আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাতাস গ্রেনেড

বারবার শুধু ছিটকে পড়ি অশ্লীল কারাগারে জিএম স্যারের রুমেই যে চুড়ান্ত আক্রমন হবে সে ব্যাপারে শহিদুল হক নিশ্চিত ছিলেন। তবে যথাযথ প্রস্তুতি নেয়ায় আগ্রাসী নিম্নচাপটা সুবিধা করতে পারেনি। এরকম কঠিন দু:সময়েও চাঁদপনা মুখ করে থাকতে হয়েছিল কিছুক্ষণ। তবে সেটা ধর্তব্য নয়, এমনিতেই বড় স্যারদের রুমে হাসিমুখে জ্বি জ্বি করতে হয়। গতরাতে সেকেন্ড অফিসার সালাম সাহেবের ছেলের জন্মদিনে ভালই সাটিয়েছিলেন।

লাঞ্চে সালাম সাহেব বেচে যাওয়া বাসী তেহারী থেকে সামান্য সাধসাধিতেই লুল সামলাতে না পারার ফলস্বরূপ বহুমুখী চাপ আর ভুটভাটে পুরাই অস্থির শহিদুল। অতিরিক্ত শুচিবাইয়ের কারণে অফিসে বড়টা সারতে পারেননা। তাই সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করার প্রাণপণ চেষ্টা করতে লাগলেন। অভিজ্ঞতায় বলে পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্য কোন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়াটা একটা ভাল পথ্য। ’রাজন সাহেব, দেখলেন পাকিস্তান কি দেখাইয়া দিল! আফসোস আমাগো বিচার ব্যবস্থার কোন উন্নতি হইলনা’- আলাপ জমানোর জন্য নতুন জয়েন করা ইয়াং এ্যাডভান্স অফিসারের দিকে বিষয়বস্তু ছুড়ে দেয় শহিদুল।

ছোড়াটা ইয়াং আর ইয়াং হইলে যা হয় আরকি দেশপ্রেমে টগবগ করে, আবার শাহবাগেও নাকি যায় টায়। ’ কি দেখাইল আবার’, পাকিস্তানের কথা শুণে ঝাঝালো প্রতিত্তোর দেয় রাজন। ’ এই যে পারভেজ মোশাররফের রাজনীতি ব্যান করে দিল, আমগো হাইকোর্ট কি এরকম কিছু করতে পারতো! এই ঘটনা থেকে আমাগো বিচার ব্যবস্থার অনেক কিছু শেখার আছে। ’তার মানে ছ্যাচড়া চোর নেওয়াজ শরীফ রাজনীতি করতে পারবে, মি. পার্সেন্টিজ জারদারী প্রেসিডেন্ট হইতো পারবো, আর পারভেজ মোশাররফ রাজনীতি করতে পারবেনা! এর মধ্যে ভাল কি দেখলেন? আর পারভেজের শপথ হাইকোর্টের বিচারপতিরাই করাইছে, তখন কি তারা কাঠাল পাতা চিবাইতেছিল?’ চাপা রাগে গর্জাতে গর্জাতে উত্তর দেয় রাজন। ’তোমরা ইয়াং পুলাপানগো সমস্যা হইল সবকিছুর মধ্যেই গন্ধ খুঁজ।

পাকিস্তান খারাপ জাতি মানি। কিন্তু সবজায়গার ভালো কিছু থেকে শিখাটা কিন্তু খারাপনা। ’ আলোচনার বাতাস ঠিক পক্ষে না আসার কারনে শহিদুল হকের নিম্নচাপটা আবার চাগার দিতে লাগলো। নিজের চেয়ারে বসতে না বসতে চুড়ান্ত রকমের আক্রমন। শহিদুলও কম যাননা।

তিন স্তরের নিরাপত্তা দিয়া এন্ডিং পয়েন্টে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুললেন। কিন্তু চিপাচাপা দিয়ে বড় অংকের বাতাস হুশ করে বের হয়ে গেল। অনাহুত কিন্তু নির্গতা বাতাসে কোন সুরভী না থাকায় সাদেকুর নিশ্চিন্ত মনে নি:শব্দ হাসিতে ফেটে পড়লেন। এ হাসির অনুবাদটা দূরহ তবে যেটুকু অনুবাদ করা যায় তাতে এই অর্থ দাড়ায় যে, একটা বড় অংশের বাঙালী শত কঠিন চাপ, তাপ ঠেকিয়ে দিতে পারলেও পাকি প্রেমটা চিপা চাপা দিয়ে ঠিকই বের হয়ে .............. ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।