আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হতবাক আমি নিউজ পড়ে....... অপু উকিলের ইটের জবাবে পাটকেল মারলেন বিরোধী দলের সাংসদ রানু। সংসদে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে দাবানলের মত

গতকাল সাতবার রেহেনা আক্তার রানুর মাইক বন্ধ করে দেন স্পিকার। ১৭ মিনিটের বক্তৃতার ৩০ সেকেন্ড আগেই মাইক বন্ধ করে দিয়ে নামাজের বিরতি ঘোষণা করা হয়। বক্তৃতার শুরুতেই সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা হৈ চৈ শুরু করেন। মতিউর রহমান রেন্টুর বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কথা বলা শুরু করতেই সরকারদলীয় অনেক এমপি দাঁড়িয়ে যান। চিফ হুইপ রানুর মাইক বন্ধ করে দেয়ার জন্য স্পিকারকে অনুরোধ জানান।

দাঁড়িয়ে যান শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও আবদুল মতিন খসরুসহ অনেক সংসদ সদস্য। এ সময় স্পিকার মাইক বন্ধ করে দিয়ে রানুকে বাজেটের ওপর বক্তব্য দেয়ার আহ্বান জানান। শেখ মুজিবের জানাজার সময় আওয়ামী লীগ নেতারা কোথায় ছিলেন প্রশ্ন তুলতেই স্পিকার মাইক বন্ধ করেন। প্রায় এক মিনিট বন্ধ রাখায় বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য এম কে আনোয়ার ও বিরোধীদলীয় ভারপ্রাপ্ত চিফ হুইপ শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি দাঁড়িয়ে এমপি রানুকে কথা বলতে দিতে স্পিকারের কাছে অনুরোধ জানান। এম কে আনোয়ার বলেন, এটা ইনজাস্টিস।

বিরোধীদলীয় নেতাকে নিয়ে মিথ্যাচার ও কটূক্তি করার সময় স্পিকার নীরব ছিলেন কেন? এটা নিরপেক্ষতার প্রমাণ নয়। ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম, আওয়ামী লীগের বাপের নাম’ বলতেই ফের স্পিকার মাইক বন্ধ করেন। ২২ সেকেন্ড মাইক বন্ধ থাকায় পারস্পরিক হৈ চৈ ও চিত্কারের পর মাইক দিলেও এক মিনিট পর আবারও মাইক বন্ধ করেন। এরপর বিরোধীদলীয় চিফ হুইপকে লাঞ্ছনাকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের কটূক্তির জের ধরে শেখ মুজিবকে বিষোদ্গার করলে আবারও মাইক বন্ধ করেন স্পিকার। এভাবে সাতবার মাইক বন্ধ করে ৩০ সেকেন্ড আগেই রানুর বক্তৃতা থামিয়ে দেয়া হয়।

রানু বলেন, সংসদে যখন ২৩ জুনের কথা শুনছিলাম। তখন ১৯৯৬ সালের ২৩ জুনের কথা মনে পড়ে গেল। ওইদিন আওয়ামী লীগের নেত্রী কাতান শাড়ি পরে সেজেগুঁজে বসে আছেন। প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিতে যাবেন। শপথ নিতে যাচ্ছেন না।

কিসের জন্য যেন অপেক্ষা করছেন। আমরা ছেলেবেলায় পড়েছি আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা ফুল তুলিতে যাই। ফুলের মালা গলায় দিয়ে মামা বাড়ি যাই। ওই সুরে সুরে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বললেন, আয় সন্ত্রাসীরা আয় বাকশালিরা চল খুন করিতে যাই লাশের মালা গলায় নিয়ে দেশ শাসনে যাই। মুহূর্তের মধ্যে হত্যা করা হয়েছে নোয়াখালীর ছাত্রনেতা সুমনকে।

তিনি বলেন, আমরা এই সংসদে এসেছি জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য। সামনে রমজান মাস দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে হবে। লোডশেডিংয়ের কবল থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হবে। যানজট নিরসন করতে হবে। আমরা এগুলো বলতে এসেছি।

আমরা সরকারের সমালোচনা করছি। আমরা সরকারের দুঃশাসনের বৈধতা দিতে এখানে আসেনি। আমরা রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে এখানে আসেনি। আমরা যখন সরকারের সাড়ে চার বছরের দুর্নীতির কথা তুলে ধরছি , দুর্নীতির থলের বিড়াল যখন বের হয়ে আসছে তখন উনাদের মাথা গরম হয়ে গেছে। উনারা সহ্য করতে পারছেন না।

সরকারি দল আজকে গিরিঙ্গী করছে, আমরা যেন সংসদ থেকে চলে যাই। গলাবাজি করে গায়ের জোরে সরকারি দলের এমপিরা এই সংসদকে পুরুষকে মহিলা আর মহিলাকে পুরুষ বানানো ছাড়া সব কিছুই করছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চার শূন্য গোলে পরাজিত হয়েছে। আজ সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে। এটা আমার কথা নয়।

এটি আনন্দবাজার পত্রিকার কথা। রানু বলেন, আমরা উনাদের অন্তরের জ্বালা বুঝি। হেরে যাওয়ার বেদনা আমরা বুঝি। হেরে গিয়ে তারা আজ আবোল তাবোল বকছে। আমরা ওয়াকআউট করব কিন্তু সংসদ ছেড়ে যাব না।

সাড়ে চার বছর উনারা যে দুর্নীতি করেছে তার কলিজা কাঁপানো দলিল আমাদের কাছে আছে। উনাদের দুর্নীতির কথা সংসদে তুলে ধরে উনাদের মুখোশ আমরা উন্মোচন করব। মতিউর রহমান রিন্টুর লেখা একটি বই দেখিয়ে তিনি বলেন, আমি যদি এই বইটি পড়া শুরু করি ওখানে বসে উনারা বানরের মতো লাফালাফি করবেন। মজার বিষয় ওয়াকআউট করতে পারবেন না। চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল বিজয় ঘোষণা করছে আগামী দিন নির্যাতিত নিপীড়ন মানুষের নেতা খালেদা জিয়ার।

আজ যদি কেউ প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগের বড় শত্রু কে তাহলে উত্তর দেবেন আওয়ামী লীগের বড় শত্রু দলটির নেতানেত্রীদের জিহ্বা। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সংসদ এটা। এটা ভারতের সংসদ নয়। ২০ জুন সংসদে দেয়া অপু উকিলের অশালীন বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে রানু বলেন, ওইদিন সরকারি দলের একজন সংসদ সদস্য ফেনসিডিল ও ইয়াবা খেয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আমাদের নেতাকে নিয়ে নিকৃষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন। এই বক্তব্য কুিসত নোংরা অন্ধকার জগত্ থেকে উঠে আসা নর্দমার কীটের পক্ষেই সম্ভব।

এই অসত্য, নিকৃষ্ট, অমার্জনীয় বক্তব্যের জন্য তাকে জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে। আমাদের নেত্রীর পরিবার নিয়ে এখানে নোংরা ইতিহাস পাঠ করা হয়েছে। আমি থুথু ছিটাই তার মুখে। তিনি একটি বইয়ের কথা বলেছেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই এই নামে কোনো বই নেই।

উনার স্বপ্ন দোষ আছে। উনি এটা স্বপ্নে দেখেছেন। এই বইয়ের লেখক এবং প্রকাশক উনার নেত্রী। এই সংসদে বসে যিনি এমপিদের চিরকুট পাঠান অশালীন ভাষায় বক্তব্য দেয়ার জন্য। তিনি বলেন, মাননীয় স্পিকার আপনি আমাদের রুলিং দিয়েছেন।

সংসদ নেত্রীকে রুলিং দেবে কে? সংসদের এক নাম্বার ব্যক্তি যদি ঠিক হয়ে যান, তাহলে আমরা সবাই ঠিক হয়ে যাব। শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের ইতিহাস তুলে ধরে রানু বলেন, কলকাতা সিভিল কোর্টের উকিল ছিলেন মি. চণ্ডিদাস। তার এক মেয়ে ছিল যার নাম গৌরিবালা দাস। চণ্ডিদাসের সহকারী উকিল মি. অরণ্য কুমার চক্রবর্তী চণ্ডিদাসের কলকাতার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সেই সুযোগে গৌরিবালার সঙ্গে অরণ্য কুমারের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

একপর্যায়ে গৌরিবালা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। গোরিবালা যখন বুঝতে পারলেন তিনি গর্ভবতী হয়েছেন, তখন গৌরিবালা অরণ্য কুমারকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন। অরণ্য কুমার বিয়েতে রাজি না হয়ে অবৈধ সম্পর্ককে অস্বীকার করেন। এদিকে চণ্ডিদাস বিষয়টি জানার পর চিন্তিত হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে গৌরিবালা ১২-১২-১৯২০ সালে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।

তার নাম রাখা হয় দেবদাস চক্রবর্তী। চণ্ডিদাস অরণ্য কুমারকে গৌরিবালাকে উঠিয়ে নিতে চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু অরণ্য কুমার রাজি হন না। এরই মধ্যে দেবদাসের বয়স ২ বছর উন্নীত হয়। চণ্ডিদাস হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

দেবদাসের বয়স যখন ৩ বছর, তখন চণ্ডিদাসের মুহুরী শেখ লুত্ফর রহমান গৌরিবালাকে বিয়ে করে। তখন গৌরিবালার নাম রাখা হয় ছালেহা বেগম এবং ছেলের নাম রাখা হয় দেবদাস চক্রবর্তীর পরিবর্তে শেখ মুজিবুব রহমান। যার এফিডেভিট নং ১১৮, তারিখ ১০-১১-১৯২৩। রানু বলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত যে বাজেট দিয়েছেন এই বাজেট এদেশের মানুষের হতাশা-ক্ষুব্ধ-বেদনার দীর্ঘশ্বাস। বাজেটের প্রথম পাতায় আছে স্বপ্ন পূরণের পথে বাংলাদেশ।

আমি যদি বলি স্বপ্ন ভঙ্গের পথে বাংলাদেশ, সেটি কি ভুল হবে? দশ টাকায় চাল খাওয়ানোর স্বপ্ন দেখিয়ে যে ভোটারের ভোট নেয়া হয়েছে তার স্বপ্ন কি পূরণ হয়েছে? বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেকে ভর্তি করিয়ে মা স্বপ্ন দেখেছিলেন ছেলে জজ-ব্যারিস্টার হবে। সে ছেলে ছাত্রলীগে যোগ দিয়ে বই- খাতা-কলম ছুড়ে ফেলে টেন্ডার বাক্স দখল করতে গিয়ে মায়ের কোলে লাশ হয়ে ফিরেছে। নরসিংদীর মেয়র লোকমানের মা স্বপ্ন দেখেছিলেন ছেলে এমপি হবে, মন্ত্রী হবে। নিজ দলের মন্ত্রীর হাতে তিনি খুন হয়েছেন। ডেপুটি স্পিকারের স্বপ্ন ছিল স্পিকার হবেন।

তার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। তার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ চলছে। তবে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে সরকারি দলের লুটেরা মন্ত্রী আর এমপিদের। সংসদ নেত্রী বলেছিলেন এমপিদের হিসাব দেবেন এত বেশি সম্পদ হয়েছে যে, হিসাব মেলাতে পারছেন না। রানু বলেন, প্রধানমন্ত্রী নাকি ফজরের নামাজ পড়েন, কোরআন তেলওয়াত করেন।

সেটি যদি সত্যি হয়, রোজার আগে ইসলামিক টিভি ও দিগন্ত টিভি চালু করে প্রমাণ করুন আপনি একজন খাঁটি মুসলমান। রানু বলেন, আদালতপাড়ায় একজন প্রতিমন্ত্রীর নাম দেয়া হয়েছে থাবা বাবা। তিনি থাবা দিয়ে বিচারকদের রায় কেড়ে নিচ্ছেন। থাবা বাবা যে রায় লিখছেন বিচারকরা কালো চশমা পরে সে রায় পাঠ করছেন। ইদানীং তারা কর্নেল তাহের হত্যার আদালতে রায়ের কথা বলেন।

এই রায় দলীয় রায়। প্রগসনের রায়, থাবা বাবার রায়। এ রায় আমরা মানি না, মানি না, মানি না। আমরা ঘৃণাভরে এই রায় প্রত্যাখ্যান করছি। আদালতের রায় অনেক আছে।

আদালত রায় দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেত্রী রং হেডেড। এই রায় মেনে নিলে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন না। তিনি বলেন, যারা শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাদের প্রশ্ন করতে চাই শেখ মুজিবুরের জানাজায় আপনারা কোথায় ছিলেন। শেখ মুজিবের লাশ সিঁড়িতে ফেলে তার রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে যারা মন্ত্রিসভায় শপথ নিয়েছিলেন, তাদের শপথ পড়িয়েছিলেন এইচটি ইমাম। তিনি কার উপদেষ্টা? সাঈদীর ফাঁসি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ১৫০ জন ভক্ত জীবন দিয়েছে।

আপনাদের নেতার জন্য ক’জন জীবন দিয়েছেন, জানতে চাই। অনেকে বলেন খুনি বাবার খুনি কন্যা, নাম তার ভালোবাসি না। উনি দেশে আসার ১৭ দিনের মাথায় জিয়াউর রহমান শাহাদতবরণ করেন। উনি যদি খুনি-ই না হন, জিয়ার শাহাদতের পর কালো বোরকা পরে ভারতে পালানোর সময় আখাউড়া সীমান্তে কেন বিডিআরের হাতে ধরা পড়েছিলেন—দেশের মানুষ জানতে চায়। আমরা এত সুন্দর ভাষায় কথা বলছি।

উনারা বলে আমরা নাকি নিষিদ্ধ পল্লীর ভাষায় কথা বলি। উনাদের নারী সংসদ সদস্যরা যে ভাষায় কথা বলেন সেটি নিষিদ্ধ পল্লীর সর্দারণির ভাষা। বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রত্যাখ্যাত প্রিন্সেস টিনা খান, প্রিন্সেস জরিনা সুন্দরীরা এখন সংসদে। দিশেহারা হয়ে ফেনসিডিল খেয়ে তারা আবল-তাবোল বলছেন। তারা বলেছেন, আমরা জঙ্গির হোতা।

জঙ্গি নেতা আবদুর রহমান, বাংলা ভাই আওয়ামী লীগের এক এমপির দুলাভাই। আওয়ামী লীগের সব এমপি আবদুর রহমানের শালা ও শালী ওই এমপির কোটায় আবদুর রহমান সারের ডিলারশিপ পেয়েছিল। সেই টাকা নিয়ে জঙ্গিবাদ তৈরিতে বিনিয়োগ করেছিল। জঙ্গবাদের আশ্রয়দাতা-প্রশ্রয়দাতা আওয়ামী লীগ, অন্য কেউ নয়। একজন বলেছেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চিফ হুইপ এ্যানির ভাই ছাত্রলীগ করত।

এক সময় করতেন, এখন করেন না। মন্ত্রী সোহেল তাজ যেভাবে আওয়ামী লীগকে তালাক দিয়ে চলে গেছে, সেভাবে অনেকেই চলে গেছেন। পুরুষ নির্যাতনের শিকার ড. ওয়াজেদ মিয়া একবার আমাদের নেত্রীর কাছে গিয়ে বলেছিলেন, আমি আপনার দলের সমর্থক। ঘরের মহিলার জ্বালায় আমি অতিষ্ঠ। যে নারী তার স্বামীকে শান্তি দিতে পারে না, সে কি করে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে শান্তিতে রাখবে? তারেক রহমানের জনিপ্রয়তায় সরকার নার্ভাস।

নার্ভাসনেস কাটানোর জন্য তাদের এই চিত্কার। এক-এগারোতে তারেক রহমানের চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে ১ কোটি টাকার। আওয়ামী লীগ নেত্রীর নামে তিন কোটি টাকা চাঁদার মামলা হয়েছে। তাহলে কে বড় চাঁদাবাজ? সরকারি দলের সামনের সারিতে বসা একজন সংসদ সদস্য এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন, তারা ব্লগার রাজীবের প্রেতাত্মা।

তারেক রহমান যেদিন ফিরবেন, জনতার ঢল দেখে তাদের থোতা মুখ ভোঁতা হয়ে যাবে। গলার মধ্যে ব্যাঙ ঢুকবে, কথা বের হবে না। যারা বলছেন প্রতিবাদ করতে এয়ারপোর্টে যাবেন, তাদের বলতে চাই—জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের দ্বারা যেসব বোন ধর্ষিত হয়েছে, সে ধর্ষিত বোনেরা আপনাদের পথ আটকে দেবে। গণধোলাই খেয়ে রাম রাম হরে কৃষ্ণ হরে রাম, আওয়ামী লীগের বাপের নাম বলে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে আসবেন। মেঘ দিয়ে যেমন সূর্যের আলো ঢেকে রাখা যায় না, ঠিক তেমনি তারেক রহমানের নামে কুত্সা রটনা করে জয়ের কলঙ্ক ঢেকে রাখা যাবে না।

কখনও জয়ের সঙ্গে তারেক রহমানের তুলনা করবেন না। জয়ের সার্টিফিকেটের কথা বলেন? বিদেশে গেলে টাকা দিয়ে বহু সার্টিফিকেট কিনতে পাওয়া যায়। সজীব ওয়াজেদ জয় মাতাল, জেলখাটা আসামি। মাতাল অবস্থায় রাস্তা থেকে ধানমন্ডি ও গুলশান থানায় সে কয়েকবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। মাতালের মায়ের আবার বড় গলা! প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের নেত্রীর বাড়ি থেকে নাকি মদের বোতল পাওয়া গেছে।

নেত্রীকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে মনের সুখে ফেনসিডিল খেয়ে, দুই বোতল মদের অর্ধেক নিজে খেয়ে বাকি অর্ধেক নেত্রীর খালি বাসার ফ্রিজে রেখে এসে মিডিয়া পাঠিয়েছেন। এ ধরনের নোংরা বিকৃত মানসিকতাকে ধিক্কার জানাই। বাংলাদেশের মানুষ এসব খলনায়িকাকে জানে এবং চেনে। এ সংসদের সামনে আমাদের চিফ হুইপকে লাঞ্ছিত করেছে পুলিশ অফিসার হারুন ও বিপ্লব সরকার। সেদিন আমরা মিছিল বের করেছিলাম।

হারুন ও বিপ্লব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ করত; এরা আমাদের জুনিয়র ছিল। বিপ্লব সরকার আমাদের বলে, বিএনপি এমপিরা সব শুয়োরের বাচ্চা। একজন হিন্দু অফিসারের ঔদ্ধত্য দেখে আমাদের মনে প্রশ্ন জেগেছে— আমি কি বাংলাদেশে আছি, নাকি ভারতের অঙ্গরাজ্যে আছি। তারা শেখ মুজিবকে তথাকথিত জাতির জনক বলে। তাহলে তিনি আমাদের সবার আব্বা।

উনি যদি আমাদের আব্বা হন, আর আমরা যদি শুয়োরের বাচ্চা হই, শেখ মুজিব তাহলে কি? এ ধরনের পুলিশ অফিসারদের শুধু পদোন্নতি দেয়া হয়নি, রাষ্ট্রপতি পদক দিয়ে ওই পদকে-পদককে কলঙ্কিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে বিদেশের হোটেলে মদ খেয়ে রাতের বেলা প্রধানমন্ত্রীর প্রেস অফিসার শাকিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নারী কর্মকর্তাকে জড়িয়ে ধরেছে। একজন নারী প্রধানমন্ত্রীর অফিসে নারী কেলেঙ্কারির নায়ক শাকিলের চাকরি কি করে এখনও বহাল আছে? সুত্র ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।