আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসঙ্গ : স্বাধীনতা উত্তর দেশ থেকে দুই লাখ কোটি টাকা পাচার যে দেশে অর্ধেক জনগোষ্ঠী না খেয়ে থাকে সেদেশ থেকে এভাবে টাকা পাচার হয় কী করে? সরকারের জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে এসব অর্থ ফিরিয়ে আনা দরকার।

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম। সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক। বিদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানির নামে বাংলাদেশ থেকে গত এক বছরে পাচার হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। কম মূল্যে পণ্য ও কাঁচামাল অথবা মেশিনারি যন্ত্রাদি কিনে ক্রয় ভাউচারে তা বেশি মূল্য দেখানোর কৌশল প্রয়োগ করে গত এক বছরে বিপুল পরিমাণ এই টাকা বিদেশে পাচার করা হয়।

টাকা পাচারের এই উদ্বেগজনক তথ্য বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তদন্তে। তদেন্ত আরও জানানো হয়, শুধু গত বছরেই নয়, এই পরিমাণ টাকা গত কয়েক বছর ধরেই পাচার হয়ে আসছে। এই টাকা পাচার হয় মূলত ক্রয় ভাউচারে ইচ্ছামাফিক দেখানো অতিরিক্ত অর্থ পাঠানোর নামে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমেই। অর্থাৎ আমদানিকারকরা বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির নামে বেশি টাকা দেখিয়ে তা বিদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে দেশীয় টাকা পাচারে অন্যতম ভূমিকায় রয়েছে কাগজ আমদানিকারকরা।

শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নয়, শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগও কাগজ আমদানির নামে টাকা বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি জানতে পেরেছে। শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সা¤প্রতিক সময়ে বিদেশ থেকে ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাগজ আমদানির ক্ষেত্রে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের তৎপরতা শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের নজরে এসেছে। বাংলাদেশ থেকে গত ৩৪ বছরে অন্তত দুই হাজার ৪৭০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে। এই অর্থ সরিয়ে নিয়ে করের সুখস্বর্গ হিসেবে পরিচিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ও অঞ্চলে গচ্ছিত রাখা হয়েছে। প্রতি ডলার ৮০ টাকা ধরে হিসাব করলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় এক লাখ ৯৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের চেয়েও বেশি।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পর বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ বা আর্থিক সম্পদ কর ফাঁকি দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর এই পুঁজি পাচার ঘটেছে ১৯৭৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে। এতে দেখা যায়, ২০০০ সাল পর্যন্ত যে পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে বাইরে পাচার করা হয়েছে, পরের ১০ বছরে তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ পাচার হয়েছে। ২০০০ সাল পর্যন্ত অন্তত এক হাজার ৮১০ কোটি ডলার (এক লাখ ৪৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা) সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আর পরের ১০ বছরে সরানো হয়েছে ৬৬০ কোটি ডলার (৫২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা)।

আবার রপ্তানি মূল্য কম দেখিয়ে এবং আমদানি মূল্য বেশি দেখিয়ে বাইরে টাকা পাচার করা হচ্ছে। হুন্ডি করেও প্রচুর টাকা বাইরে যাচ্ছে। আর গত এক দশকে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের নামে কোটি কোটি ডলার দেশ থেকে চলে গেছে, যার কোনো আনুষ্ঠানিক হিসাব নেই। মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতেও এভাবে টাকা যাচ্ছে। সিঙ্গাপুর ও দুবাইতেও সচ্ছল ও ধনী বাংলাদেশিরা বিভিন্নভাবে টাকা নিয়ে যাচ্ছে।

‘দ্য প্রাইস অব অফশোর রিভিজিটেড’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু ব্যক্তি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কৌশলে তাদের আয় ও মুনাফা ফাঁকি দিয়ে এসব অর্থ দেশ থেকে সরিয়ে নিয়েছে। তবে এই হিসাবে শুধু আর্থিক সম্পদকেই বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন অ-আর্থিক সম্পদ, যেমন: স্বর্ণ, জমি-বাড়ি ইত্যাদি বিবেচনায় নেয়া হয়নি। যেহেতু অ-আর্থিক সম্পদ বিবেচনায় নেয়া হয়নি, সেহেতু কর ফাঁকি দিয়ে স্থানান্তর করা অর্থের প্রকৃত পরিমাণ আরও অনেক বেশি হবে। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, আমদানিকারকেরা স্থানীয় অর্থনীতিতে শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছে এবং অর্থ বিদেশে পাঠিয়ে তাদের গ্লোবাল শেয়ারহোল্ডারদের বেশি মুনাফা দিচ্ছে।

এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, স্থানীয় শেয়ারহোল্ডার ও দেশের সাধারণ মানুষ। অথচ এই অর্থ দেশেই বিনিয়োগ করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে দেশ আরো এগিয়ে যেত। স্বাধীনতার ৪০ বছর পার হলেও দেশীয় শিল্পের তেমন কোনো বিকাশ ঘটেনি। ক্ষুদ্র শিল্পে দেশ কিছুটা এগিয়ে গেলেও ভারী শিল্পের দিকে যেন কারো নজর নেই। সঙ্গতকারণেই পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশ বা দেশসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক চুক্তি করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে সংশ্লিষ্ট দেশকে চাপ দিতে হবে।

এর আগে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চেয়েছে। কিন্তু এমন ধীরগতি প্রক্রিয়ায় যে পরিমাণ অর্থ ফিরিয়ে আনা হয়েছে তা মোট পাচারকৃত অর্থের তুলনায় খুবই নগণ্য। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, যে দেশে অর্ধেক জনগোষ্ঠী না খেয়ে থাকে সেদেশ থেকে এ রকম লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে থাকে- এর চেয়ে বড় বৈষম্য ও শোষণ আর কী হতে পারে? স্বাধীন দেশে এটা কি করে কল্পনা করা যেতে পারে? তাই নির্বোধ সরকারকে সক্রিয় করতে সর্বাগ্রে জনগণকেই সম্যক সক্রিয় হতে হবে। মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েজ, তাওয়াজ্জুহ।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতেই কেবলমাত্র সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।