আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রেফারি বাঁচালেন ভারতকে

-ফুটবল ১১ জনের খেলা। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে সদস্য ছিল ১৪ জন। ১১ জন ফুটবলারের সঙ্গে রেফারি ও দুই লাইন্সম্যান। শত্রুতা করে ওরা বাংলাদেশকে জিততে দিল না।

-বেয়াদব রেফারির বাজে সিদ্ধান্তের জন্যই ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র হলো ম্যাচটা।

-নাহ্! এই ড্র কোনো ক্রমেই মানা যায় না। বাংলাদেশের কাছ থেকে পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়ে ভারতকে দিল রেফারি।

-সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিরুদ্ধে 'মহাগুরুত্বপূর্ণ' ম্যাচটি ড্র হওয়ায় শ্রীলঙ্কান রেফারি এইচ ডিলান পেরেরার প্রতি ক্ষুব্ধ বাংলাদেশি সমর্থকরা এভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের প্রতিক্রিয়া জানান। গতকাল ভারতের দেওয়া শেষ মিনিটের গোলে প্রায় নিশ্চিত জিতে যাওয়া ম্যাচে পয়েন্ট হারায় বাংলাদেশ। শেষ বাঁশি বাজার কয়েক মুহূর্ত আগে রেফারি উপহারস্বরূপ ভারতকে ফ্রি কিক দেন।

তারপর গোল...। ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।

গতকাল ম্যাচের শুরু থেকেই রেফারি ও লাইন্সম্যানরা যেন ভারতের পক্ষ নিয়েছিলেন। ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তারা। তাই এমন ড্র কোনো ক্রমেই যেন মেনে নিতে পারছেন না ফুটবলপ্রেমীরা।

রেফারির এমন আচরণে হতাশ বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকও। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, 'রেফারির এমন আচরণে আমি সত্যিই হতাশ। ওটা কোনোক্রমেই ফাউল ছিল নয়। আর যদি ফাউল হয়ই, তাহলে তো পেনাল্টি হওয়ার কথা। কেননা ঘটনাটা ঘটেছে ডি-বঙ্রে মধ্যে।

আর রেফারি তা টেনে ডি-বঙ্রে বাইরে নিয়ে গিয়ে ফ্রি কিকের নির্দেশ দিলেন। কেন এমন করল বুঝতে পারলাম না। শুধু আমাদের জয়টা ছিনিয়ে নিল। '

আগের ম্যাচে বাংলাদেশ নেপালের কাছে হেরেছিল খেলোয়াড়দের ব্যর্থতার জন্য। কিন্তু এ ম্যাচের খেলা দেখে ফুটবলারদের প্রশংসাই করলেন মানিক।

তিনি বলেন, 'আজ (গতকাল) সবাই আত্দবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেছে। সবাইকে অনেক আন্তরিক মনে হয়েছে। সব ফুটবলারের মধ্যেই ছিল লড়াকু মানসিকতা। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে মার্কিং করেছে সঠিকভাবে। তবে শেষ মুহূর্তে খেলোয়াড়দের কিছুটা ক্লান্ত মনে হলেও সবার মাঝেই ইচ্ছাশক্তি ছিল প্রবল।

যে কারণে ক্লান্তিকে ওভারকাম করে তারা ভালো খেলেছে মাঠে। '

ইনজুরির কারণে প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। কিন্তু এ ম্যাচে ৮১ মিনিটে বাবুর বদলি হিসেবে মাঠে নেমেই চমক দেখিয়েছেন। ৮২ মিনিটে তার কর্ণার কিক থেকেই তো গোল পেয়ে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। মানিক বলেন, 'মামুনুল যে কতটা কার্যকরী মিডফিল্ডার তা মাঠে নেমেই বুঝিয়ে দিয়েছে।

ও নামার পরই বাংলাদেশের খেলার গতি অন্যরকম হয়েছে। '

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগে কোচ ক্রুইফ বাংলাদেশকে 'আন্ডার ডগ' বলায় তার সমালোচনা করেছিলেন মানিক। কিন্তু এ ম্যাচে কোচের কৌশলের প্রশংসা করলেন তিনি। মানিক বলেন, 'পুরো ম্যাচেই বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। কিন্তু প্রথমার্ধে ডান পাশ্বর্ে ওয়ালি ফয়সালের প্রান্ত দিয়ে ভারত কয়েকটা আক্রমণ করেছে।

তারপর কোচ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফয়সালকে উঠিয়ে নিয়ে লিংকনকে মাঠে নামান। তারপর ডিফেন্স আরও জোরালো হয়। এ ম্যাচে কোচের পরিবর্তন কৌশল প্রশংসার দাবি রাখে। ' সেমিফাইনালে স্বপ্নটা কিছুটা ফিকে হলেও বাংলাদেশ এখনো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায়নি বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ। মানিক বলেন, 'শেষ ম্যাচে নেপাল যদি ভারতকে হারিয়ে দেয় আর বাংলাদেশ যদি পাকিস্তানকে হারায় তাহলে একটা সুযোগ তো রয়েছেই।

তবে আমি এখনো আশাবাদী। '

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.