আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কয়েকটি অল্টারনেটিভ অপারেটিং সিস্টেম .... পুরোনো হার্ডওয়্যার বা নেটবুক ইউসারদের জন্যে

Of all the things I've lost, I miss my mind the most. part 2 :: Update আমরা অনেকেই কিন্তু বেশ পুরোনো কনফিগারেশনের কম্পিউটার ব্যবহার করি, অথবা নেটবুক ব্যবহার করি যেগুলো অনেক সময়ই উবুন্টু -মিন্ট বা -উইন্ডোসে স্লো হয়ে যায়। বেস কিছু ওএস তৈরীই করা হয় এমন ভাবে যেন হার্ডওয়্যার রিকোয়ারমেন্ট নামমাত্র হয়। উইন্ডোসের বিকল্প হিসেবে অনেকেই এখন না না ধরণের ও এস বেছে নিচ্ছেন, এ সবের মধ্যে উবুন্টু আর মিন্ট ই সবার উপরে। ইদানিং উবুন্টু আর মিন্টের ডেভলপমেন্ট প্রশংসার যোগ্য, ড্রাইভার সাপোর্ট, সিকিউরিটি, কম রিসোর্স ব্যবহার -সব দিক দিয়ে উইন্ডোস কে রীতিমত হুমকীর মুখে ফেলে দিয়েছে এসব। কিন্তু আমার লেখার বিষয়-বস্তু প্রচলিত এ সব ও-এস নয়।

প্রথমেই আসে উবুন্টুর ডেরিভেটিভ গুলো যেমন - জুবুন্টু আর লুবুন্টুর কথা। ১। লুবুন্টু "lighter, less resource hungry and more energy-efficient" লুবুন্টু এল এক্স ডি ই ইউসার ইন্টেরফেস ব্যবহার করে ( উবুন্টুর মত জিনোম নয় যা ইদানিং বেশ রিসোর্স হাংগ্রী হয়ে উঠছে), ফলে এটি ১২৮ মেগা বাইট র্যামেও ভালো ভাবেই চলতে পারে, আর অ্যাটম প্রোসেসর দেয়া নেট বুক গুলোতে এর পারফরমেন্স অসাধারন, আর দ্রুত। আর প্যাকেজ বাছাই এর সময় ও এমন সব সফটওয়্যার নেয়া হয়েছে যেগুলো খুব কম রিসোর্স ইউস করে। আর উবুন্টুর ডেরিভেটিভ ( একটু পরিবর্তিত সংস্করণ) হওয়ায় বাগফিক্স, আপডেট ও নিয়মিত পাওয়া যায়।

২। জুবুন্টু XForms Common Environment বা Xfce ইউসার ইন্টেরফেস ব্যবহার করে জুবুন্টু, লুবুন্টুর মত এতটা সাশ্রয়ী না হলেও এটাও কম যায় না ২৫৬ মেবা র‌্যামেও দারুন চলে জুবুন্টু। যারা লুবুন্টর মত বেশী সাধারন ওএস এ যেতে চান না তাদের জন্যে জুবুন্টু। ৩। জলিক্লাউড ওএস জলিক্লাউড বা জলি ওএস নেটবুকের জন্যে বিশেষায়িত একটি অপারেটিং সিস্টেম, এটি মূলত ফ্রেঞ্চ কোম্পানি Netvibes এর একটি প্রোজেক্ট।

আপনি যদি ক্লাউড কম্পিউটিং এর মজা পেতে চান তাহলে জলি ও এস ট্রাই করে দেখতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে বড় বড় সফটওয়্যার ইন্সটল করার ঝামেলা নেই, অনেকটা গুগল ক্রোমের মত ই, স্টোর থেকে শুধু অ্যাপলিকেশন অ্যাড করবেন, আর ব্যব হার করবেন, আর গুগল ড্রাইভের মত ক্লাউড স্টোরেজের সুবিধাও আছে, যে কোনও ডকুমেন্ট যে কোনও যায়গা থেকে এক্সেস করতে পারবেন। জলি ওস আপনি পেনড্রাইভ বা পোরটেবল ড্রাইভ/ হার্ড ডিস্কে বুটেবল করেও ব্যবহার করতে পারবেন। মুভি-গান সবকিছুই ক্লাউড ড্রাইভে রেখে চলা যেতো কিন্তু আমাদের দেশের ইন্টেরনেট কানেকশন এতই স্লো যে এটা তে খুব একটা লাভ হবে না। তবে আপনার হার্ডডিস্কে রাখা মাল্টিমিডিয়া অফলাইনে (নেট ছাড়া ই) চালানোর ও সুব্যবস্হা করা আছে, নো চিন্তা।

ওদের ঠিকানা http://www.jolicloud.com/jolios ৪। পাপ্পি-লিনাক্স হাল্কা কিন্তু শক্তিশালি এই ওএস টি অনেকেই ব্যবহার করেন, বেশ সমৃদ্ধ এই ওএস এর দুটি ভার্সন, উবুন্টু ভিত্তিক(১৩৪ মে বা ) , আর স্ল্যাক ওয়্যার বেসড ( ১১২ মে বা)। দুটোই বেশ স্টেবল আর সিকিউরিটি বা বাগ ফিক্স ডেভলপাররা নিয়মিতই দেন। এটি ইন্সটল না করেই চালানো যায় পেন ড্রাইভ বা লাইভ সি ডি থেকে , আর অন্য লিনাক্স গুলোর মত লাইভে আনা চেঞ্জ গুলো মুছে যায় না, চাইলে রেখে দেয়ার ও ব্যবস্হা আছে!!! এর আরেকটা বিশেষত্ব হল পুরো সিস্টেমটাই বুট-হার্ডওয়্যারটা ছাড়াই চলতে পারে, মানে পুরোটাই র‌্যাম থেকে!!!! ( অর্থাৎ আপনি লগইনের পর বুটেবল ডিভাইসটা খুলে অন্য কাজেও ব্যবহার করতে পারবেন)। আর বলাই বাহুল্য হার্ডওয়্যারের রিকোয়্যারমেন্ট খুবই কম।

এর বিল্টইন ড্রাইভার সাপোর্টও আমাকে অবাক করেছে। এগুলো দারুন স্টেবল ও। সবচাইতে অবিশ্বাস্য ব্যপার হল এই ১৩৮ মে বা তেই দরকারী প্রায় সব সফটওয়্যার দেয়াই আছে, পেইন্টিং, অফিশিয়াল কাঝের জন্য, ক্যালকুলেটর,মিডিয়াপ্লেয়ার সব!! আরো অবিশ্বাস্য কিছু ওএস আছে লিনাক্সে, পরবর্তীতে সে সব নিয়ে পোস্ট করব। ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । পরবর্তী পর্বে সমাপ্য।

আমরা অনেকেই কিন্তু বেশ পুরোনো কনফিগারেশনের কম্পিউটার ব্যবহার করি, অথবা নেটবুক ব্যবহার করি যেগুলো অনেক সময়ই উবুন্টু -মিন্ট বা -উইন্ডোসে স্লো হয়ে যায়। বেস কিছু ওএস তৈরীই করা হয় এমন ভাবে যেন হার্ডওয়্যার রিকোয়ারমেন্ট নামমাত্র হয়। উইন্ডোসের বিকল্প হিসেবে অনেকেই এখন না না ধরণের ও এস বেছে নিচ্ছেন, এ সবের মধ্যে উবুন্টু আর মিন্ট ই সবার উপরে। ইদানিং উবুন্টু আর মিন্টের ডেভলপমেন্ট প্রশংসার যোগ্য, ড্রাইভার সাপোর্ট, সিকিউরিটি, কম রিসোর্স ব্যবহার -সব দিক দিয়ে উইন্ডোস কে রীতিমত হুমকীর মুখে ফেলে দিয়েছে এসব। কিন্তু আমার লেখার বিষয়-বস্তু প্রচলিত এ সব ও-এস নয়।

প্রথমেই আসে উবুন্টুর ডেরিভেটিভ গুলো যেমন - জুবুন্টু আর লুবুন্টুর কথা। ১। লুবুন্টু "lighter, less resource hungry and more energy-efficient" লুবুন্টু এল এক্স ডি ই ইউসার ইন্টেরফেস ব্যবহার করে ( উবুন্টুর মত জিনোম নয় যা ইদানিং বেশ রিসোর্স হাংগ্রী হয়ে উঠছে), ফলে এটি ১২৮ মেগা বাইট র্যামেও ভালো ভাবেই চলতে পারে, আর অ্যাটম প্রোসেসর দেয়া নেট বুক গুলোতে এর পারফরমেন্স অসাধারন, আর দ্রুত। আর প্যাকেজ বাছাই এর সময় ও এমন সব সফটওয়্যার নেয়া হয়েছে যেগুলো খুব কম রিসোর্স ইউস করে। আর উবুন্টুর ডেরিভেটিভ ( একটু পরিবর্তিত সংস্করণ) হওয়ায় বাগফিক্স, আপডেট ও নিয়মিত পাওয়া যায়।

২। জুবুন্টু XForms Common Environment বা Xfce ইউসার ইন্টেরফেস ব্যবহার করে জুবুন্টু, লুবুন্টুর মত এতটা সাশ্রয়ী না হলেও এটাও কম যায় না ২৫৬ মেবা র‌্যামেও দারুন চলে জুবুন্টু। যারা লুবুন্টর মত বেশী সাধারন ওএস এ যেতে চান না তাদের জন্যে জুবুন্টু। ৩। জলিক্লাউড ওএস জলিক্লাউড বা জলি ওএস নেটবুকের জন্যে বিশেষায়িত একটি অপারেটিং সিস্টেম, এটি মূলত ফ্রেঞ্চ কোম্পানি Netvibes এর একটি প্রোজেক্ট।

আপনি যদি ক্লাউড কম্পিউটিং এর মজা পেতে চান তাহলে জলি ও এস ট্রাই করে দেখতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে বড় বড় সফটওয়্যার ইন্সটল করার ঝামেলা নেই, অনেকটা গুগল ক্রোমের মত ই, স্টোর থেকে শুধু অ্যাপলিকেশন অ্যাড করবেন, আর ব্যব হার করবেন, আর গুগল ড্রাইভের মত ক্লাউড স্টোরেজের সুবিধাও আছে, যে কোনও ডকুমেন্ট যে কোনও যায়গা থেকে এক্সেস করতে পারবেন। জলি ওস আপনি পেনড্রাইভ বা পোরটেবল ড্রাইভ/ হার্ড ডিস্কে বুটেবল করেও ব্যবহার করতে পারবেন। মুভি-গান সবকিছুই ক্লাউড ড্রাইভে রেখে চলা যেতো কিন্তু আমাদের দেশের ইন্টেরনেট কানেকশন এতই স্লো যে এটা তে খুব একটা লাভ হবে না। তবে আপনার হার্ডডিস্কে রাখা মাল্টিমিডিয়া অফলাইনে (নেট ছাড়া ই) চালানোর ও সুব্যবস্হা করা আছে, নো চিন্তা।

ওদের ঠিকানা http://www.jolicloud.com/jolios ৪। পাপ্পি-লিনাক্স হাল্কা কিন্তু শক্তিশালি এই ওএস টি অনেকেই ব্যবহার করেন, বেশ সমৃদ্ধ এই ওএস এর দুটি ভার্সন, উবুন্টু ভিত্তিক(১৩৪ মে বা ) , আর স্ল্যাক ওয়্যার বেসড ( ১১২ মে বা)। দুটোই বেশ স্টেবল আর সিকিউরিটি বা বাগ ফিক্স ডেভলপাররা নিয়মিতই দেন। এটি ইন্সটল না করেই চালানো যায় পেন ড্রাইভ বা লাইভ সি ডি থেকে , আর অন্য লিনাক্স গুলোর মত লাইভে আনা চেঞ্জ গুলো মুছে যায় না, চাইলে রেখে দেয়ার ও ব্যবস্হা আছে!!! এর আরেকটা বিশেষত্ব হল পুরো সিস্টেমটাই বুট-হার্ডওয়্যারটা ছাড়াই চলতে পারে, মানে পুরোটাই র‌্যাম থেকে!!!! ( অর্থাৎ আপনি লগইনের পর বুটেবল ডিভাইসটা খুলে অন্য কাজেও ব্যবহার করতে পারবেন)। আর বলাই বাহুল্য হার্ডওয়্যারের রিকোয়্যারমেন্ট খুবই কম।

এর বিল্টইন ড্রাইভার সাপোর্টও আমাকে অবাক করেছে। এগুলো দারুন স্টেবল ও। সবচাইতে অবিশ্বাস্য ব্যপার হল এই ১৩৮ মে বা তেই দরকারী প্রায় সব সফটওয়্যার দেয়াই আছে, পেইন্টিং, অফিশিয়াল কাঝের জন্য, ক্যালকুলেটর,মিডিয়াপ্লেয়ার সব!! আরো অবিশ্বাস্য কিছু ওএস আছে লিনাক্সে, পরবর্তীতে সে সব নিয়ে পোস্ট করব। ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । পরবর্তী পর্বে সমাপ্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.