কলম চালাই ,এইগুলো লেখার পর্যায়ে পরে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে :) ব্লগের বয়স বছরের উপরে দেখালেও নিয়মিত লিখছি ১৭ আগস্ট ২০১২ থেকে :)
ঘুরে আশুন সেন্ট মার্টিন বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিনে বঙ্গপসাগরের মাঝে অসংখ্য প্রবাল রাশি মিলে মিশে একাকার হয়ে তৈরি করেছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। সাগরের সুনীল জলরাশি আর নারিকেল গাছের সারি এই দ্বীপকে দিয়েছে অপার সৌন্দর্য। বালুকাময় সৈকত, প্রবালের প্রাচীর আর কেয়া গাছের সারি এই দ্বীপকে দিয়েছে আলাদা এক বৈশিষ্ট যা আর কোথাও নেই। উত্তাল সাগরের নোনা জল যখন আছড়ে পরে কেয়া গাছের ফাকে, ঝিরি ঝিরি বাতাসে তৈরি হয় সফেদ ফেনা, সে এক মাতাল করা দৃশ্য। রাতের জোৎসনা এসে যখন লুটোপুটি খায় চিকচিকে বালুর বুকে, নীল আকাশ তখন আরও নীলাভ হয়।
শুনশান নিরব রাতে চারিদিকে শুধু সাগরের হুংকার আর ঢেউ এর আছড়ে পড়ার গর্জন। অসংখ্য নারিকেল গাছ, কেয়া গুল্ম আর সবুজ বনানী এই দ্বীপকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। পুরো দ্বীপ ঘুরলে মনে হবে নারিকেল বাগান এটি। আপনি চাইলে অর্থের বিনিময়ে তৃষ্ণা মেটাতে পারেন নারিকেল জলে। এখানে হাজার তিনেক স্থানীয় লোকজন বসবাস করে।
সিংহভাগই মুসলমান। খুবই ধার্মিক ও সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ এরা। তাই কোন প্রকার চুরি ছিনতাই এর সম্ভাবনা নেই এখানে। গভীর রাত পর্যন্ত আপনি জোৎসনা স্নান করতে পারেন নির্বিঘ্নে। এটি সত্যিই একটি ভিন্ন প্রকৃতির দ্বীপ।
এর একদিকে যেমন প্রবাল প্রাচীর ঘিরে রেখেছে, অন্যে দিকে বালুকাময় সৈকত প্রহর গুনছে আপনার অপেক্ষায়। সমুদ্রজলে অনায়েসেই আপনি করে নিতে পারেন স্নান কাজটি। এই সৈকতের লাল কাকড়া আর নুরি পাথর আপনাকে নিঃসন্দেহে আকৃষ্টে করবে। অবচেতন মনেই আপনি কুড়িয়ে নিবেন বিভিন্ন রং এর আর ঢং এর নুরি পাথর সাথে ঝিনুক খন্ড। টেকনাফ হতে সেন্ট মার্টিন যাত্রাপথটি মন্দ নয়।
গাংচিল আর ডলফিন দেখতে দেখতে এই ২ ঘন্টার ভ্রমনটি আপনি মুহুর্তেই কেটে যাবে। আর দুর সাগরের নীলাভ অথৈ পানির মাঝে যখন সবুজে ঢাকা দ্বীপটি আপনার দৃষ্টিগোচর হবে সারা রাতের দীর্ঘ ভ্রমনের ক্লান্তি দুর হয়ে যাবে নিমিষেই। দ্বীপটি যতই কাছে আসতে থাকে আপনার ব্যকুলতা ততই বাড়তে থাকবে। ইচ্ছে করবে যেন সাগরে ঝাপ দিয়েই চলে চাই সৈকতে। দ্বীপে পা দিয়েই বুঝতে পারবেন এটিকে নিয়ে মানুষ কেন এত মাতামাতি করে, কেনইবা একে বলা হয় সুন্দরের লীলাভূমি।
বাংলাদেশে যতগুলো দৃষ্টনন্দন পর্যটন এলাকা রয়েছে সেন্ট মার্টন তার ভীতর অন্যতম ও নান্দনিক। দ্বীপটি দৈর্ঘে প্রায় ৮ কিলোমিটার এবং প্রস্থে কোথাও ৭০০ মিটার আবার কোথাও ২০০ মিটার। সেন্ট মার্টিন্সের পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিক জুড়ে রয়েছে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার প্রবাল প্রাচীর। দ্বীপের শেষ মাথায় সরু লেজের মত আর একটি অবিচ্ছিন্ন দ্বীপ রয়েছে যার নাম ছেঁড়াদ্বীপ। জোয়ারের সময় পানি এসে এটিকে মূলদ্বীপ হতে বিচ্ছিন্ন করে বলেই এর নামকরন করা হয়েছে ছেঁড়াদ্বীপ।
ভাটার সময় পানি নেমে গেলে এটি আবার মূলদ্বীপের সাতে সংযুক্ত হয়ে যায়। তখন পায়ে হেটেই চলে যাওয়া যায় সেখানে। এখানে কোন লোক বসতি নেই। এই অংশটি একেবারেই প্রবালময়। এখানে স্বচ্ছ জলের নীচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে হাজারো ধরনের প্রবাল।
নানান রংয়ের মাছেরা খেলা করে প্রবালের ফাকে। সত্যিই সে এক দেখার মত দৃশ্য। পর্যটন মৌসুমে সেন্ট মার্টিনে স্কুবা ডাইভও দেওয়া যায়, ঘণ্টা প্রতি খরচ পড়বে ২০০০-২৫০০ টাকা। এখানে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোটেল মোটেল ও কটেজ রয়েছে। সিমানা পেরিয়ে, ব্লু মেরিন, অবকাস, শৈবাল, পর্যটন মোটেল সহ আরও কয়েকটি ভালো হোটেল রয়েছে থাকার জন্য।
রুম প্রতি ভাড়া পড়বে প্রতি রাতের জন্য ৫৫০-১৫০০ টাকা। কটেজগুলোও চমৎকার। কটেজের বারান্দায় বসে চা খেতে খেতেই উপভোগ করতে পারবেন সাগরের মায়াবীরূপ। এখানে বিদ্যুতের কোন ব্যবস্থা নেই। জেনারেটর ও সৌর বিদ্যুতই একমাত্র ভরসা।
এখানে একটি মাত্র বাজার রয়েছে জাহাজ ঘাটে। রয়েছে অনেকগুলো খাবার হোটেল। এখানকার তাজা রুপচাঁদা মাছের ফ্রাই আপনার জ্বীভে জল আনবেই। আপনি চাইলে জেলেদের কাছ থেকে তাজা মাছ কিনে এনে হোটেলে ভেজে নিতে পারেন। আর একটি বিখ্যাত জিনিস এখানে পাবেন, সেটা হলো শুটকী।
নানান প্রজাতী মাছের হরেক রকম শুটকী এখানে পাওয়া যায়। খুব সহজে ও সুলভ মূল্যে এখান হতে শুটকী সংগ্রহ করতে পারেন। এখানে দুই ধরনের পর্যটক বেড়াতে আসে। কেউ কেউ সেন্ট মার্টিন এসে ঐদিনই ফিরে যায়। আবার কেউ কেউ রাত্রি যাপন করে।
যারা দিনাদিনই চলে যায় তাদের দেখার সুযোগ খুব কম। কিন্তু যারা রাত্রিযাপন করেন তাদের জন্য রয়েছে অপার সুযোগ। ইতিহাসঃ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ স্থানীয় ভাবে জাজিরা বলে পরিচিত। এক সময় এই দ্বীপটি ছিল একটি বিশ্রামাগারের মত। বিভিন্ন দেশের বনিক রা বিশেষ করে আরব বনিকরা পন্য নিয়ে যখন সওদা করতে যেতো তখন তারা এই দ্বীপে বিশ্রাম নিত।
তখন থেকেই এই দ্বীপের নাম হয় জাজিরা। তবে পরবর্তীতে এটি নারিকেল জিনজিরাও বলে পরিচিতি লাভ করে। অসংখ্য নারিকেল গাছের সমারোহ থাকায় এই দ্বীপকে এই নামে ডাকা হয়ে থাকে। সর্বশেষে ইংরেজরা এই দ্বীপটির নাম করন করে সেন্ট মার্টিন এবং দেশ বিদেশের মানুষের কাছে এখন পর্যন্ত এই নামেই পরিচিত। তবে সাহিত্যের ভাষায় দারুচিনির দ্বীপ নামটিও বেশ পরিচিত ও জনপ্রিয়।
যাতায়াতঃ ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার থেকে বাসে করে টেকনাফ যাওয়া যাবে। ঢাকার ফকিরাপুল ও সায়দাবাদে টেকনাফের বাস পাওয়া যাবে। ঈগল, মডার্ন লাইন, এসআলম, শ্যামলী ইত্যাদি বাস টেকনাফ যায়। এসি বাস ১১০০ টাকা, নন-এসি ৫৬০ টাকা। ১০-১৩ ঘণ্টা লাগে পৌঁছাতে।
চট্টগ্রাম ও কক্স-বাজার থেকে নিয়মিত বাস পাওয়া যায় টেকনাফ এর উদ্দেশে। কক্স-বাজার থেকে মাইক্রো বাস ভাড়া করেও টেকনাফ যাওয়া যায়, ভাড়া পড়বে ১৫০০-২০০০ টাকা। টেকনাফের জাহাজ ঘাটে গিয়ে আপনাকে সীট্রাকের টিকেট কাটতে হবে। ভাড়া ৪৫০-৫৫০ টাকা (ফেরতসহ)। টেকনাফ হতে সেন্টমার্টিনের দুরত্ব ৯ কিমি।
উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে যেতে হয় এখানে। শীত মৌসুমে সাগর শান্ত থাকে তাই এই সময় এখানে যাওয়া অনেক বেশী নিরাপদ। এই পর্যটন মৌসুমে এখানে টেকনাফ হতে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত কেয়ারী সিন্দবাদ সহ বেশ কয়েকটি সী-ট্রাক চলাচল করে। সকাল ১০ টায় এই নৌযানটি সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং বিকাল ৩ টায় ফিরে আসে। তবে এছাড়াও ট্রলার ও স্পীড বোটে করে যাওয়া যায় সেন্ট মার্টন।
সী ট্রাক গুলো এপ্রিল মাস পর্যন্ত চলাচল করে। এর পর বৈরি আবহাওয়ার কারনে প্রশাসন একে চলতে দেয়না। তবে যারা বৈরি মৌসুমে এডভেঞ্চার হিসেবে যেতে চান সেন্টমার্টিন তারা ট্রলার ভাড়া করে যেতে পারেন। তবে এই যাত্রাটি খুব একটা নিরাপদ নয়। সাধারণত দুর্ঘটনা ঘটে না, তবে ঘটে যেতে পারে।
তাই সাবধান। কিন্তু উত্তাল সাগরের প্রকৃত রূপ দেখা কিংবা নির্জন দ্বীপে বসে বৃষ্টিস্নান করার লোভ যারা সামলাতে না পারেন তাদের জন্য ট্রলার ছাড়া বিকল্প কোন ব্যবস্থা আর নেই, ৮০০ টাকায় ট্রলার ভাড়া করা যাবে অথবা প্রতি জন ১০০ টাকা করে ভাড়া দিয়েও যাওয়া যাবে।
আশেপাশের অন্যান্য এলাকাঃ ছেঁড়াদ্বীপ সেন্ট মার্টিনের মূল অংশ হতে ট্রলার বা স্পীড বোটে করে এখানে আসা যায়। তবে কারো যদি অদম্য শক্তি থাকে তবে সে পায়ে হেটেও আসতে পারেন। সময় লাগবে প্রায় ২ ঘন্টা।
তবে ট্রলারে করে দ্বীপের পাশ ঘেষে আসাটাই শ্রেয়। আসতে আসতে চোখে পরবে দ্বীপের দৃশ্যাবলী। প্রায় ৩০ মিনিট লাগে ট্রলারে কর আসতে। ছেড়া দ্বীপ আসতে চাইলে খুব সকাল করে ঘুম ঠেকে উঠে ট্রলার নিয়ে রওয়ানা দিতে হবে। না হলে পূর্ন জোয়ার হলে দ্বীপটিকে আর ভাল ভাবে দেখা যায় না।
সকালের ছেঁড়াদ্বীপ আর বিকেলের ছেঁড়াদ্বীপ একেবারেরই ভন্ন। সকাল বেলাটা এখানে বেশ লোকারণ্য ও মেলার মত ঝাকজমক থাকে। অসংখ্য পর্যটকের সমাগম থাকে এখানে। বিভিন্ন পন্যের পসরা নিয়ে দোকানীরা বসে থাকে এখানে সকাল হতেই। ডাব আর কোমল পানীয় যেমন আছে তেমন আছে কাকড়া আর ফ্লায়িং ফিস ফ্রাই।
অসাধারণ স্বাদ। এই স্বাদ না নিয়ে আসাটা এক রকম বোকামীই হবে।
রিসোর্ট সম্পর্কিত তথ্যঃ
সমুদ্র , সাদা বালি , কাঁকর , কেয়াবন , ঝাউগাছ আর নীলাকাশ । তার মাঝেই ছোট্ট একটি স্বপ্নপুরী , নাম '' নীল দিগন্ত রিসোর্ট '' । ৫ তারা হোটেলের মত ঝা চকচকে না হলেও , অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়দের পছন্দ হবে জায়গাটি এর চেয়ে বেশি বর্ণনা দিতে চাচ্ছি না , ছবি ই কথা বলবে
যেভাবে যাবেনঃ সেন্ট মার্টিনে যাবার উপায় তো আগেই বলেছি ।
ওখানে পৌঁছে ভ্যান কিংবা নৌকা / স্পীড বোট দিয়ে খুব সহজেই চলে যেতে পারবেন । উদ্দামতা থাকলে হেটেও যেতে পারেন
আরও কিছু তত্থঃ সময় এবং ধৈর্য কোনটাই হচ্ছে না এখন দুঃখিত তাই অনুবাদ না করেই দিয়ে দিলাম ।
Dhaka Office: F. Haque Tower (4th Floor), 107 Bir Uttam C.R Datta Road, Dhanmondi, Dhaka
PH: 01611071071, 01730051005, 01824515859
Enjoy the beauty of St. Martin Island from Neel Digante Resort and discover the music of silence from
the Coral Reef. Neel Digante Resort is a concern of 7 ONE Tours & Resorts Ltd. It’s situated on 8.5
bighas land, just close to the South beach of Water line of the sea. The resorts consist of all kinds of
services & modern facilities such as Bricks cottage, wooden cottage, umbrella cottage, bamboo cottage,
dormitory, restaurant, conference room, lake, observation tower, beach game ground etc. We are
expecting that your next tour will be with us at our resorts.
Cottage Details
Cottage Category Tariff
Local International
Accommodation
Bricks Cottage Tk. 2,500/= $ 38 2/4 Persons
Wooden cottage Tk. 2,000/= $ 30 2/4 Persons
Umbrella Cottage Tk. 1,500/= $ 24 2/4 Persons
Bamboo Cottage Tk. 1,500/= $ 24 2/4 Persons
Dormitory Tk. 3,000/= $ 45 6/12 Persons
Double Storied Cottage Tk. 2,500/= $ 38 4/6 Persons
Tent Tk. 1,500/= $ 24 2 Persons
HOTLINE: 01611- 071 071
Cox's Bazar
Mobile No.: +88-01710303348
Saint Martin
Kona Para,Narikel Zingira,Saint Martin
Teknaf, Cox's Bazar, Bangladesh.
Mobile No.:+88-01730051004, +88-01714908265
আগের পোস্টগুলোঃ
১) Click This Link ট্রাভেল বাংলাদেশঃ রিসোর্ট পরিচিতি (চলুন ঘুরে আসি নীলগিরি ) ।
২) Click This Link ট্র্যাভেল বাংলাদেশঃ চলুন ঘুরে আসি বগালেক ও তার আশেপাশের পাহাড়ি জনপ.।
৩) Click This Link ট্রাভেল বাংলাদেশঃ চলুন ঘুরে আসি অপার সৌন্দর্যের আধার টাঙ্গুয়ার হাওর
৪) Click This Link
ট্রাভেল বাংলাদেশঃ চলুন ঘুরে আসি দ্বীপের রানী ''নিঝুম দ্বীপ'' থেকে ।
৫) Click This Link ট্রাভেল বাংলাদেশঃ হানিমুনে যাচ্ছেন ? চলুন ঘুরে আসি ''মারমেইড ইকো রিসোর্ট '' , সাথে থাকছে কিছু ফ্রি হানিমুন টিপস।
৬) Click This Link ট্রাভেল বাংলাদেশঃ চলুন ঘুরে আসি অপার সৌন্দর্যের আধার হাকালুকি হাওর
৭) Click This Link ট্রাভেল বাংলাদেশঃ রিসোর্ট পরিচিতি - চলুন ঘুরে আসি ''লাইমি হিল রিসোর্ট'' বান্দারবান ।
৮) Click This Link ট্রাভেল বাংলাদেশঃ হানিমুনে যাচ্ছেন ? চলুন ঘুরে আসি ''নাজিমগড় রিসোর্ট '' , সিলেট ।
নিচের ছবিগুলো বড় করে দেখতে হবে , উপরের মত বড় করে ছবি আপলোড হচ্ছে না ।
ছবিগুলো বড় করে না দেখলে পস্তাবেন ।
আমাদের দেশ যে কত সুন্দর তা অকল্পনীয়
সুত্রঃ ইন্টারনেট । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।