আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পারভেজ মুশাররফ গৃহবন্দি

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আটক হওয়ার পর পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মুশাররফকে আগামী ৪৮ ঘন্টা গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ উদ্দেশ্যে ইসলামাবাদের শহরতলী চক শাহজাদে অবস্থিত মুশাররফের খামার বাড়িকে সাব-জেল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার চক শাহজাদের ওই বাসভবন থেকে মুশাররফকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাকিস্তানের টেলিভিশনগুলোর খবরে দেখা যায়, পুলিশ কর্মকর্তারা মুশাররফকে ইসলামাবাদের আদালতে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে দেশের স্বার্বভৌমত্ব হানিকর পদক্ষেপের জন্য মুশাররফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেয় আদালত। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালতের এক বিচারক মুশাররফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মুশাররফ স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে দাবী করেছেন মুশাররফের আইনজীবী কামার আফজাল। আফজাল জানান, কারাগারে না রেখে মুশাররফকে নিজ বাসভবনে গৃহবন্দী রাখার জন্য পুলিশকে আদেশ দেওয়া যায় কিনা, তা বিবেচনার জন্য আদালতের কাছে আবেদন রাখেন তিনি। সংক্ষিপ্ত শুনানির পর আদালত মুশাররফকে বাড়িতে পাঠানোর আদেশ দেয় বলে তিনি জানান ।

আদালতে মুশাররফের সঙ্গে থাকা আফজাল বলেন, “আজ সকালে সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। ” মুশাররফ পক্ষের আরেকজন আইনজীবী আমজাদ রাজা কাসুরি জানান, মুশাররফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের চেষ্টায় শুক্রবারের মধ্যেই তারা সর্বোচ্চ আদালত বরাবর একটি আবেদন পেশ করবেন। “গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে একটি আবেদন পেশ করার জন্য আমি এখনই সর্বোচ্চ আদালতে যাচ্ছি,” বলেন কাসুরি। সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা গ্রহণকারী জেনারেল মুশাররফ ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান শাসন করেন। আসছে মে’র সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে গত মাসে চার বছরের স্বেচ্ছানির্বাসনের অবসান ঘটিয়ে তিনি দেশে ফিরে আসেন।

কিন্তু নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকে ক্ষমতায় থাকাকালীন ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের একের পর এক মামলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালতে মুশাররফের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মুশাররফের রাজনৈতিক দল অল পাকিস্তান মুসলিম লীগ জানিয়েছিল, মুশাররফের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালত শুক্রবার যে সিদ্ধান্ত দিবে তা তিনি মেনে নেবেন। জামিনের আবেদন খারিজ করে মুশাররয়ের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর তিনি নাটকীয়ভাবে আদালত থেকে পালিয়ে যান বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তবে এপিএমএলের সাধারণ সম্পাদক জেনারেল ড. মোহাম্মদ আমজাদ দাবী করেন, আদালত চত্বরে উত্তেজিত আইনজীবীদের কবল থেকে রক্ষার জন্য মুশাররফকে তার চক শাহজাদের বাড়িতে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.