আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিশোরগঞ্জের তৃতীয়, গুরুদয়াল কলেজের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি

৯ম জাতীয় সংসদের স্পিকার মো. আব্দুল হামিদ বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে তৈরি হলো একাধিক রেকর্ড। একই জেলা থেকে (কিশোরগঞ্জ) তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন তিনি। তবে সবচেয়ে বড় চমক তৈরি করলো কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজ। আব্দুল হামিদ সহ স্বাধীন বাংলাদেশের দুই দুইজন রাষ্ট্রপতি পেলো এই বিদ্যাাপীঠ। দেশের অন্যান্য জেলাবাসীর চেয়ে কিশোরগঞ্জবাসীর গর্ব কিংবা তৃপ্তি দু’টোই এখন বেশি।

একই রকমভাবে দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এ মুহুর্তে সবচেয়ে গর্বিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিঃসন্দেহে গুরুদয়াল কলেজ। কিশোরগঞ্জ থেকে এর আগে দুইজন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বশেষ ২০তম রাষ্ট্রপতি হলেন আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট। কিশোরগঞ্জের এ কৃতী সন্তান দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হওয়ায় কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলাতেই চলছে আনন্দ উল্লাস। মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নেই মুজিবগর সরকারের অর্থাৎ বাংলাদেশের ‍প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন কিশোরগঞ্জের কৃতী সন্তান শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

তিনি ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন। এই রত্নগর্ভা জেলা থেকে দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মো. জিল্লুর রহমান। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কৃতি সন্তান মো. জিল্লুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করা হয়। ২০১৩ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেন ।

জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হন আব্দুল হামিদ। কিশোরগঞ্জ -৫ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসন থেকে ৭বারের নির্বাচিত এই এমপি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। সর্বশেষ সংবিধান অনুযায়ী ২২ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ থেকে ৩য় ব্যক্তি হিসেবে দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন তিনি। এ খবরে আপ্লুত জেলার সর্বস্তরের মানুষের প্রত্যাশা প্রত্যন্ত হাওর অঞ্চল থেকে উঠে আসা পোড় খাওয়া এ রাজনীতিবিদ জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে যেমন সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবেও তেমন সফল হবেন। এদিকে কিশোরগঞ্জ জেলার ঐহিত্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আব্দুলের হামিদের মাধ্যমে পেলো দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি।

বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদও ছিলেন এই কলেজেরই ছাত্র। কলেজ সূত্রে ‍জানা যায়, ভৈরব উপজেলার জি.সি. উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাসের পর ঐতিহ্যবাহী গুরুদয়াল কলেজে ভর্তি হন আব্দুল হামিদ। ১৯৬১ সালে গুরুদয়াল কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ফলে তৎকালীন সরকার তাকে কারারুদ্ধ করে। ১৯৬৩ সালে তিনি গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও ১৯৬৫ সালে সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন।

এছাড়া নেত্রকোনা জেলার কৃতি সন্তান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ আব্দুল হামিদের সমসাময়িক সময়ে (১৯৪৬ সাল) গুরুদয়াল কলেজের ছাত্র ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর নির্দলীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। জেলা শহরের একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক রাষ্ট্রপতি হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। অভূতপূর্ব এই প্রাপ্তি ও গৌরবে উদ্দীপ্ত এ কলেজের প্রাক্তন ও বতর্মান শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ প্রতিটি সদস্য। এ খবরে গুরুদয়াল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আরজ আলীর বাংলানিউজকে তার আনন্দানুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন,‘‘আমরা গর্বিত ও আনন্দিত।

আমাদের এ কলেজরই ছাত্র আবারও রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন দীর্ঘায়ু লাভ করেন। ’’ সুত্র: বাংলা নিউজ ২৪  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.