inveterate to Create আমি একটা জিনিস কিছুতেই বুঝি না। “ভালোবাসি” কথাটা মুখে না বললে কি ভালোবাসা হয় না?
অবশ্যই হয়। কেন হবে না?
আচ্ছা তাহলে, মা কি সন্তানকে প্রতিদিন বলে “বাবারে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি”। কিন্তু তাই বলে কি মা আমাদের ভালোবাসেন না? যে ভালোবাসা অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আসে তা কোন কৃত্রিমতায় না জড়ানোই ভালো। মা আমাদের অঘোষিত ভাবেই ভালোবাসেন।
আর প্রয়োজনে সে নিজের জীবনও উৎসর্গ করতে পারেন। আমরাও তো মা’কে ভালোবাসি। এই ভালোবাসা প্রকাশ করবার জন্য আপনি দিনে কতবার “মা” শব্দটা লিখে শো-পিস বানান, কতবার আপনি “মা-তোমাকে ভালোবাসি” বলে ফেসবুকে পোস্ট করেন??? এগুলোর কোনটিই যদি না করেন, তার মানে কি এই দাঁড়ায় যে আপনি মা’কে ভালোবাসেন না?
নিঃসন্দেহে না।
তাহলে এবার আসল কথা বলি.........
ফেসবুকে হাজারো পেজ থেকে প্রতিদিন ‘আল্লাহ-তাআলার’ নাম লিখা হাজারো ছবির পোস্ট দেখা যায়। এবং এসব ছবির গায়ে স্পষ্টাক্ষরে লিখা থাকে ১০০০/২০০০/৫০০০০ লাইক চাই।
আবার কখনো লিখা থাকে “আপনি যদি মুসলমান হোন, তাহলে অবশ্যই ছবিটি শেয়ার করুন। ”
কেন রে ভাই??? শেয়ার না করলে, লাইক না দিলে কি আমি অমুসলিম হয়ে যাবো?
আল্লাহ আমায় মাফ করুন।
প্রতিটা মুসলমানের অন্তরে যে নাম খোদাই করে লিখা, সে নামকে ফটোশপে এডিট করে বা কৃত্রিম ভাবে তৈরি করে, তার ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে, জোর করে লাইক/শেয়ার করিয়ে কেন শুধু শুধু সেই নামের মর্যাদার পাল্লা হালকা করে দিচ্ছেন?
আমি নিজেও মুসলমান। তাই আপনাকে বলছি, সত্যিই যদি আল্লাহকে ভালোবাসেন তাহলে মসজিদে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন।
আনুগত্য প্রকাশ করতে গিয়ে এভাবে নিজেও ভুল করবেন না, আরেক জনের ধর্মানুভূতিতেও আঘাত হানবেন না।
কারন, আপনি মানুষ, আমিও মানুষ। আমি কি করে নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি যে, “এই ছবিগুলো লাইক/শেয়ার না করলে আপনি অমুসলিম হয়ে যাবেন?”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।