ইচ্ছে করে হারিয়ে যাই তোমার সীমানায়
ভারতের স্বার্থ রক্ষার্থে নির্লজভাবে মিয়ানমার নয়, ভারতের মধ্য দিয়েই এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। দেশের তিন দিকে ভারত হওয়ায় তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা দরকার বলে কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে টেকনাফ না হয়ে বেনাপোল-ঢাকা-সিলেট এবং পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা-ঢাকা-সিলেট এই দু’টি রুটকে বেছে নেয়ার কথা বলা হয়েছে। রুট দু’টি তামাবিলে গিয়ে মিশবে। গতকাল সংসদ সচিবালয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ কথা বলা হয়।
বৈঠকে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রসারতার কথা বিবেচনা করে সংসদীয় কমিটি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে ভারতকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এই হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের ব্যাপারে কমিটির অনাগ্রহ প্রসঙ্গে বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা ব্যবসায়িক দিকটি গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের তিন পাশে ভারত। এ দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের অনেক ধরনের ব্যবসা আছে। তাই ভারত হয়ে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হলে বাংলাদেশ বেশি উপকৃত হবে।
দু’টি রুটের মধ্যে:
প্রথম রুট হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ঢুকে বেনাপোল হয়ে ঢাকা এবং পরে আবারও তা সিলেটের তামাবিল হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসামের মধ্য দিয়ে চলে যাবে।
দ্বিতীয় রুট পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা দিয়ে ঢুকে একইভাবে তা আসামে চলে যাবে।
"টেকনাফ হয়ে কুনমিংয়ের মধ্য দিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্ত হলে আমরা মোটেই উপকৃত হবো না। কারণ কুনমিং এবং চীনের ওই অংশের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য নেই", একথা বলেন একজন সাংসদ। হায়রে আমাদের দূরদর্শিতা!!
এভাবে বাংলাদেশের যে বিকল্প আরেকটি রুট ছিলো তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বা করানো হচ্ছে।
অথচ ভারত কিন্তু ঠিকই যুক্ত হচ্ছে সরাসরি এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে।
তাহলে আপনারাই বলুন, আমরা বর্হিবিশ্বের সাথে যুক্ত হতে চলেছি নাকি ভারতের পেটের মাঝে ঢুকে এশিয়ান হাইওয়ের সাথে যুক্ত হওয়ার নামে তাদেরকে সম্পূর্ন ট্রানজিট সুবিধা দিতে চলেছি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।