আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিলুপ্তির মুখে আমাদের বাঘ

দেখা যত ছবি, শোনা যত শব্দ, হৃদয়ের সব উপলব্ধি, আর যত এলোমেলো ভাবনা ২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া ‘বাঘের তুলনামূলক সংখ্যা’ (বাংলাদেশ সুন্দরবন রিলেটিভ টাইগার অ্যাবানডেন্স সার্ভে ২০১২) শীর্ষক ওই জরিপে বিলুপ্তির মুখে আমাদের বাঘ । গত চার বছরে রয়েল বেঙ্গল টাইগার কমেছে ৬৯ শতাংশ। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই প্রাণী সংরক্ষণে জরুরি উদ্যোগ না নিলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সুন্দরবন থেকে তা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বন বিভাগ ও বাংলাদেশ বন্য প্রাণী ট্রাস্টের (ডব্লিউটিবি) এক জরিপ প্রতিবেদনে এ আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। এর বেশ কিছু কারন রয়েছে- ১।

২০১২ সালের সর্বশেষ জরিপে বাঘ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে মূলত চোরা শিকারিদের দায়ী করা হয়েছে। একজন পেশাদার চোরা শিকারি জরিপকারী দলের কাছে স্বীকার করেন যে তিনি ২০১১-১২ সালের মধ্যে ২৭টি বাঘ হত্যা করেছেন। ২। চীনসহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ভেষজ ওষুধ হিসেবে বাঘের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যবহার বাড়ছে। ফলে সুন্দরবনের বাঘ ওই চোরা শিকারিদের নজরে পড়েছে।

৩। বাঘের প্রধান খাদ্য হরিণের সংখ্যা কমে যাওয়া। ৪। এ ছাড়া গত পাঁচ বছরে সিডর ও আইলার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাতে বাঘের সংখ্যা কমেছে। বাঘের সংখ্যা কমার সর্বশেষ কারণ হিসেবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও বন উজাড়কে চিহ্নিত করা যায়।

সমাধানে যা করা যেতে পারে- ১। বাঘ শিকারি নির্মূলে সুন্দরবনে অতিরিক্ত টহল বাড়ানো, বন্য প্রাণী অপরাধ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি তথ্যকেন্দ্র স্থাপন। ২। বাঘ ও হরিণ হত্যা প্রতিরোধে একটি টাস্কফোর্স গঠন। ৩।

বাঘ ও হরিণ হত্যায় ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ানো আর সবচাইতে বড় কথা আমাদের এই প্রিয় প্রাণীটিকে বিলুপ্তি থেকে বাঁচাতে সবাইকে সজাগ এবং সচেতন হতে হবে, তাহলেই কিছু করা সম্ভব।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.