আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাখির বাসায় মানুষের ছা !

খেতে চান আয়েশ করে? উপভোগ করতে চান রেইন ফরেস্টের অবারিত সৌন্দর্য? তবে চলে আসুন। উঠতে হবে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে। সব খদ্দেরের জন্যই রয়েছে আলাদা কেবিন। পরিবার বা বন্ধুকে নিয়ে কিংবা একাই বসে পড়তে পারেন যেকোনো কেবিনে। কেবিনটি অদ্ভুত।

অনেকটা পাখির বাসার আদলে তৈরি। ঝুলে আছে গাছের ডালে। যেন সত্যিকারের খড়কুটো দিয়ে বানানো। প্রতিটি কেবিনই মাটি থেকে ১৬ ফুট ওপরে। সব কেবিনেই রয়েছে বড় একটি টেবিল আর দুটো চেয়ার।

আরাম করে বসতে পারেন দুজন খদ্দের। তবে ওয়েটারের অর্ডার নিতে আসার ভঙ্গি দেখে ভয় পাবেন না। ওকে দেখে মনে হতে পারে- যেন উড়ে উড়ে আসছে কোনো মানুষ। আসলে ব্যাপার হলো কী- এই গাছের সঙ্গে বাঁধা আছে তামার তারের একটি প্রান্ত। অন্যপ্রান্তটি বাঁধা আছে রেস্তোরাঁর মূল অফিসের সঙ্গে।

ওয়েটার আসে কপিকলের সাহায্যে ঝুলে ঝুলে। ভয় নেই, তার ছিঁড়ে পড়ে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তাঁরা সবাই বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত। সবারই সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। কেবিনের ঠিক নিচে মনোরম হ্রদ।

পানির ছলাৎছলাৎ শব্দ শুনতে শুনতে খেয়ে নেবেন লাঞ্চ কিংবা ডিনার। খাওয়া শেষে যেতে পারেন ল্যান্ডিংস্ট্রিপে। কেবিনের সামনের খোলা জায়গাটিকে এ নামেই ডাকা হয়। যেখানে দাঁড়িয়ে উপভোগ করতে পারেন চারপাশের অপরূপ প্রকৃতি। সূর্যের আলো এসে মুখের ওপর পড়লেও চিন্তা নেই।

কপিকলের মাধ্যমে একটু ওপরে বা নিচে তুলে দেওয়া হবে কেবিনটি, যেখানে ছায়া বিলাচ্ছে গাছ। প্রতিবেলার খাবারের দাম ২৮৩ পাউন্ড। আমাদের টাকায় প্রায় ২৩ হাজার। ভাবছেন- বেশি হয়ে যাচ্ছে? অন্যদের মতামত নিয়ে দেখুন! সবাই বলবেন, এমন দারুণ খাবার আর পরিবেশের বিনিময়ে এ টাকা তো খরচ করাই যায়। চাইলে কথা বলতে পারেন চিফ শেফের সঙ্গে।

তিনি জানাবেন, সোনেভা কারি রেস্তোরাঁর খদ্দেরদের পরিবেশন করা হয় দ্বীপের লেক থেকে ধরা তাজা মাছ দিয়ে তৈরি থাইল্যান্ডের সুস্বাদু খাবার। এরপর নিশ্চয়ই মন চাইবে খো কুদ দ্বীপটি ঘুরে দেখতে। বলতে দেরি, সঙ্গে সঙ্গে হাজির হবে স্পিডবোট। যেদিকে মন চায় প্রিয়জনকে নিয়ে বেড়াতে পারেন। সূত্র:পাখির বাসায় মানুষের ছা  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।