আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বপন এবং আল্পনা ©

We have a best in our self and I have unlashed mine. YEAH, I FEEL COOL!!! স্বপন সব সময় দিবাস্বপ্ন দেখে। আর আল্পনা দেয়ালে আল্পনা আঁকে। তাদের একটা ছোট্টস্বপ্ন। স্বপ্নটা এতই ছোট্ট যে চাইলেই তা বাস্তব হয়ে যাবে পলকে। তাদের স্বপ্নটা হল, সুন্দর সবুজ একটা খেলার মাঠ।

ক্ষেতের রাজআইলের মত একটা ছোট এবং সুরু আইল থাকবে। চারপাশে থাকবে ফুল এবং ফলের গাছ। পাখিরা ডাকবে, পশুরা নিরাপদ থাকবে। মানে অভয়ারণ্য। সকাল বেলা কলা দিয়ে পান্তা খেয়ে পাঠশালায় যাবে।

দুপুরে তারা হৈ চৈ করবে। ছুটি হলে তাই রে নাই রে করে বাড়ি ফিরে বাড়ির কাজ করে দাদা দাদী নানা নানির সাথে খোশগল্প করবে। মা তাদেরকে গল্প শোনিয়ে ঘুম পাড়াবেন। বাবা তাদেরকে আদেশ নিষেধ করবেন। দেশের হর্তা কর্তারা তাদের খোঁজখবর নেবেন।

সবার মনে কল্যাণাস্পদ থাকবে, থাকবে মঙ্গলচিন্তা। কিন্তু স্বপনের দিবাস্বপ্ন আর আল্পনার দেয়ালে আঁকা আল্পনা ওখেন সীমাবন্ধ! রাত ভোর হয়ে আরেকটা দিন শুরু হয়েছে। আড়মোড়া দিয়ে জেগে পাখিরা ভোরাই গাইছে। তাদের বয়সীরা গাড়িতে বসে স্কুলে যাচ্ছে। মা আদর করে দুধ কলা খাওয়াচ্ছেন।

অপলকদৃষ্টিতে তা আল্পনা দেখছিল। স্বপন অবশ্য ব্যস্ত। তার কাঁদে একটা বস্তা! আর্বজনা থেকে কাজ পত্র আলাদা করতে হবে। লোহা অথবা প্লাস্টিকের বুতলও পাওয়া যায়। দুই আড়াই টাকা বিক্র হয়।

দশ বারটা পেয়ে যায় দিধাতা সদয় হলে। মা ঝির কাজ করেন। বাবা রিকসা চালান। চলে যায় টেনটুনে। গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত শীত বসন্ত।

এক একটা বিপদের নাম। অন্যগুলা যেমন তেমন, শীত এবং বর্ষায় বেশী সমস্যা হয়। জ্বর এবং সর্দি ছাড়তে চায় না। এইত কয়দিন আগে আল্পনার এক বান্ধবী জ্বরে কালো হয়ে যমেরবাড়ি চলে গিয়েছে। কেউ তেমন কাঁদেনি।

কাঁদার কি আছে? তবে আল্পনা কেঁদেছিল খুব। কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পড়েছিল। কেউ ওকে বারণ করেনি। আল্পনার বাবা অসুস্থ। ডাক্তার বলেছে লাখ টাকা লাগবে।

তাই কেউ আর মাথা ঘামায় না। বাবা বলেছেন, আমার জন্য তোরা িচন্তা করিস না। আল্লাহ আছে না। সব ঠিক হয়ে যাবে। পরে আরো লিখির ইচ্ছা আছে, জানি না পারব কি না।

?  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।