আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাবিতে দুই মামলায় আসামি শতাধিক

এসব মামলায় কাদের আসামি করা হয়েছে পুলিশ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা বলতে না চাইলেও হামলার শিকার আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা, তাদেরও এতে জড়ানো হতে পারে।   

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. সাদ আহমদ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর মতিহার থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন।

এর মধ্যে একটি মামলা করা হয়েছে বিস্ফোরক আইনে; অন্যটিতে ক্যাম্পাসে ভাংচুর ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে।

ওসি শামসুন নূর জানান, বিস্ফোরক আইনের মামলায় আসামি করা হয়েছে ৬০ জনকে। আর ভাংচুর-নৈরাজ্য সৃষ্টির মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তারিকুল হাসান মিলন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিন্ডিকেটের জরুরি বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ এই মামলা দায়ের করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিত স্বাভাবিক করে শিক্ষার সুষ্ঠু ফিরিয়ে আনতে এই পদক্ষেপ। ”

রোববার ক্যাম্পাসে ভাংচুরের অভিযোগে গ্রেপ্তার ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সজীব আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ যাদের নাম পেয়েছে, তাদেরও এসব মামলায় আসামি করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রক্টর জানান, রোববার শিক্ষকদের দুটি গাড়ি, শিক্ষকদের আবাসিক ভবন এবং কয়েকটি অ্যাকাডেমিক ভবনেও ভাংচুর করা হয়।

বর্ধিত ফি প্রত্যাহার ও সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স কোর্স বন্ধের দাবিতে আন্দোলনের সমন্বয়কারী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আয়াতুল্লাহ খোমেনি বলেন, “আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে আন্দোলন করেছি।

একটি ছাত্রসংগঠন আমাদের ওপর হামলা করার পর আবার আমাদের বিরুদ্ধেই নাকি মামলা হচ্ছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একপাক্ষিক নীতিরই নমুনা। ”

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গত মঙ্গলবার থেকে এ দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসার পর বৃহস্পতিবার তা ধর্মঘটে গড়ায়।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত শনিবার ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করারর ঘোষণা এলেও সন্ধ্যাকালীন কোর্স বাতিল না করায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

এরপর রোববার আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র হাতে চড়াও হন।

পাশাপাশি পুলিশের টিয়ার শেল ও রাবার বুলেটে আহন হন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।

এই পরিস্থিতিতে রোববার রাতে সিন্ডিকেটের জরুরি বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেয়া হয়। ওই বৈঠকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়।    

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের ওই আন্দোলনে যুক্ত হয়ে ইসলামী ছাত্র শিবির ‘গোলমালের’ চেষ্টা করেছে। তবে যেই দায়ী হোক, তদন্তের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.