আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাতাস, ঢেউ আর আমরা

ভালোলাগে ভেসে বেড়াতে অন্ধকারের ব্যক্তিগত ছায়ায়.....

বৃষ্টিকে জড়িয়ে ধরে, বাতাসের সঙ্গে গল্প আর নদীর ঢেউয়ের সঙ্গে চোখাচোখি। এমনই ছিল ধরুন্তী, আমাদের ঈদ-পরবর্তী আনন্দ ভ্রমণ। ১৩ তারিখ রাতে আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস ছিল এটা। তার আগের ঘটনা: কথা অনুযায়ী এদিন দুপুরে দূর থেকে পৌর মার্কেটের সামনে বন্ধুদের জটলা দেখেই বুঝতে পারলাম আমার দেরি হয়ে গেছে। তাই প্রাথমিক আলোচনা শেষেই টেম্পো নিয়ে রওনা হলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মিনি কক্সবাজারখ্যাত সরাইলের ধরুন্তীর উদ্দেশে।

টেম্পোতে বসতে না-বসতেই, ‘ড্রাইভার ভাই, এসি আর সিডিটা ছাড়েন তো’—বন্ধু মুহিবের এ কথা বলতেই টেম্পোতে হাসির রোল পড়ে গেল। গন্তব্যে পৌঁছার পূর্ব পর্যন্ত এভাবেই চলল আমাদের প্যাকেজ হাসির ধারাবাহিক সব পর্ব। তারপর একসময় পৌঁছালাম আমরা হাওড়বেষ্টিত পানির রাজ্য ধরুন্তীতে; যার দুই ধারে পানিতে থইথই আর ঠিক মাঝখান দিয়ে চলে গেছে রাস্তা। বর্ষায় উতলা যৌবন দেখলে যে কারও প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করবে। চারদিকে পানি, গা শীতল করা উতলা হাওয়া, বন্ধু সোলায়মান, আশরাফ ও কাজলের খুনসুটি, রিহান ও তানজিম ভাইয়ের ফটোসেশন, জুবায়েরের গুনগুনিয়ে গান—সবই ছিল উপভোগ করার মতো।

তার সঙ্গে বাড়তি পাওনা হিসেবে যুক্ত হলো বৃষ্টি। আনন্দ ভ্রমণে পূর্ণতা এনে দেওয়া বৃষ্টিতে ভিজেই ঘুরে বেড়ালাম আমরা ধরুন্তী। পরদিন আবার পরিকল্পনা অনুযায়ী সবাই পৌর মার্কেটের সামনে একত্র হয়ে ভৈরবের দিকে রওনা হলাম। উদ্দেশ্য, মেঘনা নদীর পাড়ে আড্ডা দেওয়া। যখন পৌঁছলাম তখন বেলা প্রায় পাঁচটা, কিন্তু তখনো সূর্যের তাপ সর্বোচ্চ পর্যায়ে আর দেখলাম আমাদের মতো হাজারো আড্ডাবাজের ভিড়।

হঠাৎই রোদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নামল বৃষ্টি আর ঠিক তার পরই আকাশজুড়ে আলোকিত এক রংধনু। প্রকৃতির অসাধারণ এই দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে রইলাম আমরা সবাই। বৃষ্টি শেষেই সবাই মিলে গাছগাছালিতে ঘেরা নদীর পাড় ও দুটি সেতু (একটি রেলগাড়ির ও অন্যটি সাধারণ যানবাহনের) সংলগ্ন পুরো এলাকা ঘুরে নদীর পাড়ে পাথরের স্তূপে বসে আড্ডা দিলাম আর দেখলাম ঢেউ আর ডিঙিনৌকার হার-জিতের খেলা। আর অন্য পর্যটকদের স্পিড বোট ও নৌকায় চড়ে বেড়ানোর দৃশ্য। সন্ধ্যায় ফেরার পথে টানা দুই দিনের অফুরন্ত আনন্দের দৃশ্য চোখে ভাসছিল আর নীরব হয়ে সবাই ভাবছিলাম, আবার কবে দেখা হবে পানির রাজ্য ধরুন্তী আর ঘুরে বেড়াব মেঘনার পাড়ে...।

বি:দ্র: আজ প্রথল আলো বন্ধুসভা পাতায় লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে। পাঠকের মন্তব্য

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।