আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বান্দর যে আসলেই বান্দর এর প্রমাণ হাতেনাতে পেলাম। অ্যা স্টোরি অফ পিকনিক টু মাধবপুর লেক & লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান।

জীবন আসলে চিল্লাপাল্লা ছাড়া কিছুই না। সেটাই করতে চাই, মনের সুখে, ইচ্ছা মতন। এইডা কেমন হল? আজকের পর থেকে আধাঘণ্টা টাইমটা তো আমার কাছে ভিলেন হয়ে গেল। মাত্র বাথরুম থেকে বের হয়ে এলাম আধাঘণ্টা সাবান ডলার পর (সাবান ডলার কার্যকারণ অত্যন্ত দুঃখের, এইটা না হয় পরেই বলি), আর সকালে পিকনিকের বাসের জন্য আধাঘণ্টা অপেক্ষা করতে গিয়ে একবার CNGর নিচে পরতে পরতে বেঁচে গেলাম। এর মধ্যে বাসের দেরী দেখে যখন গোলাবিতে ঢুকলাম নাস্তা করতে, সাথে সাথে ভয়ানক কালো দ্বৈতের মতো বাসটা এসে হাজীর।

সবাইকে বাসিয়ে রেখে তো আর ডাক্তারি ভাষ্য মতে ৩২ বাইট দিয়ে নাস্তা খাওয়া যায় না! মেজাজটা বিগড়ে গেল নাস্তার উপরই, কারণ এতো মজার পিকনিকের বাসের সাথে রাগ করার চেয়ে সকালের মামুলী নাস্তার সাথে রাগ করে থাকা অনেক লাভজনক। খাবার দাবার রেখেই ওয়েটার মামার লাল চোখের সামনে থেকে পালিয়ে আসলাম, এক দৌরে একদম বাসের সীটে। আপনিই কন দেখি, আপনার জীবনে কোনও পিকনিক কি যে টাইমে শুরু হওয়ার কথা তার ১৫ মিনিটের মধ্যে শুরু করতে পেরেছেন? এও সম্ভব? মাঝখান থেকে আমার উপুস দেয়া লাগলো। উপুস দেয়ার সব দুঃখ ভুলে গেলাম বাসের সিঁড়িতে পা রেখেই, আমার প্রিয় প্রায় সব মানুষের সমাহার ঘটেছে একসাথে। এটা ছিল সারপ্রাইজের শুরু, আমি জানতাম জবাই ভার্সিটি গেট থেকে শুরু করবে, কিন্তু বাসে উঠে দেখলাম তা না।

ভার্সিটির ভেতর থেকেই সবাই জমায়েত হয়ে এসেছে, আমি ছারা সবাই দেখি সীটে বসে আমার দিকে তাকিয়ে ৩২ দন্ত বিকশিত করে খেলাচ্ছে। একমাত্র রুহিন ভাই মাথা গুন্তিতে ব্যস্ত। তিনি হিসাব কিতাব করে বের করছেন কে কে আসেনি এখনো (এখান থেকে আমরা শিক্ষা পাই যে, জীবনে কখনো পিকনিকের অর্গানাইজারের দায়িত্ব নিতে নাই। কষ্ট করতে করতে জান শেষ। ) এর পর আর কোনও সাধারণ ঘটনা নাই, আর আমি খুব কাঁচা মানের ব্লগার।

তাই সব ভাষায় ব্যাখ্যা করার মতো শক্তিশালী ভাষাও আমার জানা নেই। “তিন পাগলে হইল মেলা দিয়ে” দিয়ে মাস্তির শুরু। নীল দরিয়া, হাসন, তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর, নিতুয়া পাথারে,ও সুইটি, গাড়ি চলেনা, ও টুনির মা, স্বাদের লাউ, বেদের মেয়ে জোছনা, টিকাটুলির মোড়ে একটা হলের কাহিনী সহ আরও কত কিছুর কাহিনী যে গানে গানে শুনতে হল সারাটা রাস্তা!!! অ্যানি আপ্পু, শারমিন আপ্পু, পিয়াস, দীপঙ্কর, মোশাররফ, মিষ্টি, আনুকা, ইভান, মাসুম ভাই, নন্দিতা, নিলাদ্রি, মাসুম ভাই, পিছন থেকে যোগ হল শাওন ভাই ও ঝুলি আপ্পু। শিল্পী যখন বেশি হয়ে গেল তখন শুরু হয়ে গেল বিখ্যাত বর্ণ দিয়ে গানের খেলা। এ এক end less game... আমার ধারণা আমার দলের শারমিন আপ্পু কিংবা ডান সারির জুনিয়র মেয়ে গুলো এই প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিয়ে আসছিল, তা না হলে এত্ত গান ইনস্ট্যান্ট বের করা কেমনে সম্ভব? আমরা গিয়েছি “চোখ ফিল্ম সোসাইটির ” ব্যানারে।

এখানেও এতো শিল্পীর আবির্ভাব কেমনে হল? মাথায় কবার চিন্তা আসছিল পুরানো দিনের বাংলা সিনেমার মরহুম নির্মাতাদের সবাইকে একবার প্লান চ্যাটে এনে তাদের বানানো গান গুলোর উপর আমাদের দখল দেখিয়ে দেয়া। আমি নিশ্চিত খুশিতে তারা ২০ মিনিটও ঠিকতে পারবেন না, হেঁচকির কবলে পরে চ্যাট থেকে বেড়িয়ে যাবেন। আমাদের প্লান হচ্ছে, সিলেট থেকে প্রথমে মাধবপুর লেক; তারপর ফেরার পথে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান হয়ে ফিরে আসব। যখন পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তখন ভয়ে ছিলাম। সিলেটে এখন বৃষ্টির মহড়া চলছে, সকাল-বিকাল-দুপুর-সন্ধ্যা-রাত কোনও মাপ নাই, যখন তখন বৃষ্টি হয়।

বলার মতো ব্যাপার হচ্ছে, ঐদিনের আবহাওয়াটা ছিল একদম ইউজার ফ্রেন্ডলি। মানে কাঠফাটা রোদও ছিল না, আবার বৃষ্টিও না, চমৎকার বাতাস; মানে পরিপূর্ণ আরামদায়ক বলতে যা বুঝায় আর কি। রাস্তাঘাটের পাশের দৃশ্য প্রায় মিস করতে গেছিলাম গানের উন্মাদনায়, কিন্তু হাউরের মাঝখান দিয়ে যখন আপনি কোথাও যাবেন আর সে দিকে একবার আপনার চোখ চলে যায়; আর কি ফেরানোর উপায় আছে? হাউর শেষে এলো টিলাময় রাস্তা। ছোট পাহার আর টিলার মাঝখান দিয়ে বানানো রাস্তা, আর একেক বার ১৪৫ ডিগ্রি করে বাঁক নেয় আবার এই বাঁক শেষ হওয়ার আগেই আরেকটা সমমানের বাঁকের শুরু হয়। চা বাগান, বন জঙ্গল, পাহাড় আর হাউর পেড়িয়ে প্রায় সারে তিন ঘণ্টায় পৌঁছলাম আমাদের গন্তব্যে।

ছবিঃ টিলার উপর থেকে মাধবপুর লেক। বাস থেকে নেমে মিনিট ২০এর মতো হেটে লেকের দেখা পেলাম। দেখি সারা লেক জুড়ে খালি সতর্ক বাণী, “লেকে গোসল করা সম্পূর্ণ ভাবে নিষেধ”, “ফুল ছিঁড়া হারাম”, “মালামাল নিরাপদে রাখুন”......... ইত্যাদি...। দীপঙ্কর বুদ্ধি করে একটা ফুটবল নিয়ে গিয়েছিল, যাদের ব্যাগে এক্সট্রা কাপড় ছিল মানে গোসল করার প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছিলাম সবাই চেঞ্জ করে নিচের জমিতে গিয়ে ফুটবল খেলা শুরু করে দিলাম। এখানেও আধাঘণ্টার একটা ট্রাজেডি আছে, ৩০ মিনিটের খেলার ফলাফল হচ্ছে, আমি দুই পায়েই ব্যথা পেয়েছি, আর ২-১ গোলে খেলায় পরাজিত হয়েছি।

আমরা যখন ফুটবল নিয়ে বিজি, সেই সময় টা কাঁপল মহোদয়গণ নিজেদের কাজে লাগাল। দুই জন দুই জন করে ভাগ হয়ে বিভিন্ন দিকে, কিছু বিবাহিতও কাঁপল (Ex.শ্যামলদা-বৌদি, শাওন ভাই-ঝুলি আপু) , কিছু ঘোষিত কাঁপল( Ex.রুহিন ভাই-কেলি), কিছু আবার চুড়ি করা কাঁপল (এদের নাম বলা যাবে না,আমার জীবনের ভয় আছে, ব্লগের চাইতে জীবনের মূল্য বেশী)। আর যাদের ঘুরার মতো কেও নেই, তারা বেচারার মতো গ্রুপ বেধে ঘুরাঘুরি করলো আর ফটো-সেশন করলো লেকের চার পাশে, টিলার উপর উঠে। আহারে বেচারা রা! আহা!! আহা!!! তো খেলা শেষে যখন আবার লেকের পাড়ে উঠে এলাম এক মামা এসে কানাকানি করে বলল যে আমরা গোসল করতে পারবো, কিন্তু তাকে ২০ টাকা ঘোষ দিতে হবে। তার পর সাঁতার প্রতিযোগিতা, চাপাবাজি যত জনই করুক না কেন; আসলে সাঁতারুর সংখ্যা ছিল হাতে গুনা।

সাঁতার প্রতিযোগিতার ঘোষণা দিতেই দেখলাম লোকজনের নাক টানা শুরু হয়ে গেছে, কারো সর্দি লাগবে, কারো জ্বর উঠবে এইসব বাহানা আরকি। আমার ধারণা আসলে আমাদের মধ্যে খুব অল্প কয়েকজনই সাঁতার জানতাম (বড়ভাইদের ক্ষেপীয়ে দেয়া আমার এই কথা উদ্দেশ্য না, তারা যাতে চাপা একটু কম মারে তারই এক ক্ষুদ্র প্রয়াস)। যাক, সাঁতার প্রতিযোগিতায় সম্ভবত যূথ ভাবে ফার্স্ট হয়েছিলাম। কিন্তু এর মধ্যে এক বাংলা সিনেমার কাহিনী ঘটে গেল। অনেক দূর যাওয়ার পর “বাঁচাও.... বাঁচাও....” চিৎকার।

সব যেহেতু ফিল্ম সোসাইটির লোকজন গিয়েছে, তাই প্রথম ধাক্কায় মনে হইছিল কেও বুঝি ফিল্মই স্টাইলে কোনও জোক করতেছে। পরে দেখলাম, ঘটনা তো করুণ, আমাদের কৌশিক ভাই কে কেরোসিন অবস্থায় দীপঙ্কর টেনে তুলছে। কি কাণ্ড!! এতো বড় একজন মানুষ পানিতে ডুবে যাচ্ছে, সেটাই তো কেমন। আবার সে ফিল্মি স্টাইলে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিল্লাইতেছে, মজার ব্যাপার। আমরা আরও কিছুক্ষণ পানিতে বল ছুঁড়াছুঁড়ি করলাম, নিষিদ্ধ পদ্ম ফুল তুললাম কেননা না কেয়ারটেকার মামা যেহেতু ২০ টাকায় গোসল করার লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে, ফুল তুলার লাইসেন্স আর কত দূর? এর মধ্যে যারা লেকের চারপাশে ঘুরতে গিয়েছিল তারা ফিরে এসেছে, তারা জানালো তাদের পেটে নাকি ক্ষুধার অগ্নিকান্ড খুব ঘটা করে শুরু হয়ে গেছে।

তাড়াতাড়ি খাবারের গাড়ীর কাছে ফিরতে হবে। কিন্তু আমরা যারা ফুটবল খেললাম তাদের কি অন্য সিনারি দেখার অধিকার নাই? কি কন এইগুলা? চলে যাব মানে? লেকের পাশে দেখলাম কিছু কাঁচা আম পরে রয়েছে, মনে মনে ভাবলাম “পেয়েছি”। তাড়াতাড়ি পানি থেকে উঠে উনাদের কয়েক জনকে আম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে কয়েক জনকে কার্ড খেলায় বসিয়ে দিলাম ক্ষুধার চিন্তা উনাদের শেষ। আমরা তড়িঘড়ি করে কাপড় চেঞ্জ করে বেড়িয়ে পরলাম। এর মধ্যে কয়েকজন আমাদের ভেজা স্বল্প কাপড়ে ছবি তুলে বেইজ্জতি করার সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল।

কয়েক জন সফলও হয়েছে। লেকের পাশে ঘুরে দেখতে গিয়ে বিভিন্ন চিপায় শাওনভাই-ঝুলিআপ্পু, শ্যামলদা-বৌদিদের মতো নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কতিপয় কাঁপলদের আবিষ্কার করলাম। তাদের এই আরাম আপাতত হারাম হয়ে গেল। সবাই বাধ্য হয়েই আমাদের সাথে যোগ দিল, ঘুরাঘুরি শেষে আবার লেকের পাড়ে এসে দেখলাম কারো মনে খাওয়া দাওয়ার কোনও চিন্তাই নাই। সবাই জটলা পাকিয়ে আপন মনে কার্ড খেলছে।

হায় আল্লাহ! এখন কি হবে? পেট তো আর মনে না। এর মধ্যে পাকস্থলী হজম হয়ে যাবার যোগার, কিন্তু এদের খেলা থেকে উঠানো অত্যন্ত দুঃসাধ্য। তখন সর্ব শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার “ফটো সেশনের” লোভ দেখালাম, সাথে সাথে কাজে লাগলো। খাবার রান্না করে এনেছিল ভার্সিটির টঙ্গের কবির মামার হাতে। কবির মামা যে দেশের সেরা রন্ধন শিল্পী এর প্রমাণ হারে হারে পেলাম।

শারমিন আপ্পু আবদার করলেন তিনি সবাইকে নিজ হাতে বেড়ে খাওয়াবেন, এই আপত্তি কি ফেলা যায়? এত্ত আদর করে বলছেন যেহেতু? (খাবারের বর্ণনাটা না হয় অন্য কোনও একদিন কোথাও বলা যাবে, এখানে বর্ণনা দিতে চাইলে পরতে পরতে রাত হয়ে যাবে) বাসে ফিরে এলাম সবাই, এখন গন্তব্য লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। বাসে উঠে সবাই ঝিমিয়ে গেল ভাবলাম লাউয়াছড়ায় যাওয়ার আগ্রহে এই বুঝি ভাঁটা পরল। বলা চলে পুরো শব্দহীন অবস্থায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পৌঁছলাম। কিন্তু বাস থেকে নেমেই সবার চেহারা পাল্টে গেল। মনে হয় কিছু এনার্জি সেভ করে সবাই ফুল চার্জড হয়ে গেলেন।

পূর্ণ উদ্যমে বনের ভেতর ঢুকে গেলাম, দল বেঁধে ঘুরতে ঘুরতে বিখ্যাত সপ্ত বর্ণের চায়ের দোকানকে পাশে রেখে রেল লাইনের দু ধারে সারি করে বসলাম সবাই। শুরু হল গেমিং ইভেন্ট, এর আগেই ইমরান সবার কাছে ২-১ টা করে কুপন বিক্রি করেছিল, সেটারই ড্র। প্রথমে ডাকা হল যাদের কুফরের পেছনে “চোখ ফিল্ম সোসাইটি” এর বর্ণ গুলোর মধ্যে যে কোনও একটা আছে তাঁদের। একটা কলম নিয়ে চুরি করে একটা বর্ণ লিখতে গিয়ে ডাইরেক্ট ধরা খেলাম। এটা ছিল আসলে পাতানো খেলা, একটি স্থূল ষড়যন্ত্র।

কাদের কন কুপন দেয়া হবে সব আগেই সিলেক্ট করা ছিল। বাংলা বর্ণ সহ কুপন গুলো পেয়েছিল সব জুনিয়ররা, কিন্তু যখন বুঝলাম এই কুপন পাওয়ার মানে কি; হাফ ছেরে বাঁচলাম। ভাগ্যিস জুনিয়র মোস্ট ছিলাম না। একে একে সবার অভিনয় প্রতিভা দেখলাম, কেও ক্যনবাসার, কেও ভিক্ষুক, কেও বা হিজড়াদের চরিত্রে অভিনয় করলো। এবার ইংরেজি বর্ণের কুফরের পালা, এই পর্যায়ে বলির পাঠা সিনিয়র-মোস্টরা।

তারা করলো মিশা সওদাগর, মিনা খান প্রমুখ ভিলেনদের অভিনয়। ইভেন্ট চলাকালে একসময় আবিষ্কার করলাম উপর থেকে বৃষ্টির ফোঁটা পরছে। সবাইকে একটু তাড়াতাড়ি করার কথা বললাম, কিন্তু অন্যরা জানালো যে তাঁদের গায়ে নাকি বৃষ্টির ফোঁটা পরছে না। ঘটনা কি? উপরের দিকে তাকিয়ে দেখলাম কয়েকটা বদজাত বানর আমাদের দিকে তাকিয়ে দাঁত খেলিয়ে হাসছে। ঘটনা বুঝতে আর করোরই বাকী রইল না।

প্রথমে যে আধাঘণ্টা সাবান ডলে গোসল করার কার্যকারণ এড়িয়ে গিয়েছিলাম এইটা কি স্বাদে? ঘটনা যা ঘটার টা ঘটে গেছে, এখন আর কিছুই করার নেই। বান্দর যে আসলেই বান্দর এর প্রমাণ হাতেনাতে পেলাম। কিন্তু এতো মানুষ থাকতে আমার সাথে কেন যে রসিকতাটা করতে এলো!!! সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে, আমাদেরও বিদায়ের ঘণ্টা বেজে যাচ্ছে। গেমিং ইভেন্ট শেষে সবাই আবার বাসে ফিরছে। আমরা কয়েক জন টিলার উপর উঠে গেলাম সাত রঙের চা খাওয়ার লোভে।

কিন্তু বান্দরের প্রস্রাব শরীরে নিয়ে কি আর সাত রঙের চা মুখে রুচ্যে? একটা ভদ্র বানরকে পাশে বসিয়ে বিস্কিট খেতে দিয়ে আমরা চা পান করলাম; অতঃপর বাসের পানে প্রস্থান। এবার ফেরা, জীবনের অন্যতম একটা স্মরণীয় দিন শেষে বাড়ি ফেরার পালা এবার। মন টানছিল না, কিন্তু আর কোন উপায়ও তো নেই। বাসে উঠে দেখি সবার মন খারাপ, পিকনিকটা শেষ হয়ে গেল। আসার সময় প্রায় সারা রাস্তায় “টিকাটুলি মোড়ে একটা হল রয়েছে” গানের পেরডি আজকের পিকনিকের বিভিন্ন ঘটনার আলোকে গেয়ে গেয়ে আসলাম।

ছবিঃ একখান সেমিগ্রুপ ফটো। একটু আগে আমার ক্যামেরায় তুলা ছবি গুলো দেখছিলাম আর ভাবছিলাম এগুলো বুঝি সারাজীবনের সম্পদ হয়ে থাকল। উৎসর্গঃ চোখ পরিবারের সকল বন্ধুদের। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।