আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঙ্গালীর শ্বাশত মুদ্রাদোষ ও দৈনন্দিন ভোগান্তির গল্প-

নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!! আমাদের গ্রামের বাড়ীর সদর দরজার দু' পাশের ফুলের টব, মাটি, ঘাস সবই গেছে। মাটির উপর লাল আস্তর পড়ে গেছে। না, বজ্রপাত বা এসিড বৃস্টি নয়। কারণ একটাই- পানের পিক! বাড়ির বয়ো:জেস্ট, আগত মেহমান, প্রতিবেশী সবাই গাল ভরে পান খান, আর মুখভর্তি পিক ফেলেন। বেশ কিছু জানালার গ্রীলেরও একই দশা! পানের মতই আরেক যন্ত্রনা বিড়ির লেজ।

যেখানে সেখানে বিড়িখোররা লেজ ফেলে যায়। এতটুকুও চিন্তা করেনা গৃহকর্তার যন্ত্রণার কথা। অফিস আদালতের সিড়ির কোনাগুলো এক্ষেত্রে মার্কামারা ভেন্যুতে পরিণত হয়েছে। অনেকে টয়লেটগুলো গন্ধ করে ফেলেন বিড়ি খেয়ে। ধোঁয়ার চাপ ছাড়া নাকি তাদের লাদি বেরুয়না! এ কেমন কথা!! থুথু নিয়েও কম কথা বলা যায়না।

এত থুথু কোথা থেকে আসে। আর ফুটওভার ব্রিজ বা আন্ডারপাসেই সব থুথু ফেলতে হবে এমন কথা আছে নাকি! এমনকি অনেকে কিচেন সিংকে থুথু ফেলেন। কি ভয়াবহ:! থুথু ফেলা যেমন তেমন, তার গগনবিদারী আওয়াজ। বিশেষ করে যখন কফ ফেলেন। আজকাল বাসার ডাইনিং রুমের লাগোয়া বেসিন থাকে।

অন্যরা আহাররত: অবস্থায় এভাবে খোত খোত করা নেয়াহেৎ বন্যতা। থুথু, কফ, কাশি যারা ম্যানেজ করতে পারেনা নাক ঝাড়ায় তারা সংগত কারণেই এক কাটি সরেস! দরজার হাতল, বাসের সীট, জানালা, তালা, কি-বোর্ড, গীটার, মোবাইল, টাকা, পেনড্রাইভ, কলম, চাবির রিং- কোথায় নেই তাদের নাসারন্ধ্রের শ্লেষা। এ হাত ও হাত ঘুরে এসে পড়ছে সবার হাতে! মুত্রত্যাগও কম জ্বালার নয়। যে পরিমাণ পুরুষকে এদেশে রাস্তাঘাটে মুততে দেখা যায় তার শতাংশও কুকুর বিড়ালকে সম-কাজে দেখা যায় না। দেখে শুনে মনে হয় বাসার মুত চেপে রাস্তায় চলে আসে! ভাগ্যিস জনসংখ্যার অর্ধেক নারী।

অনেকেই দেয়ালের দিকে মুখ করে মুতেন, যা রাস্তা/ফুটপাতের দিকে গড়িয়ে চলে আসে। আবার এদেশে শহরাঞ্চলে মুত্রত্যাগের নির্ভরযোগ্য স্থান মসজিদ! সেখানে একশ্রেনীর লোককে দেখা যায় পুংদন্ড হাতে, পাবলিকলি খেক খেক করে। এ কেমন রুচিবোধ! জনসম্মুখে নাক/কান খোচানো এবং খুঁচিয়ে আনা কিউটিক্যাল হাতে নিয়ে পরীক্ষা করা, এমনকি পুনর্বার শুকেঁ দেখা আরেকটি উপদ্রব।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।