আগে থকেইে ভাষা র্চচা করতাম,গুছয়িে লখিার অভ্যসে করতাম। কন্তিু না,মনে হল,মনরে কথা যখন মন থকেইে লখি। িভাষা র্চচার কী দরকার?আর ভুল হলে আশা করি আপনাদরে ক্ষমা আমার প্রাপ্য।

সদেনি প্রথম দখেলাম তোমায় লাবণ্য। একরাশ কালো চুল কপাল বয়েে কানরে পছেনে আটকানো। আর তুমি ক্লাসরে র্ফাস্ট বঞ্চেতিে বসে আছো। বঞ্চে এর উপর থকেে পা ঝোলাচ্ছ আর তোমার বন্ধুদরে কাঁধে হাত রখেে কথা বল্ছ। বয়স তখন আমার আনুমানকি চার কি পাঁচ বছর।

কন্তিু ভালবাসা জনিসিটা কী বোঝতে না পারলওে তোমাকে দখেে ভালো লাগা টা বোঝতে পরেছেলিাম। মন থকেে কনে জানি বন্ধু বলে ডকেছেলিাম। আর হয়ত তাই পরদনি ই তোমার হাত ধরে এক সাথে স্কুলরে বারান্দায় হটেছেলিাম। জানি না তোমার মনে পড়ে কি না?তুমি আমাকে নয়িে অনকে হাসত,েআমায় তোমার ভালো লাগার কথাগুলো বলত,েআর আমার কাছ থকেওে কছিু শোনতে চাইত। েআজ হঠাৎ মনে পড়ল আমি অনকে মন ভুলো।

কন্তিু তাতে কী?তোমায় তো ভুলতে পারনি। িজানো আজ আমার যা দখেে হাসি পায়,তা দখেে তুমি অনকে আগইে হসেছে। আর যা দখেে আমি অনকে আগে কষ্ট পয়েছে,িতা যদি তুমি আজ দখে হয়ত কষ্টই পাব। েঅনকে খোঁজছেি কন্তিু তোমার আমার মাঝে মলি কোথাও পাইন। ি সদেনি যখন ক্লাস ভুলে গয়িে আমি কাঁদতে কাঁদতে সারা,তখন তুমইি তো দখেয়িছেলিে এই পথহারারে তারা।

একটু কবতিার সুরে হয়ে গলে তাই না?তাতে কী?জীবন তো আমার কবতিাই। কবদিরে ছন্দে আর তোমার রূপলাবণ্যইে তো আমার বাস। আচ্ছা বাদ দাও ওসব কথা। জানো কষ্ট পয়েছেি অনকে ঠকি,কন্তিু কখনও বোঝতে পারনি,িহয়ত তুমি পাশে পাশে ছলিে বল। েকন্তিু আসল কষ্টটা তো সদেনি পয়েছেলিাম যদেনি তোমাকে আর স্কুলে খােঁজে পলোম না।

জানুয়াররি র্ফাস্ট উইক্। নতুন ক্লাসে র্ভতি হলাম কন্তিু তোমাকে আর পলোম না। আর যখন সদেনি দূরে চলে গলে,েসদেনি বোঝতে পারলাম তোমাকে ভালবসেে ফলেছে। িকন্তিু আফসোস তোমাকে বলা হল না। আর দখো হল না তোমার সাথ।

েভাবলাম তোমাকে হয়ত হারয়িইে ফলেছে। ি প্রায় চার বছর পর হঠাৎ আবার তোমার সাথে দখো আমাদরে পাড়ায়। মনে আছে তোমার?কি সুন্দর লাগছলি তোমায়। ভাবলাম এই বুঝি না বল্লইে নয়। সাহস করে যইে তোমাকে ডকেে পাঠালাম ওমনি আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে কাঁপতে লাগল।

বোঝতে পারলাম না তোমায় কি বলব?তাই আজও মনে পড়,েএকটাই কথা তোমাকে বলছেলিাম,“ভাল আছ?”তুমি উত্তর দলিে কি না মনে পড়ে না,কন্তিু আমি আর কছিু শোনতে পলোম না। শুধ দখেলাম,কপাল খোচকে চলে গলে। েতখন কনে জানি মনে হল তুমি আর আমার নও। কন্তিু মানুষ যে আশায় বাধে বাসা,স্বপ্ন তাদরে নশো। তাই আমাতে কনে ভন্নি হব?েআমওি তোমাকে পাওয়ার স্বপ্ন দখেতে লাগলাম।

যখন কলজেে তোমায় পলোম,অনুভূুতটিা ঠকি ব্যক্ত করতে পারব না আবার লখিতওে পারব না। শুধু এতটুকুই বলা যায়,“পুরানো প্রমে হল জাগ্রত তোমার পরশ,েফরিে পাব বলে আজ এসছেি আবার ফরিে ফাগুন। ে” আজও মনে পড়,েআবার যখন তোমায় বলতে গলোম মানসকি প্রস্তুতি ছলি অুঁটট। কন্তিু তোমাকে দখেে আমার সদেনি যমেন ভয় হয়ছেলি সইে বয়টা গলে না। পা কাঁপতে লাগল কন্তিু এবার কথা না বাড়য়িে বলে ফলেলাম।

হয়ত না বলাটাই ভাল ছলি। তোমার মনরে কথা জানতাম না আর নজিকেে অপমানতিও করতাম না। তুমি কাউকে ভালবাস এমনটি জানতাম না। সত্যি বশ্বিাস করো,জানলে হয়ত ভালই বাসতাম না। কন্তিু তুমি আমাকে জানালে না বরং আমাকে তুমি হাস্যকর হংিস্র পশুর সাথে তুলনা করল।

েআমি কি এতটাই হীনমনুষ্য ব্যক্ত?িআমি কি কখন কাউকে ভালবাসতে পারি না?আজ এই মুর্হূতে আমার প্রশ্ন করাটাও অনুচতি। কনেনা এই প্রশ্নরে উত্তর শুধুমাত্র তোমার জানা আছ। েতাহলে তো এই প্রশ্ন বমোনান। কনেনা এই প্রশ্নরে উত্তর তুমি কখন আমায় দাওন,িতবে আজ কনে দবে?ে শোনছেি তোমার নাকি অনকে বড় লোকরে ছলেরে সাথে বয়িে হয়ছে। েরাজরাণীর বশেে সাঁজয়িে তোমার বাবা-মা তোমাকে উৎার করে সব দয়িছেনে।

এমনকি তোমাকইে দান করছেনে কোন এক যোগ্য যর্থাথ পুরুষরে নকিট। তাহলে আজ তোমার সইে উদার মা-বাবা কোথায়?একবার খােঁজ নয়িে দখেছে তারা তোমায় সুখী করে কতটা সুখী আছনে?তারা তো তোমার পছন্দরে বাছাই করা মানুষটরি সাথে তোমার সম্বোন্ধ করয়িছেনে। কন্তিু আজ তাদরে চোখে জল কনে?আর তোমার চোখইে বা জল কনে?তবে কি তুমি সুখী নও তোমার ভালবাসার মানুষটরি সাথ?েআর যদি সুখইে থাকো তাহলে আজ বাইশ বছর পর আমার কাছইে কনে বা এই চঠিি জানতে পার?ি চঠিটিা আজ আবার পড়লাম লাবণ্য কছিু মনে কর না। তোমায় ছোট করার অভপ্রিায় আমার কখনই ছলি না আর আজও নইে,তাই তো তোমার নামটাই বলনি। িসবার কাছে তুমি লাবণ্য নামইে স্থান পলেে কন্তিু আমার কাছে তো........।

চঠিটিা সবাইকে পড়ইে শোনাইÑ “(তুমি কার জানি না তবে আজ ক্ষণকিরে জন্য না হয় আমার বলইে সম্বোধন করলাম) আমার অভ্র তুমি কমেন আছো আজ আর বলতে পারলাম না। কন্তিু সুখে যে নইে তা দব্বিি বোঝতে পারছ। িআমায় ভালবাসলে কনে?আমায় ভাল না বাসলে আজ তোমায় এতটা কষ্ট করতে হত না। তোমায় কষ্ট দয়িে আমি আজ এতটুকু ভাল নই। আজ আমি উচু দালানরে থাকে কোন পুতুল যার কোন দাম নইে।

যে যভোবে পারছে রাখছ। ে আজ জড় পর্দাথ এ দহে। বজ্ঞিানে জীব এর সঙ্গাকে যদি আজ আবার নতুন করে গড়া হয়তবে এই লাবণ্য নামরে জীবটি বাদ দয়োটাই মানানসই। কনেনা অচতেন এ দহেরে নইে প্রতবিাদওি ক্ষমতা। রবি ঠাকুররে হমৈন্তীর আর কছিু থাক আর না থাক জীবনসঙ্গী আপন ছলি।

কন্তিু আমার এই পৃথবিীতে আপন বলে আর কউে রইল না। হয়ত একদনি হমৈন্তীর মতই না বলে কয়ে চলে যাব। কন্তিু অন্তত তুমি আমায় ভুল বোঝ না। ইতি তোমার অভশিপ্ত লাবণ্য” আমার এই চঠিি পড়ে কছিু বলার ছলি না গো। কন্তিু বশ্বিাস করো আমি তোমায় অভসিম্পাত করনি।

িআমি চাইনি তোমার জীবন এমন হউক। তোমাকে ভালবাসি বলইে হয়ত আজও এই চঠিি পড়ে আমার কুঁড়ে ঘরে নামে র্বষা। কন্তিু তোমার দালানরে ফাঁকে এই র্বষার মৃদু আভাস ছােঁয়ে যাবে কি না জানি না,সত্যি জানি না। শুধু এতটুকু বলার আছে আমায় ক্ষমা করো। কনেনা আজ আমার সম্বল কছিুই নইে যা দয়িে তোমায় নয়িে বাঁচব আর তোমায় দবে মুক্তি এই নরক যন্ত্রনা থকে।

ে এরপর আর কখন তার চঠিি পাইন। িভবেছেলিাম অভাগাটা হয়ত অকালইে অপাত্রে প্রাণ দয়িছেে না হয়তো পচিাশরো ওর প্রাণ নয়িছে। েহয়তো আর দখো হবে না এরকমটাই মনে হয়ছেলি। কন্তিু কি আর্শ্চয!আজ আবার এত বছর পর লাবণ্যকে সরাসরি দখেতে পলোম। দখেলাম সে একা বসে আছে সাদা শাড়ি পড়ে নদীর পাড়।

েআমি তার কাধে হাত দতিইে সে উঠে দাড়াল। তারপর আমায় জড়য়িে ধরে কাঁদতে লাগল। তাকে দখেে বোঝতে পারলাম সইে নরপচিাশটা ওকে মুক্ত করছে। েআর সে নজিওে মুক্তি পয়েছে। েআমি আর কথা বাড়ালাম না।

প্রতক্ষিা যখন শষে হয়ছেে তখন ক্ষণকিরে কনে?চরিতওে তোমার হতে চাই। এই কান্নাই ছলি লাবণ্যরে শষে কান্না। আজ লাবণ্য আমার জীবনসঙ্গী। এত বছর পর তার মন পলোম আর তাকওে পলোম। আজ ক্ষমা করো আমায় লাবণ্য।

অভমিানরে বশে গল্পরে শুরুতে তোমাকে অনকে কটু কথা বলে ফলেছে। িসত্যি বলছি আজও তোমাকে আগরে মতই ভালবাস। ি ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।