ন্যাকামো ভীষণ অপছন্দ, যদিও বাধ্য হয়ে সহ্য করি!
আত্মবিশ্বাস হলো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, পিছুটান, ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ ও সন্দেহ-সংশয় আর অতিরিক্ত আত্মপ্রীতি, অহংকার ও হঠকারী মনোভাবের মধ্যবর্তী একটি অবস্থান। নিজের মেধা, যোগ্যতা, বুদ্ধি, কৌশল, সহায় ও সম্পদকে সর্বোচ্চ মাত্রায় ও সঠিক পথে কাজে লাগিয়ে সাফল্য অর্জনের দক্ষতাকেই বলে আত্মবিশ্বাস। নিজের ব্যাপারে ধারনাই কিন্তু আপনার সম্পর্কে অন্যদের ধারনাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। তাই নিজ সম্পর্কে সবসময় বাস্তবতার চেয়েও একটু উন্নত ও আশাবাদী ধারনা রাখা মানুষকে সবসময় উজ্জীবিত, কর্মঠ, সচল ও সতেজ রাখে। তবে অতিরিক্ত-আস্থা (over-confidence) কিন্তু কাম্য নয়! ব্যক্তিত্ব হলো একজন মানুষের পরিপূর্ণ ও বাস্তব রূপ।
নিজের ওপর যার যে মানের আস্থা থাকে - তার পক্ষে সাধারণত: সেই মানের সাফল্য অর্জনই সম্ভবপর হয়।
যদিও উন্নত আত্মবিশ্বাসকে আক্রান্ত করার অনেকগুলো কারণ রয়েছে যার ওপর মানুষের তেমন নিয়ন্ত্রণ নেই, কিন্তু তারপরও কিছু কাজ ও কৌশল রয়েছে যা হারিয়ে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত মনোবলকে বাড়িয়ে দিতে পারে। সে ধরনেরই মানসিক শক্তিবর্ধক কয়েকটি কৌশল নিয়ে দু’টি কথা:
১. বিশ্বাস ও চিন্তাধারা: জীবন ও জগত সম্পর্কে বিশ্বাস ও দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারটি অত্যন্ত ব্যাপক ও প্রভাবশালী, ফলে তার বিস্তারিত এই পরিসরে আলোচনা করার সুযোগ নেই। তবে বিভিন্ন পরিসংখ্যানে এটি সুস্পষ্ট হয়েছে যে, স্রষ্টা ও তাঁর দিকনির্দেশনার ওপর বিশ্বাস ও তার পরিপালন মানুষের মনোবল ও সাফল্যকে যে মাত্রার পরিপূর্ণতা দিয়েছে - তার সমতুল্য দ্বিতীয় কোনো উদাহরণ নেই। এ প্রসঙ্গে অন্তরকে দোলা দেয়ার মতো আল-কুরআনের দু’একটি আয়াত শেয়ার না করে পারছি না:
কাজেই যে ব্যক্তি (মানুষকে) বিভ্রান্তকারী বিদ্রোহী শক্তিকে পরিহার করেছে এবং আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে, সে ধারণ করে নিয়েছে এমন এক সুদৃঢ় হাতল যা কক্ষনো ভাঙবার নয়।
So whoever disbelieves in Taghut and believes in Allah has grasped the most trustworthy handhold with no break in it. [সূরা বাকারা: ২৫৬]
তোমরা হতাশ হয়ো না এবং দুঃখও করো না। তোমরাই বিজয়ী হবে - যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।
So do not weaken and do not grieve, and you will be superior if you are [true] believers. [সূরা আলে-ইমরান: ১৩৯]
নিশ্চয়ই যারা বলে: ‘আমাদের প্রতিপালক হচ্ছেন আল্লাহ’, এবং তারপর তারা তাতেই অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফিরিশতারা অবতরণ করে বলে যে: ‘ভয় করো না আর দুঃখ করো না, বরঞ্চ সুসংবাদ শোনো জান্নাতের - যার জন্য তোমাদের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলো। আমরা তোমাদের বন্ধু এই দুনিয়ার জীবনে এবং পরকালেও, আর তোমাদের জন্য এতে রয়েছে তোমাদের অন্তর যা-কিছু কামনা করে তাই, আর তোমাদের জন্য তাতে রয়েছে যার জন্য তোমরা অনুরোধ করো। ‘পরিত্রাণকারী অফুরন্ত ফলদাতার পক্ষ থেকে এক আপ্যায়ন!’
Indeed, those who have said, "Our Lord is Allah" and then remained on a right course - the angels will descend upon them, [saying], "Do not fear and do not grieve but receive good tidings of Paradise, which you were promised. We [angels] were your allies in worldly life and [are so] in the Hereafter. And you will have therein whatever your souls desire, and you will have therein whatever you request [or wish] As accommodation from a [Lord who is] Forgiving and Merciful." [সূরা হা-মীম আস-সিজদা: ৩০-৩২]
চলবে... পরবর্তী পর্ব: রুচিসম্মত পোশাক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।