হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী পুলিশের উপস্থিতিতে রাজধানীর লালবাগের জামিয়াতুল আরাবিয়া মাদ্রাসা (লালবাগ মাদ্রাসা) থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
আজ সোমবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে লালবাগ মাদ্রাসা থেকে একটি গাড়িতে করে তিনি বিমানবন্দরের দিকে রওনা হন। এ সময় আল্লামা শফীর সঙ্গে দলের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, শফীর ছেলে আনাছ মাদানীসহ পাঁচজন ছিলেন। লালবাগ অঞ্চলের উপকমিশনার হারুণ অর রশিদ এ খবর জানান। তবে শফী চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হলেও অন্যদের কোথায় নেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানাননি।
ঘটনাস্থলে উপকমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তো আসলে আপনাদের দেখেই এলাম। পরে ঘরে গিয়ে দেখি উনি বাড়ি যাবেন। ’ এ সময় সাংবাদিকেরা পুলিশকে জিজ্ঞেস করেন, ‘রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কী কথা হলো?’ উপকমিশনার সাংবাদিকদের জানান, ‘তেমন কোনো কথা হয়নি। উনি (আল্লামা শফী) বাড়ি যাবেন। বিমানবন্দরে যাবেন।
’
তবে হেফাজতে ইসলামের নেতা মো. খোরশেদ আলম জানান, ডিবি পুলিশ আল্লামা শফীকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
মাদ্রাসায় কান্নার রোল
আল্লামা শফীকে যখন লালবাগ মাদ্রাসা থেকে পুলিশ নিয়ে যায়, তখন ওই এলাকায় মানুষের ভিড় জমে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে কান্নার রোল ওঠে।
তিন ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
রাজধানীর লালবাগের জামিয়াতুল আরাবিয়া মাদ্রাসার (লালবাগ মাদ্রাসা) ভেতরে আজ দুপুর ১২টার দিকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঢোকে। সেখানে থাকা হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রায় তিন ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
পুলিশের এই দলের নেতৃত্ব দেন লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ। মাদ্রাসায় প্রবেশের আগে তিনি দাবি করেন, পুলিশের ওপর হামলা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে, মানুষ খুন করে কিছু লোক ভেতরে লুকিয়ে আছে।
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীও ওই মাদ্রাসায় ছিলেন। হেফাজতের আরও অনেক কেন্দ্রীয় নেতা সেখানে ছিলেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।