আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"বাংলাদেশে বিৎদুতের মূল্য সবচেয়ে কম" ; প্রধানমন্ত্রী । "বিৎদুতের মূল্য যত ভাগ বাড়বে আপনার ভোট ততো ভাগ কমবে" ; জনগন । দেশে শ্রেণীবৈষম্য সৃষ্টির চেষ্টা বিৎদুতের মাধ্যমে ।।

খুব সাবধান হয়ে যান , জি আপনাকেই বলছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী । বার বার বিদ্যুৎ এর মূল্য বৃদ্ধি করছেন কোন রকম জনগনের জীবন-যাত্রায় এর প্রভাব চিন্তা না করেই । একটু মনে রাখুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যতবার যতটুকু করে এই মূল্য বৃদ্ধি পাবে ততো বার ততটুকু করে আপনার পরাজয়ের সম্ভাবনাও জোরদার হবে । নতুন বাজেটে পুনরায় বিৎদুত এর মূল্য বাড়ান হয়েছে । গত তিন বছরে এর মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে তিনশো ভাগ ।

প্রমান হল গত বছর থেকেই এটি এই বছর দিগুন হয়েছে কিভাবে দেখুন আমার একই জিনিস পত্রে গত বছর বিৎদুত বিল আসতো পাচ থেকে ছয় হাজার যেটা এই বছর ইতি মধ্যে নয় এবং দশে গিয়ে থেকেছে এবং যা আরও বাড়বে সামনে যখন এই বৃদ্ধি হবে । আসুন আমরা জানি আমাদের দেশের সরকার বরাবরই অদক্ষ এবং জনক্ষতিকর । তাই এখন আর এই সব নিয়ে লিখতে ভালও লাগেনা আর কত লিখব লজ্জাও লাগে নিজের কাছে চাইতে চাইতে । হয়ত আল্লাহ এই শরম লজ্জা আমাদের নেতাদের দেননি । কিন্তু আজ পরিহাস করলেন প্রধানমন্ত্রী আমাদের নিয়ে ।

তিনি বললেন খবরে শুনলাম যে “ আমাদের দেশে নাকি বিতদুতের দাম সবচেয়ে কম “ । বলেন কি বলব এখন উনি যদি আমার দেশের মুল্ল্যের সাথে আমেরিকার মুল্ল্যের তুলনা করেন তাহলে কিভাবে কি ? আমার বাবা চাকুরিজিবি আজকে ছাব্বিশ বছর ধরে । উনি বাংলাদেশে এক লক্ষ টাকা কামাতে কষ্ট হয় যেখানে ওই সব দেশে যেগুলুর সাথে মাননীয় সরকারপ্রধান তুলনা দিচ্ছেন সেখানে এরকম একজন চাকুরিজিবির বেতন লাখ পঞ্চাশের কম না । শেষ পর্যন্ত "মাহফুজ মরার" কথাই ফলো। যত কথা ততো ভুল ।

আসুন একটু তাকাই একটি কমিটি আছে আমাদের নীতিনির্ধারণের তাদের দিকে , যেখানে অনেক অভিজ্ঞ ও বিজ্ঞ লোক নিয়ে আলোচনা করে যেকোনো বৃদ্ধি বা হ্রাস করা হয় এই সেক্টরে । যাই হোক উনারা আসলে করেনটা কি ? শুধুমাত্র যদি বাড়ানই দায়িত্ব হয়ে থাকে তাহলে সেটা তো আমরাই করতে পারি তাদের তো প্রয়োজন নেই । আনু মহাম্মদ স্যার এর মতে এদের আসলে কোন কাজই নেই ,শুধু মাস তিনেক যায় ইনারা আসেন এবং সকলকে জানান দেন যে বারিতেছে , বারিতেছে আবার বারিতেছে । এমনকি শুনা যাচ্ছে এরা নাকি এখন বিশেষ ভোক্তা কার্ড বানাবে যেখানে উচ্ছ মুল্ল্যে সার্বক্ষণিক বিৎদুত সরবরাহ করা হবে । যা শুধু এই দেশের নয় পৃথিবীর সর্ব দেশের সংবিধান বিরোধী ।

যেখানে নাগরিক সুবিধা সব জনগন সমান এবং রাষ্ট্রের চোখে সবাই সমান বলে রচিত হয় সংবিধান সেখানে এরুপ সিদ্ধান্ত অবশ্যই গরিবকে লাথি মারার সামিল যা সবার সামর্থ্য থাকলেও বর্জনীয় । আমি,আপনি সবাই এসব ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে রাষ্ট্রের মধ্যে শ্রেণীবিভাগ থাকবেই কিন্তু সরকার যদি ঘোষণা দিয়ে শ্রেণী ভাগের দায়িত্ব নেয় তাহলে এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া পড়বে আমাদের সামাজিক জীবনে আমাদের ভবিতসত প্রজন্মের উপর । আমি আমার সামর্থ্য থাকলেও এরুপ সেবা কিনব না যা আমার দেশের মানবতা বিরোধী এবং আপনাদেরকেও উৎসাহিত করব এরুপ জঘন্য সেবার প্রতি না বলার জন্য । আর দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন থাকবে যে কিছু না পারেন অন্তত এরুপ মজা করবেন না জনগনের সেন্টিমেনট নিয়ে । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.