আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শতাধিক ছাত্রকে বেত মারলেন অধ্যক্ষ

কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজে শতাধিক ছাত্রকে বেত দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আবু দারদা মো. আরিফ বিল্লাল। এতে তিন ছাত্র আহত হলে তাদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিত্সা দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রদের অভিযোগ, স্কুলে কোচিং না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যক্ষ স্যার ক্ষুব্ধ হয়ে দেহের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে পিটুনি দেন। ছাত্রদের বেত মারার কথা স্বীকার করে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আবু দারদা মো. আরিফ বিল্লাল বলেন, ‘বাবার আসন থেকে মেরেছি।

কতজনকে মেরেছি হিসাব করিনি। ’ আহত তিনজন ছাত্রকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহে ওই স্কুলে গেলে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন অধ্যক্ষ। প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক অভিভাবক এ ব্যাপারে অভিযোগ করে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সকাল সোয়া আটটার দিকে স্কুলের অ্যাসেম্বলি (ক্লাস শুরু হওয়ার আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সমাবেশ) শুরু হলে একপর্যায়ে অধ্যক্ষ বেতের লাঠি দিয়ে ছাত্রের লাইনের পেছন মারতে মারতে সামনের দিকে যান। এ সময় কয়েকজন ছাত্র দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাঁদের ধরে এনে আবার পেটানো হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অভিভাবক বলেন, ‘মা হয়ে দূরে দাঁড়িয়ে আহাজারি করা ছাড়া কিছুই করতে পারিনি। ছেলেদের গরু পেটানোর মতো পিটুনি দেওয়া হলো। ’ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পেটানোর পর প্রতিটি শ্রেণীকক্ষে গিয়ে অধ্যক্ষ সাংবাদিকদের কিছু না বলার জন্য হুমকি দেন। তিনি বলেন, কেউ কিছু বললে তাদের পরীক্ষায় অকৃতকার্য করানো হবে। এমনকি টিসি দেওয়ারও হুমকি দেন তিনি।

এদিকে খবর পেয়ে প্রথম আলো ও এনটিভির সাংবাদিক স্কুলে গেলে বিনা অনুমতিতে স্কুলে প্রবেশের জন্য অধ্যক্ষ তাঁদের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে অধ্যক্ষ নিজের মুঠোফোন বের করে সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণ করতে থাকেন। অন্যদিকে নবম ও দশম শ্রেণীর তিনজন ছাত্র বেতের আঘাতে গুরুতর আহত হলে এক শিক্ষক তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিত্সক নবারুণ বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, দুজনের হাতের কনুই ও একজনের কোমরে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে। তাদের এক্স-রে করতে বলা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ছাত্রদের শরীরে বেতের আঘাত করা কোনোভাবেই উচিত হয়নি। স্কুলের সভাপতি এসপি স্যার সরকারি কাজে খুলনায় গেছেন। ’ তাঁকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.