আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঙ্গালীর নৈতিকতা ... (পর্ব-২)

গভীর কিছু শেখার আছে ....

সারা বছর যে কাপড়গুলো পড়ি তার অধিকাংশই কেনা হয় ঈদে। এ কারণে ঈদে মার্কেটে গেলে একাধিক কাপড় কেনাটা আমার দীর্ঘদিনেরই একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে। এবারের ঈদেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। নিউমার্কেটের পাশে চন্দ্রিমা মার্কেটের দোতলায় অবস্থিত ‘বিসমিল্লাহ ফ্যাশন’ (দোকান নং-৫০,৫৩) থেকে ৩টি জিন্সের প্যান্ট কিনেছি। প্যান্টগুলোর মাপ (কোমর+লম্বা) ঠিক মতো পরীক্ষা করে দেখার পরও কিভাবে যেন দোকানের সেলসম্যান একটি একটি প্যান্টের ক্ষেত্রে আমার কোমরের মাপের চেয়ে বেশ ছোট মাপের প্যান্ট শপিং ব্যাগে গছিয়ে দিয়ে ছিল।

ঈদের ঠিক আগের দিন প্যান্টগুলো কেনার কারণে রাতে চেক করে কোমরের মাপ ছোট বোঝা সত্ত্বেও আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না তা দোকানে গিয়ে চেঞ্জ করা। আবার ঈদের পর ঢাকার বাইরে যাওয়া, ঢাকায় ফিরে আবার অফিস শুরু করাসহ নানাবিধ কারণে প্যান্টটি আর চেঞ্জ করার সময়টি করে উঠতে পারিনি। অবশেষে বিশেষ একটি কারণে আজ আজিমপুর যাবার কারণে প্যান্টটি চেঞ্জ করার উপলক্ষ হয়ে উঠলো বলে সঙ্গে নিলাম। সাধারণত দোকানীদের মাঝে একটি ধারণা কাজ করে যে, সকালে কোন কিছু বিক্রয় না করে তারা কোন পণ্য ফেরত নেয় না। তবে আমি যেহেতু পণ্য ফেরত নয় বরং ঠিক মাপ মত নিতে যাচ্ছি তাই মোটেও আশংকা করি নি যে, দোকানীদের এ ধরণের কোন ধারণার স্বীকার হবো।

তবুও দেরী করেই দোকানে গেলাম। তখন দুপুর সাড়ে ১২টার কাঁটা পেরিয়েছে। দোকানে গিয়ে প্যান্ট চেঞ্জ করার কথা বলতেই তারা দাবি করলো যে, প্যান্ট চেঞ্জ তারা করবে, তবে এজন্য তাদেরকে অতিরিক্ত ৫০ টাকা দিতে হবে। কারণ হিসেবে তারা জানালো, সকাল থেকে এখনো কোন পণ্য তারা বিক্রয় করতে পারেনি। আমি তাদেরকে যতই বোঝাই না কেন, আমি তো তাদের পণ্য ফেরত দিতে আসিনি।

কিন্তু তারা নাছোড়বান্দা। শেষে তারা তো পারলে আগের ছোট মাপের প্যান্টই আমাকে ফেরত দিয়ে দেয়। টাকাটা হয়তো বড় কোন কারণ নয়, তবুও এভাবে অনায্য দাবির মুখে হার স্বীকার করে উপায়ন্তর না দেখে ৫০ টাকা দিয়ে ঠিক মাপের প্যান্টটি নিলাম। দোকান থেকে বের হবার আগে তাদেরকে শুধু একটি কথাই বললাম, ‘এভাবেই বাংলাদেশী দোকানদাররা কাস্টমার ও ব্যবসা হারায়!’ ২৬ সেপ্টেম্বর রাত ১২-৩৪ মিনিট মোহাম্মদপুর, ঢাকা। বাঙ্গালীর নৈতিকতা ... ১ম পর্ব ৩য় পর্ব


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।