আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিলুপ্তির পথে জাপানিরা!

জাপানীরা ভিসা দিতে এতো ঝামেলা করে কেনো? তারা কি জানে তাদের কিছু সমস্যা আমরা সহজেই সমাধান করতে পারি! এবার নীচের খবরটা পড়া যাক............. বর্তমান জন্মহার বজায় থাকলে আগামী এক হাজার বছরের মধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে জাপানিরা। সংখ্যাতাত্ত্বিকভাবে প্রমাণিত পিলে চমকানো এ তথ্য শুক্রবার প্রকাশ করেছেন জাপানি গবেষকরা। জাপানে এখন ১৪ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ১ কোটি ৬৬ লাখ। প্রতি ১০০ সেকেন্ডে এ সংখ্যার হার একজন করে কমে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিসংখ্যান অনুযায়ী আগামী এক হাজার বছর পর জাপানে শিশুর সংখ্যা শূন্যে নেমে আসবে।

ফলে এক হাজার বছরের মধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে জাপানিরা। জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় সেনদাই শহরের একটি প্রতিষ্ঠান সংখ্যাতাত্ত্বিকভাবে এ হিসাব করে দেখিয়েছে। তোকোহু ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক হিরোশি ইয়োশিদা বলেন, ‘জন্মহার এভাবে কমতে থাকলে ৩০১১ সালের ৫ মে আমরা চিল্ড্রেনস ডে পাবলিক হলিডে কাটাতে পারব। তখন মাত্র একটি শিশু অবশিষ্ট থাকবে। কিন্তু ১০০ সেকেন্ড পর সেটিও আর অবশিষ্ট থাকবে না।

সব মিলিয়ে আমরা বিলুপ্তির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। ১৯৭৫ সালে যখন জন্মহার দুইয়ের নিচে নেমে এসেছিল তখনই আসলে বিলুপ্তির এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। ’ অপর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, আগামী শতাব্দীতেই জাপানের জনসংখ্যা বর্তমানের চেয়ে এক-তৃতীয়াংশ কমে যাবে। জাপানের বর্তমান জনসংখ্যা ১২ কোটি ৭৭ লাখ। আশঙ্কাজনক ব্যাপার হচ্ছে, জাপানিদের গড় আয়ুও আাগামীতে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০৬০ সালে এখানকার নারীদের আয়ুষ্কাল হবে ৯০ বছর এবং পুরুষের হবে ৮৪ বছর। বর্তমানে জাপানে প্রায় ২০ শতাংশ মানুষের বয়স ৬৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি। ক্রমবর্ধমান এই বেশি বয়সী জনগণ জাপানের নীতিনির্ধারকদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ একদিকে বয়স্ক শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে এবং সেই সাথে পেনশনভোগীর সংখ্যাও বাড়ছে, যা চাপ সৃষ্টি করছে জাপানের অর্থনীতিতে। কিন্তু জাপানের জনসংখ্যার এই বর্তমান অবস্থা কোন কোন ব্যবসায়ীর মুনাফা অর্জনের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইউনিচার্ম জানিয়েছে, চলতি অর্থ বছরে তাদের অ্যাডাল্ট ডায়াপার বিক্রির পরিমাণ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। এর মধ্য দিয়ে তারা সিনিয়র মার্কেটে প্রবেশ করতে পেরেছে। জাপানে জনসংখ্যার এই সংকটজনক পরিস্থিতিতেও অবশ্য অভিবাসী প্রবেশের কঠোরতা শিথিল করার ব্যাপারে নারাজ সেদেশের জনগণ। Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.