আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছেলেটির নাম মেঘ, মেয়েটির নাম বৃষ্টি...

তবু তুই রয়েছিস বলে, ঘাসফুলে জল দোলে... নীলমেয়ে! কোথায় থাকো? কেমনো থাকো? হঠাৎ তেড়ে আসা এমন ঝড়ের দিনেও কি আনমনা হওয়ার মতো বিলাসী সময় তোমার হয়? নাকি- কেবলই আমার মতো চোখ ভরা রাজ্যের কথা নিয়ে, শুদ্ধ-বিশুদ্ধ উচ্চারণের প্রমিত বাংলার ফুলঝুড়ি সাজিয়ে অপলক চেয়ে থাকো? হুম? নাকি- তীব্র গরমের শরীর-জ্বলা দিনে তুমি এসব কেয়ার-ই করোনা! কী জানি! জানো, আজকাল খুব ইচ্ছে করে তোমাকে তোমার ডাকনাম ধরে ডাকি! অবাক হলে তো! হও, আমার কি! ইচ্ছে হলেও আমি সযত্নে ইচ্ছেটাকে দমিয়ে রাখছি। তোমার ডাকনামটা আমার মোটেও প্রিয় নয়। ডাকবোওনা। তোমাকে বরং আজ থেকে আরো একটা নতুন কাল্পনিক নামে ডাকবো। আচ্ছা, আমার দেয়া মোট কতোটি নাম হলো তোমার? যে নামটা ধরে বেশি বেশি ডাকার কারণে তুমি তোমার নিজের নামটা মাঝে মাঝে সত্যিই ভুলে যাও, সেটা তো প্রথম দেয়া।

তারপর তোমাকে আরো কতোটি কাল্পনিক নামে ডেকেছি, মনে করতে পারো? পারলে জানিয়ো... আজ থেকে তোমাকে বৃষ্টি বলেও ডাকবো। এটাই তোমাকে দেয়া আমার সর্বশেষ নাম। এখন থেকে তুমি হবে বৃষ্টি। আর আমি বৃষ্টিকে ধারণ উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়ানো বাউণ্ডুলে মেঘ! ছেলেটির নাম মেঘ, মেয়েটির নাম বৃষ্টি... মনে পড়ে প্রথম বৃষ্টিস্নাত দিনের কথা! নাহ, এখন হয়তো আর মনে পড়েনা তোমার! যা পড়ে, তাকে ঠিক মনে পড়া বলেনা। কী বলে তবে? তুমি নিশ্চয় একটা নিরুত্তাপ ভঙ্গিমায় প্রশ্নটা করে বসবে।

এই-ই তোমার অভ্যেস। তাইনা? ওকে, করো প্রশ্ন। উত্তর তো আর দিচ্ছিনা। উত্তর না দিলেও কিছু কথা বলি দিচ্ছি- উত্তর তুমি খুজে নিয়ো। আজকাল বৃষ্টি দিনের কথা বললে তুমি কেমন বিরুক্তি নিয়ে তাকাও।

চোখ-মুখ কুচকিয়ে চেহারার মানচিত্রটা দ্রুতই পরিবর্তন করে ফেলো। যেনো- সেই একটামাত্র দিনকে এতো এতো বার টেনে এনে কী মজা আমি পাই! হুম, আসলেই কোনো মজা হয়তো পাইনা- কিন্তু প্রথম বৃষ্টিভেজা তোমাকে মনে করে একটু হলেও মিষ্টি একটা নস্টালজিয়ায় আমার হৃদয় মন শীহরিত হয়। যে শীহরন অস্তিত্বে দারুণ একটা নাম না-জানা অনুভূতি ছড়িয়ে যায়। মেঘ-বৃষ্টির আলাপন হচ্ছিলো। তুমি বৃষ্টি হয়ে খুব সহজেই মেঘের উপর বাড়ী গড়ে বসে আছো।

সারাটা দিন ধরে কথা কাটাকাটি আর প্রবল উত্তাপ ছড়ানো রাগারাগির পরও তুমি আমাতেই মিশে থাকো। নিজের অস্তিত্বকে বৃষ্টি ফোটার মতো করে কুন্ডুলী পাকাও আমার ভিতরে। তারপর মেঘ হয়ে তোমাকে উড়ে বেড়াই দূরে দূরে। প্রকৃতির বৃষ্টির মতো তুমি ভাড়ি হওনা, আমার থেকে তাই ঝড়েও পড়োনা। তবুও যতোটুকু ভাড় তোমার থাকে, ততোটুকু কে বহন করেই আমি চলতে থাকি... সমান্তরালেই চলে আমাদের নতুন করে মেঘ-বৃষ্টি হওয়াটা...  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।