আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রেফারি ! আল্লাহর ওয়াস্তে কার্ড দেখান ! ফাউল হইছে আশুলিয়ায় ।এক কার্ডহীন রেফারি তার দায়িত্বে ব্যার্থ

রেফারির দায়িত্ব হলো মাঠে কোনো ফাউল হলো কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা এবং কার্ড দেখানোর মাধ্যমে শাস্তির বিধান করা . কিন্তু মালিক এবং শ্রমিকের মাঝে সৃষ্ঠ জীবন মরণ এই খেলায় রেফারি টুকু সাহেব বোধয় ভুলেই গিয়েছেন যে তার পকেটে কার্ড আছে যা প্রয়োজন মতে ব্যবহারযোগ্য। আমরা রেফারির ভূমিকা পালন করছি মালিক এবং শ্রমিকদের মাঝে এক মন্তব্যে মাননীয় সরাস্ত্র মন্ত্রী টুকু সাহেব এই কথা বলেন । কিন্তু প্রশ্ন হলো আপনার কাছে যেই কার্ড আছে তার ব্যবহার কেন করছেন না ? হলুদ কার্ড দেখান নি কেন এখনও মালিক-শ্রমিকদের ? আর এদিকে জনাব সৈয়দ আশরাফ বলেছেন বেতন ভাতা মূলত মূল কারণ নয় বরং এই মুহুর্তে একটি বিদেশী শক্তিশালী মহল তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নানা রকম পরিকল্পনা করে যাচ্ছে আর এরই একটি রূপ হলো গত কয়েকবারের বেতন ভাতা বৃদ্ধির আন্দোলনগুলি । সুতরাং এখনো কেন বিলম্ব করছেন লাল কার্ড দেখাতে বিদেশী ওই অশুভ শক্তিকে যাদের চক্রান্তে আজ গার্মেন্টস শিল্পে ধস নামতে বসেছে ? ভালো বলেছেন এবং যথেষ্ঠ সৎ মতামত প্রকাশ করেছেন সৈয়দ আশরাফ যা আমরা তার মত একজন সরকারের উর্ধতন নেতার কাছে আশা করছিলাম । অন্যদিকে যতটা সত্য এবং সমযপযুগী বক্তব্য আশরাফ সাহেব দিয়েছেন তার চেয়ে অন্তত দশ গুন দায়িত্ত - জ্ঞানহিনতার পরিচয় দিয়েছেন সরাস্ত্র প্রতিমন্ত্রী জনাব টুকু সাহেব যাকে দেখলেই এখন ধারণা করা হয় এই বুঝি তিনি কোনো অসস্থিকর মন্তব্য করে বসবেন যা সরকারকে বিপাকে ফেলে দেবে ।

তিনি নিজের কাজের বেলায় যদিও কোনো যোগ্যতার ছাপ কখনই রাখতে পারেননি কিন্তু অমুলুক এবং অগ্রহণযোগ্য কথা বার্তা বলে নিজেকে পরিচয় করিয়েছেন সরকারের থালার একটি ছিদ্র হিসেবে । এই বারো ওই ছিদ্র দিয়ে আরো কিছু পানি পরে গেল আশুলিয়ায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে দাঙ্গা থামাতে পাশাপাসি নিরাপত্যা বিধানেও ব্যর্থ হয়েছে গার্মেন্টস এর যার ফলে গার্মেন্ট মালিকদেরকে বন্ধ করে রাখতে হয়েছে গার্মেন্টস । আর এদিকে আমাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্ত্রী বলছেন তিনি রেফারি । যাই হোক এই মুহুর্তে হলুদ কার্ড দেখানো হোক যাতে ভবিত্সতে শ্রমিক -মালিকরা না বুঝে এই ভাবে সংঘর্ষে জড়িয়ে না যায় কেননা এতে শুধু একটি গোষ্টির লাভ হবে মালিক শ্রমিকের না । আর লাল কার্ড দেখানোর ব্যবস্থা কেন করা হলো না ওই অশুভ শক্তিকে এই পর্যন্ত, যারা আমাদের এই ক্ষেত্রটি ধংসে লিপ্ত হয়েছে ? এটি কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা নয় তারা এভাবে কয়েববার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের বড়বড় ব্র্যান্ড গুলির কারখানায় এমন অস্থিরতা সৃষ্ঠি করতে ।

এই বার আমাদের কানে এটি এসেছে কেননা এইবার তারা ব্যাপক ভাবে সফল হয়েছে এবং সরকার ব্যাপক ভাবে ব্যর্থ হয়েছে এই কারণে যার কারণে গত কয়েকটি দিন কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছিল মালিকদের । যাই হোক আসার কথা হলো বিরতির পর আবার মাঠে ফিরতে যাচ্ছেন শ্রমিকরা এবং মালিকরা গার্মেন্টস খোলার মধ্য দিয়ে , কিন্তু এই বার আমাদের অনুরোধ থাকবে রেফারি যাতে একটু সচেষ্ঠ থাকেন মাঠের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.