আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আত্মবিশ্বাস- সফলতার হাতছানি

‘তুমি যাকে মৃত্যু বল, তুমি যাকে বল শেষ, সমূল পতন

ছোটবেলায় অ্যাডলফ হিটলার একদিন স্কুল থেকে ফিরছিলেন। এসময় তিনি দেখলেন এক জ্যোতিষি মানুষের হাত দেখে ভাগ্য নির্নয় করছে। তিনিও সেই জ্যোতিষির কাছে গিয়ে হাতটা মেলে ধরে বললেন, ‘আমার ভাগ্যটা দেখে ভবীষ্যৎ বলে দিন’। জ্যোতিষি তার হাতটা নিয়ে তাচ্ছিল্যের সাথে ছুঁড়ে দিয়ে বললো, ‘কি সব হিজিবিজি হাতের রেখা, তোমাকে দিয়ে কিছুই হবেনা’। হিটলার তখন তার স্কুল ব্যাগ থেকে ছুরিটি বের করে হাতের রেখাগুলোকে কেঁটে সোজা করে, রক্তাক্ত হাতটি জ্যোতিষির সামনে মেলে ধরে বললেন, ‘এবার হাতটি দেখে আমার বলুন তো’।

বিষ্ময়ে বিমূঢ় জ্যোতিষি তখন দাঁড়িয়ে হিটলারকে স্যালুট দিয়ে বললো, ‘তুমিই পারবে ইতিহাসের বুকে দাগ কাটতে’। গল্পটা এজন্য বললাম সফলতার আকাঙ্খায় একজন মানুষের জেদ কোন পর্যায়ে পৌঁছলে সে এমনটি করতে পারে। জীবন থেমে থাকা কোন রেলগাড়ি নয়, চলমান জীবনে গতিই সফলতার মাপকাঠি। আমার মনে হয়, জীবরে সফলতার মূলে রয়েছে মানুষের প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস। ‘আমি পারবো’ এমন একটা অনুভূতিই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে অনেক দূর।

হিটলার কিন্তু সত্যিই পৃথীবির ইতিহাসে একটা দাগ কাটতে পেরেছিলেন। বলা হয়, একজন মানুষ যখন আইন বিষয়ে পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে, তখনই তার অর্ধেক পড়া হয়ে যায়। ডাক্তারের কাছে নেয়ার আগেই না’কি রোগীর রোগ অর্ধেক ভালো হয়ে যায়। বিষয়টা সবেেত্র প্রযোজ্য না হলেও অনেকেক্ষেত্রেই বাস্তব। এজন্যও আমি আত্মবিশ্বাসটাকেই গুরুত্ব দিবো।

এর সাথে যুক্ত হবে; আর্থিক সঙ্গতি, শারীরিক সমতা, মানষিক দৃঢ়তা, শিাগত অবস্থান। কলার ছাত্র ডাক্তার হতে চাইলে তো আর হবেনা। আমরা অনেক সময় সফল মানুষগুলোকে দেখে বলি, ‘দেখো, কি ভাগ্য লোকটার’। কিন্তু লোকটা যে কত কষ্ট আর পরিশ্রম করে তার এমন ভাগ্যটা নির্মান করেছেন, তা খুব কম লোকই ভাবি। ভাগ্য জিনিষটা আসলে কি? একেবারে অস্বীকার করা যায় না, তবে মানুষ চেষ্ঠা আর পরিশ্রম করলে নিজের ভাগ্য বদলাতে আর কতন লাগে।

জয়ের ল্েয দূর্দমনীয় ইচ্ছা আর প্রতিজ্ঞা থাকলে কাঙ্খিত সফলতা ধরা দেবেই। আমি বলবোনা, আমাদের কাজ করতে হবে হিটলারের মত, বা হিটলার আমাদের জন্য আদর্শ। কিন্তু আমরা তার কাছ থেকে সফলতার জন্য মরিয়া হয়ে থাকার এই জেদটা তো শিখতে পারি। এটা একটা লাঠির মত। যেটা দিয়ে অন্যায় প্রতিরোধ করাও যায় আবার চাইলে কেউ অন্যায় করতেও পারে।

আত্ববিশ্বাস জাগরনে হিটলার, মুসোলিনিদের শিা আমাদের জীবনে লাঠির অন্যায় প্রতিরোধমূলক ব্যাবহারের মতই যেন হয়। সবশেষে বলবো, আমাদের দেশের প্রশাসনের উচ্চস্তরের মানুষগুলো গ্রাম থেকে উঠে আসা মূর্খ নয়। দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিদেশ থেকে অর্জিত ডিগ্রিটা নিয়েই তারা আজ এই অবস্থানে। তবু তারা আজ দূর্নীতিগ্রস্ত, নৈতিকতা বিবর্জিত। এদের নৈতিকতার অন্ধ চোখে আলো এনে দিতে আজ জেগে উঠতে হবে তরুন সমাজটাকেই।

প্রবল আত্মবিশ্বাসের সাথে সমাজের সব ধুলা-ময়লা পরিস্কার করে আনতে হবে নতুন সূর্যোদয়। ‘মোদের উত্থানে হোক অন্ধকার শেষ, প্রবল প্রশ্বাসে মোরা জাগাবো স্বদেশ’।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।