আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিল্লী তুমি কোথায়...তুমার খাস দালাল মসিউরের জীবন রক্ষা কর!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ কি শেখ হাসিনা কি মুজিব যতবারই আলীগ ক্ষমতায় এসেছে দেশবাসী দূরে থাকুক সংসদে আলোচনা না করেই ভারতকে অধিকাংশ সময় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে একতরফা সুবিধাদি দিয়ে আসছে। মুজিব তার শাসনামলে ১৯৭২-৭৫ সংসদ ও দেশবাসীকে না জানিয়ে ভারতকে বেরুবাড়ী এবং ফারাক্কা বাধ চালুর অনুমতি দিয়ে দেন। আর আমরা শুনি মুজিব সারা জীবন নাকি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। অথচ পরিণাম বাকশাল ও ৪ টি সংবাদপত্র রেখে বাকী সব নিষিদ্ধ! ১৯৯৬ সালে অতীতের ভুল ত্রুটির ক্ষমা চেয়ে ক্ষমতায় এল মুজিব ও তথাকথিত গণগন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় এসেই পিতার মত দেশবাসী ও সংসদকে অন্ধকারে রেখে ৯৬ এর ডিসেম্বরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়ার সাথে ৩০ বছরের প্রতারণামূলক ফারাক্কা চুক্তি করেন।

তারপর ১৯৯৭ সালে ভারতের পরামর্শে সন্ত্রাসী চাকমাদের সংগঠন শান্তিবাহিনীর সাথে তথাকথিত শান্তিচুক্তি করেন। তখনই ভারত আমাদের সামরিকবাহিনীতে তাদের চামচা তৈরি, যানবাহন ও সমারস্ত্র ঢুকানোর পায়তারা করে। কিন্তু সংসদে ব্রুট মেজরিটি না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। এমনকি ভারতকে স্থল ও সুমুদ্র বন্দর ব্যাবহার করতে দেওয়াও সম্ভব হয়নি। এরপর দেশী ও দিল্লীর চক্রান্তে ২০০৭ সালে ১/১১ নাটক ঘটিয়ে হাসিনার আলীগ মহাজোটের মোড়কে ২০০৮ সালে ব্রুট মেজরিটি নিয়ে ক্ষমতায় আসে।

নির্বচানের আগে বলা হয় তথাকথিত আন্তর্জাতিক ট্রানজিট দিয়ে ভারত, নেপাল, ভুটান ও এমনকি চীনের সাথে বাণিজ্য যোগাযোগ স্থাপন করা গেলে বাংলাদেশ নাকি সিংগাপুর হয়ে যাবে। আসলে এটা ভারতকে একতরফা ট্রানজিটের নামে করিডোর দেওয়ার পায়তারা ছিল। কারণ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর জানা যাচ্ছে যে চীন তো দূর নেপাল ও ভুটানেরও ট্রানজিট পাওয়া চরম অনিশ্চিত। দিল্লী এই বিষয়ে কোন কিছু লিখিত চুক্তি করতে নারাজ। শুধু সেই বছরের পর বছর মৌখিক আশ্বাসই সম্বল।

আর এবারও হাসিনা ২০১০ সালের জানুয়ারীতে দিল্লী গিয়ে কি কি শর্তে তথাকথিত ট্রানজিট ও বন্দর চুক্তি করল তা আজও পরিস্কার নয়। অতীতের মতই দেশবাসী ও সংসদের সাথে আলোচনরা কোন ইচ্ছাই ছিল না হাসিনার। হাসিনাকে এই বিষয়ে সহায়তা করেছে তার দুই গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা রিজভী ও মসিউর। ২০১০ সালে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র ১৯৭২ এর মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির প্রটোকলে ভারতীয় নৌযান হতে টোল দাবী করলে এই ব্যাটা মসিউর বলে "ভারত হতে ফি চাওয়া নাকি অসভ্যতা"! মসিউরের ভাবখানা এমন যে ১৬ কোটি মানুষের অনুমতি ছাড়াই এই বিষয়ে কথা বলা তার বাপের জমিদারী। তাকে এই ক্ষমতা কে দিল? উপরন্ত ভারতীয় যানবাহন বাংলাদেশের উপর দিয়ে গিয়ে রীতিমত ১৬ কোটি মানুষের কষ্টের অর্থে ভর্তূকিও পাচ্ছে; Click This Link আর অন্যদিকে গ্যাস, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ, শেয়ার বাজার, ইউনি পে-ডেষ্টিনি-হল মার্ক এবং পদ্মা সেতুর নির্মাণ প্রক্রিয়ায় সীমাহীন র্দূনীতি করে পুরো দেশের অর্থনীতিটাকেই স্থবির করে দিয়েছে।

হাসিনা ও আলীগের লক্ষ্য হল কি ভাবে ভারতের অন্ধ ভাবে সেবা করবে এবং দেশ ও জনগণের সম্পদ লুটে পুটে খাবে। এখন বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর নির্মাণ ঋণ ছাড় না করায় অবস্থ বেগতিক। কারণ এর চেয়ে কম সুদে ও সহজ ব্যাবস্থায় আর কেউ ঋণ দিবে না। নিজেদের সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ২৪-২৫ হাজার কোটি টাকাকে ৩ বিলিয়নে কনর্ভাট করা এই সেতুর জন্য সম্ভব নয়। তাতে দেশের আমদানী সহ অন্য আর্থিক ব্যাবস্থায় বেঘাত ঘটবে।

যেহেতু বিশ্বব্যাংক অনড় তাই কানাডার এসএনসি লাভালিনকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কেলেংকারীতে মসিউরকে ছুটিতে চলে যেতে হচ্ছে। তার, আবুল হোসেন এবং হাসিনার ঘনিষ্ঠ জনদের র্দূনীতির জন্যই এই পদ্মা সেতু নির্মাণ দেড়ী হয়ে গেছে। এখন চারিদিকে চোখে অন্ধকার দেখছে মসিউর। তারা যে র্দূনীতিতে জড়িত এই কথা স্বীকার তো দূর উল্টো এখন ন্যাকামু শুরু করছে যে; আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করুন Click This Link ভাবখানা এমন যে সে আসলেই গোবেচারা কোন অপকর্মই করেনি। সেই ২০১০ সালে বহু ভারতীয় নৌ-যান বিনা মাশুলে বাংলাদেশের নদী পথ ব্যাবহার করেছে।

এর পিছনে অবদান এই ব্যাটা মসিউরের। আজকে যখন তার জীবনশংকা তখন দিল্লী কি পারে না তার এই খাস দালারের জীবনটা রক্ষা ও তার মনের অশান্তি দূর করতে!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।