আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘরমুখো প্রত্যাশী জনস্রোত !

পাগলামী শুনছি,বার বার। দেখছি অনেক দিন হলো,টিভি মিডিয়াতেও। পড়ছি পত্রিকায়। দূর্দশা,কতক অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনার খবর। সমাধানের নানান কতকথা।

কত জনের কত মতামত। ঈদ মৌসুমে গলাবাজি,লেখাবাজি,টিভি ক্যামেরায় এক্সক্লুসিভ খবর,পত্রিকার পাতা জুড়ে বিশাল ছবি আর সাথেই থাকছে কঁচকচানী । তারপর কোথাকার পানি কোথায় যে গড়ায় কোন খোঁজ থাকে না। হাল বছরেও বাদ নেই পুরোন কাসুন্দি ঘাটাঘাটি। কী সড়ক পথ,কী নদী পথ অথবা রেল পথ(বিমান পথ থাকুক হিসাবের বাহিরে)।

যানযট,রাস্তায় খানাখন্দ,অপ্রতুল যানবহন। নৌ পথেও তথৈবৈচ। রেল পথ,রেলমন্ত্রী স্বয়ং বলেছেন,সময় মত যাবে না রেল। দোষ উনার নয়,উনি সত্য তুলে ধরেছেন ,স্বীকার করেছেন,দিয়েছেন সততার পরিচয়। কেন ফিরতে হবে বাড়ী?এ নয় কি বাড়াবাড়ি?কেন যানযটের ভোগান্তির ধকল পোহাতে হবে ফি- বছর?কেন সমস্যা লালিত হবে পোল্ট্রি বা হ্যাচারী অথবা ইঙ্কিবিউটরে? নির্মূল হয়তো সম্ভব নয়,সমস্যা সমাধানে আংশিক সফলতা দেখা এবং ভোগ করা খুব সম্ভব!প্রয়োজন স্বদিচ্ছা আর একটু চেষ্টা।

যা পূর্বেই বারংবার বিজ্ঞজনেরা বলে এসেছেন। অথবা বিশ্বকে যদি ফিরে দেখি। সমাধানের পথতো অতি পরিচিত বিষয়। জীবিকার প্রয়োজনে হতে হবে শহর মুখি,জীবনের বহুমুখি প্রয়োজন মিটানোর তারণায় আসতেই হবে শহরে। প্রশ্ন, কত জনকে ঠাঁই দেবেন আপনি?আজ ঢাকা,রাজধানী শহর নিয়ে ভাবছি।

খুব বেশি দূরে নয় ,বাংলাদেশের অন্যান্য বড় শহর গুলোকে নিয়েও একি রকম মাথা ব্যাথা শুরু হবে। আসব,আসতেই হবে,প্রয়োজন ফুরাবে,ফিরে যাব আপন ঠিকানায় এবং ভোগ করব নিশ্চিত নাগরিক সুবিধা। চাইবার একটাই,সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন। সঠিক নির্দেশনা। এবং বাস্তবায়নের জন্য ঐকান্তিক প্রচেষ্টা।

যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন করতে হবে। সড়ক পথ বৃদ্ধি করতে হবে,ত্রুটিহীন যানবহনের নিশ্চয়তা দিতে হবে,প্রয়োজন একজন দক্ষ চালক। রেল পথকে উন্নয়ন করতে হবে দ্বিতীয় লেনে। বিশেষভাবে রেল পথকে ভাবতে হবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। নদী পথকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে।

সময় সাপেক্ষ ব্যাপার,অসম্ভব নয়। দূরত্বকে মাথায় রেখে এবার না হয় প্রচারের পালা,বোঝানোর পালা,লাভের পাল্লা কোন দিকে বেশি,বোঝাতে হবে। জীবিকার প্রয়োজনে চাকুরী,উন্নত চিকিৎসায় শহরে আসতে হবে, জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনেও মানা নেই। দিনের কাজ দিনে সম্পাদন,এরপর বাড়ি ফেরা। প্রিয়জনকে সাথে করে আনন্দ -হাসি,দুঃখ-কান্না ভাগাভাগি।

নিরুৎসাহিত করুন শহর মুখি না হবার। থাকব নিজের ঘর,সঙ্গে পরিবার পরিজন, ভালবাসায় মাখামাখি,সুখী জীবন যাপন। শহরকে নিশ্চয়তা দিতে হবে জন স্রোতের চাপ মুক্ত থাকবার,এতে করে পরিবেশ বিপর্যয় নেমে যাবে প্রায় শুন্যের কোঠায়। তুলুন । দায়িত্ব নিতে হবে নির্বাচিতকেই।

পরিকল্পনা,ভাল-মন্দ,উৎসাহ আরও বাদবাকী সব কার্য সম্পাদনে পরিকল্পনাবিদ,আমাদের মিডিয়া, অভিজ্ঞজন আর সুশীল সমাজতো রইলই। একবার ভাবুন তো সাধুজনেরা। মানণীয় যোগাযোগ মন্ত্রী ভাবুন তো একবার। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।