আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর দাফন নিয়ে ফেসবুকে বাংলায় লেখা কিছু পোষ্ট কমেন্ট।

একজন নির্ভিক পুংটার কোন বন্ধু নেই। "শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত হচ্ছেন .........." আমার কাছে এইটা জঘন্য ভাষা মনে হয় । শ্রদ্ধার আবার শেষ আছে নাকি???? ”স্যার’আজ আপনার বড়ই অভাব বোধ করছি। ভাল থাকুন....সেখানে.....না ফেরার দেশে...” "কোথাও কেউ নেই... হুমায়ুন আহমেদ! আপনি কোথায়?... দারুচিনি দ্বীপে? শঙ্খনীল কারাগারে? ওমেগা পয়েন্টে? নাকি শূণ্যে?... কে কথা কয়? কুটু মিয়া? লীলাবতী? মৃন্ময়ী? পিপলী বেগম? নাকি দেবী?... এখন কি মধ্যাণ্হ? অপরাণ্হ?" "না, ...এখন কৃষ্ণপষ্খ, ঘোর কৃষ্ণপষ্খ। সাজঘর প্রস্তুত... রূপার পালঙ্ক তৈরী হচ্ছে... এপিটাফ এ নাম খোদাই হচ্ছে..." ”নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূনের দাফন হবে-এটা হুমায়ূন শাওন ছাড়া পরিবারের আর কারো কাছে বলেছেন বলে মনে হচ্ছে না।

নুহাশপল্লীর জায়গার দাম এখনই ২৫ কোটি টাকা। উত্তরাধিকারী ৬ সন্তান, এক স্ত্রী। হিসাব নিকাশ অনেক, সবকিছুকে সহজভাবে বুদ্ধিজীবি বানানোর প্রয়াস ভাবার লাইনটা বেলাইন হইতে পারে। ” ”মানুষ মরে গেলে তার শেষ ইচ্ছাকে শ্রদ্ধা জানানো উচিত! শ্রদ্ধেয় জাফর ইকবাল স্যার, সবকিছুতে যুক্তি আর আপেক্ষিকতা খুজবেন না দয়া করে! প্রিয় হুমায়ূন স্যারকে বুদ্ধজীবী কবরে কবর দিলে কি তিনি আরো একটু বেশি বুদ্ধিজীবী হয়ে যাবেন?” ”সবাই এত কথা বলছেন, তিনি যে ভুল চিকিৎসার স্বীকার হয়েছেন সেটা কেউ বলছেন না। নাকি আমেরিকার ভয়ে সবাই চুপ করে আছেন?” ”ভাই,কিছুদিন আগে হুমায়ূন আহমেদ এর একটা সাক্ষাত্‍কারে তিনি নিজেই বলেছিলেন,নুহাশপল্লীকে তিনি কবরস্হান বানাতে চান না।

আর শাওন এর কথার চেয়ে জাফর ইকবালের কথা ই বেশি গ্রহণযোগ্য মনে করি। ” ”শাওনের সাক্ষাৎকার দেখে আমি কনফার্ম হুমায়ুন নুহাশ পল্লিতে দাফনের কথা বলে যান নাই। শাওনের কথাগুলো খুব নাটুকে ছিলো , ৭১'টিভি তে ভালো করে ক্লিপ্টা দেখলেই নাটুকেপনা বোঝা যায়” “বাবা একবার উঠে দেখ আমি তোমার নুহাশ, আমি এসেছি তোমার প্রিয় চরিত্র হিমু সেজে। ” ”আজ শহীদ মিনারে হুমায়ুন আহমেদ স্যারকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়া হল। আমার অনেক প্রিয় লেখক হওয়া স্বত্বেও আমি যাইনি কারণ আমি স্যারকে আমার মধ্যে বাঁচিয়ে রাখতে চাই।

সব সত্য বিশ্বাস করতে নেই। ” ”হুমায়ুন আহম্মেদের শোকের মিছিলে... আবুল মিয়া চুপি সারে চলে গেলো। ” ”নিম্নমধ্যবিত্ত অধ্যুষ্যিত এদেশের মানুষের অন্তরের কঠিন ব্যথা ভুলিয়ে দেয়ার চিকিৎসক ছিলেন হুমায়ুন আহমেদ। তার লেখা পড়ে অগণন মানুষ সিদ্ধান্তে পৌছেছেন, সাহিত্য সাধারণ মানুষের জিনিস। লেখালেখির কারিগর ও চরিত্র সবই সাধারণ মানুষকেন্দ্রিক।

এদেশের সাধারণ মানুষের কোন রাজনীতি ছিল না বলে উগ্র রাজনৈতিক সমর্থন ছিল না তার। ছিল শুধু দেশ ও প্রগতিবিরোধীদের প্রতি ঘৃণা। আজ থেকে হুমায়ূন আহমেদ অসংখ্য সৃষ্টিকর্মের কণা হয়ে বহুকালের জন্য ছড়িয়ে গেলেন বহুদূর, অগণিত হৃদয়ে। ” ”হুমায়ুন আহম্মেদের বডি পোষ্টমর্টাম করা জরুরি। ” ”যাইহোক , আর কথা না বাড়াই, আবেগ কমুক, কথা হবেনে ...আবেগ বড় কঠিন ব্যাপার ।

” ”পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে । ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ংকর অত্যাচার । কারণ, এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনোই কিছু বলা যায় না । সহ্য করে নিতে হয় । ” - হুমায়ূন আহমেদ ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.