আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আওয়ামীলীগের যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা

লালসা-প্রেম মিলেমিশে একাকার, চোখের সামনে খোলা নরকের দ্বার... ১. কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব আমজাদ হোসেন ও ২. টাঙ্গাইলের সাবেক এম.পি.এ জনাব খোদা বখশ মোখতার তথ্য সূত্র: দৈনিক আজাদ, তাং- ২১-৫-১৯৭১, পৃঃ ৪-ক-৬, প্রকাশ-ঢাকা। তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি সূত্র থেকে এভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে: 'বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের ২ জন সদস্য পৃথক পৃথক বিবৃতিতে দল হইতে তাহাদের সম্পর্কচ্ছেদ করিয়া বিচ্ছিন্নতার হাত হইতে দেশকে রক্ষাকল্পে সরকারের সহিত পূর্ণ সহযোগিতা দানের জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানাইয়াছেন। উক্ত ২ জন সদস্য হইতেছেন অধুনালুপ্ত কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব আমজাদ হোসেন, টাঙ্গাইলের সাবেক এম.পি.এ জনাব খোদা বখশ মোখতার। ' ১. জনাব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তথ্য সূত্র: দৈনিক আজাদ, তাং- ৩-৭-১৯৭১, পৃঃ ৬-ক-৬, প্রকাশ-ঢাকা, তার জড়িত থাকার বিষয়টি সূত্র থেকে এভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে: 'চট্টগ্রামের পি.ই.২৪ নির্বাচনী এলাকা হইতে নবনির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য জনাব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের সহিত সকল সম্পর্ক ছিন্ন করিয়া পাকিস্তানকে সমর্থন করিয়া একটি বিবৃতি প্রদান করিয়াছেন। তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হই।

একজন পাকিস্তানী নাগরিক হিসাবে এবং সরল বিশ্বাসে আমি এই আশায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিয়াছিলাম। আমি আমার ক্ষুদ্র ক্ষমতা অনুসারে দেশ ও জনগণের খেদমত করিব। পাকিস্তানকে খণ্ড বিখণ্ড করার জন্য জনগণ আমাকে ভোট দেয় নাই। তিনি বলেন , আওয়ামীলীগের এই সব ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিতাম না এবং ২৫ মার্চের পূর্বে এবং পরবর্তী সময়ে আমাদের দেশের গোলযোগের অবস্থায় আমি কোন সমাজবিরোধী কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করি নাই। যথাসময়ে হস্তক্ষেপের জন্য এবং ধ্বংস ও ষড়যন্ত্র হইতে দেশকে রক্ষা করার জন্য আমি প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ ও বীর সেনাবাহিনীকে আন্তরিক মোবারক জানাইতেছি।

' ১. পটুয়াখালি হইতে নবনির্বাচিত এম.পি.এ জনাব মুজিবুর রহমান তালুকদার তথ্য সূত্র: দৈনিক আজাদ, তাং- ৬-৭-১৯৭১, পৃঃ ৪-ক-৫, প্রকাশ-ঢাকা। তার জড়িত থাকার বিষয়টি সূত্র থেকে এভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে: 'পটুয়াখালি হইতে নবনির্বাচিত এম.পি.এ জনাব মুজিবুর রহমান তালুকদার বেআইনী ঘোষিত আওয়ামীলীগের সহিত সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করিয়া বিবৃতি প্রদান করেন যে, পাকিস্তানকে খণ্ড-বিখণ্ড করার জন্য আওয়ামীলীগের মতলব সম্পর্কে তাহার কোন ধারণা ছিল না। জনাব রহমান পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতির প্রতি তাহার আস্থা পুনর্ঘোষনা করেন এবং পাকিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সংহতি বজায় রাখিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সময়োচিত ব্যবহার প্রতি জোর সমর্থন দান করেন। চট্টগ্রাম হইতে পরিবেশিত অপর এক খবরে প্রকাশ, চট্টগ্রাম সদর মহকুমার বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবুল বাশার উক্ত দলের সহিত তাহার সম্পর্ক ছিন্ন করিয়া পাকিস্তানের অখণ্ডতা ও সংহতির জন্য খেদমত করিতে প্রতিশ্রুতি দেন। জনাব বাশার দেশের স্বার্থে সামরিক আইন প্রশাসনকে সমর্থন দানের জন্য দেশ প্রেমিক জনমানুষের প্রতি আহ্বান জানান।

জনাব বাশার আরও বলেন যে, বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগ মুসলমানদের আবাস ভুমি পাকিস্তান সৃষ্টির মৌলিক নীতি বিসর্জন দিয়া যে ভারতের সহিত গোপনে আঁতাত করেছিল, ইহা তিনি পূর্বে জানিতেন না। তিনি জানান যে, তিনি এখন এইসব অভিসন্ধি সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন হইয়াছেন এবং পাকিস্তানের পক্ষে হুমকি স্বরূপ এই সকল তৎপরতার নিন্দা করেন। ' ১. খুলনা হতে নব নির্বাচিত এম পি এ মীরজাফর মোহাম্মদ সাঈদ তথ্য সূত্র: দৈনিক আজাদ, ১০-৫-৭১, প্রকাশ ঢাকা, পৃষ্ঠা-১, কলামঃ ৫ ঢা.বি. কে.লাই) তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি সূত্র থেকে এভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে: 'বেঅইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের একজন এমপিএ মীরজাফর মোহাম্মদ সাঈদ গত শুক্রবার স্থানীয় সামরিক বাহিনীর নিকট স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অজ্ঞ ছিলেন এবং তিনি পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতির প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেন। ' খুলনা হতে নব নির্বাচিত এম পি এ জনাব সাঈদ প্রেসিডেন্ট কর্তৃক গৃহীত সময়োচিত ব্যবহার প্রতি সমর্থন দান করেন। তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শত্রু তাপূর্ণ মনোভাব পোষণের জন্য ভারতের নিন্দা করেন এবং পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার জন্য ভারতকে সতর্ক করেছেন।

' চাঁদপুর জেলার আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠনকারীবৃন্দ- ১. চাঁদপুর আওয়ামী লীগের জনাব চান্দ বখশ পাটওয়ারী মোক্তার, ২. মহকুমা আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী, ৩. জনাব নাসির উদ্দীন পাটওয়ারী মোক্তার, ৪. মহকুমা আওয়ামীলীগের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারী জনাব ফজলুল হক এডভোকেট ৫. মহকুমা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সাবেক সদস্য জনাব খুরশীদ আলম চৌধুরী, ৬. মহকুমা আওয়ামীলীগের সাবেক কোষাধ্যাক্ষ জনাব বজলুর রহমান শেখ, ৭. আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও তরপারচান্দি ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান মৃধা, ৮. আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ও ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জনাব আজিজ শেখ পাটওয়ারী, ৯. কণ্ট্রাক্টর ও আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য জনাব মোফাজ্জল হোসেন, ১০. আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ডাঃ নুরুল ইসলাম ও ১১. ফরিদগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সমাজকল্যাণ সেক্রেটারী। তথ্য সূত্র: দৈনিক আজাদ ,তাং- ৯-৯-১৯৭১ ,পৃঃ ১-ক-২-৩, প্রকাশ ঢাকা। এই সূত্রে পাকিস্তানী বাহিনীকে সহায়তায় তাদের সম্পৃক্ততার ঘটনাটিকে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে- 'অধুনালুপ্ত আওয়ামীলীগের বেশ কিছু নেতা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট ওয়াদা করিয়া পাকিস্তানের ঐক্য, সংহতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করিয়া যাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করেন। ভারতীয় চর ও রাষ্ট্রদ্রোহী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ব্যাপারে ও তাহারা তাহাদের দৃঢ় সংকল্পের কথা প্রকাশ করেন। সে সকল ব্যক্তি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার দৃঢ় আশ্বাস দিয়েছেন।

তাহারা হইলেন, চাঁদপুর আওয়ামী লীগের জনাব চান্দ বখশ পাটওয়ারী মোক্তার, মহকুমা আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী, জনাব নাসির উদ্দীন পাটওয়ারী মোক্তার, মহকুমা আওয়ামীলীগের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারী জনাব ফজলুল হক এডভোকেট, মহকুমা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সাবেক সদস্য জনাব খুরশীদ আলম চৌধুরী, মহকুমা আওয়ামীলীগের সাবেক কোষাধ্যাক্ষ জনাব বজলুর রহমান শেখ, আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও তরপারচান্দি ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান মৃধা, আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ও ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জনাব আজিজ শেখ পাটওয়ারী, কণ্ট্রাক্টর ও আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য জনাব মোফাজ্জল হোসেন, আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ডাঃ নুরুল ইসলাম, ফরিদগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সমাজকল্যাণ সেক্রেটারী। নেত্রকোণার আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী ও মানবতার বিরূদ্ধে অপরাধ সংগঠনকারীবৃন্দ- ১. নেত্রকোণা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম খান, ২. বায়লাতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী ডাঃ গিয়াসউদ্দীন আহমদ। ৩. নেত্রকোনা শহর আওয়ামী লীগের সদস্য জনাব সোহরাব হোসেন ও ৪. নেত্রকোনা মহকুমা আওয়ামীলীগের সদস্য সদস্য জনাব এমদাদুল হক তথ্যসূত্র: দৈনিক আজাদ,তাং- ১০-৯-১৯৭১ ,পৃঃ ৫-ক-৬, প্রকাশ ঢাকা । এই সূত্রে পাকিস্তানী বাহিনীকে সহায়তায় তাদের সম্পৃক্ততার ঘটনাটিকে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে- 'নেত্রকোণার বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের চারজন সদস্য সমপ্রতি সংবাদ পত্রে প্রদত্ত বিবৃতিতে দলের সহিত সম্পর্কচ্ছেদ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তাহারা বিবৃতিতে বলেন যে, তাহারা আওয়ামী লীগের পাকিস্তানের ঐক্য বিনষ্ট করার দুরভিসন্ধি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।

ভারতের ন্যাক্কারজনক আক্রমণাত্মক তৎপরতা এবং ভারত কর্তৃক সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী প্রেরণ ও নাশকতামূলক কার্য সাধণের জন্য ভারতের প্রতি তীব্র নিন্দা করিয়া তাহারা পাকিস্তানের ঐক্যও সংহতি রক্ষাকল্পে সময়োচিত হসক্ষেপের জন্য প্রেসিডেন্টও সেনাবাহিনীর প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান। বিবৃতিতে স্বাক্ষরদান কারীগণ হইলেনঃ নেত্রকোণা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরূল ইসলাম খান, বায়লাতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী ডাঃ গিয়াসউদ্দীন আহমদ। নেত্রকোনা শহর আওয়ামী লীগের সদস্য জনাব সোহরাব হোসেন ও নেত্রকোনা মহকুমা আওয়ামীলীগের সদস্য জনাব এমদাদুল হক। ' উৎস : দৈনিক আজাদ ,তাং- ১০-৯-১৯৭১ ,পৃঃ ৫-ক-৬, প্রকাশ ঢাকা, ঢাবিঃ লাইঃ ৫. নেত্রকোনা শহর আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম (এ্যাডভোকেট) তথ্য সূত্র: দৈনিক আজাদ, তাং- ৪-৮-১৯৭১ , পৃঃ ৫-ক-৩, প্রকাশ-ঢাকা , ঢাবিঃ কেঃ লাইঃ এই সূত্রে বলা হয়েছে'- নেত্রকোনা শহর আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব আমিনুল ইসলাম (এ্যাডভোকেট) বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের সহিত সম্পর্ক ছিন্ন করিয়াছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন যে, তিনি অধুনালুপ্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না।

তিনি মুসলমানদের চিরশত্রু ভারতের সমর্থনপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী ও দুস্কৃতিকারীদের উৎখাতকল্পে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। ' তথ্য সূত্র: দৈনিক আজাদ, তাং- ৪-৮-১৯৭১ , পৃঃ ৫-ক-৩, প্রকাশ-ঢাকা , ঢাবিঃ কেঃ লাইঃ ফরিদপুর জেলার আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী ও মানবতার বিরূদ্ধে অপরাধ সংগঠনকারীবৃন্দ- ১. ফরিদপুর শহর আওয়ামীলীগের প্রাক্তন সভাপতি মহকুমা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যাক্ষ এবং জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য জনাব মোহাম্মদ ফিরোজুর রহমান তিনি সংবাদপত্রে বিবৃতি প্রদান করে ওই সময়ে বলেন- 'বেআইনী ঘোষিত ফরিদপুর শহর আওয়ামীলীগের প্রাক্তন সভাপতি মহকুমা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যাক্ষ এবং জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য জনাব মোহাম্মদ ফিরোজুর রহমান এক বিবৃতিতে আওয়ামীলীগের প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করিয়া পাকিস্তান আদর্শের প্রতি তাহার আস্থার কথা ঘোষণা করিয়াছেন। পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতির জন্য কাজ করার প্রতিশ্রূতি দিয়া জনাব রহমান বলেন যে, পাকিস্তানের দুই অংশের বিচ্ছিন্নকরণ আন্দোলনের প্রতি তিনি কখনও সমর্থন জানান নাই। ' ১. এ্যাডভোকেট জনাব কামালউদ্দিন মিয়া, ২. ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের প্রাক্তণ সমাজকল্যাণ সেক্রেটারী জনাব আব্দুস শুকুর মিয়া, ৩. জনাব আব্দুল জলিল মিয়া (মোক্তার) ও ৪. এ্যাডভোকেট কাজী খলিলুর রহমান। তথ্যসূত্র: উৎস: দৈনিক আজাদ, তাং- ১৭-০৭-১৯৭১, পৃঃ ১-ক৩, প্রকাশ-ঢাকা , ঢাবিঃ কেঃ লাইঃ তাদের সম্পৃক্ততার ব্যাপারে সূত্রে থেকে জানা গেছে, 'বেআইনী ঘোষিত আওয়ামীলীগের চারজন সদস্য সমপ্রতি স্থানীয় সামরিক আইন কতৃপক্ষের নিকট স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করিয়া উক্ত দলের সহিত চিরতরে তাহাদের সম্পর্কচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন।

তাহারা এক বিবৃতিতে জানান যে, আওয়ামীলীগের পাকিস্তানের ঐক্য বিনষ্ট করার অভিসন্ধি সম্পর্কে ইতিপূর্বে তাহারা অবগত ছিলেন না। তাহারা পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় নগ্ন হামলার এবং আওয়ামীলীগের সহায়তায় ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা যে নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালাইয়া যাইতেছে উহার প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করেন। সময়েচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া পাকিস্তানকে রক্ষা করায় প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানাইয়া আওয়ামীলীগের উক্ত চারজন প্রাক্তণ সদস্য পাকিস্তানের আদর্শ ও ঐক্য অক্ষুন্ন রাখারও অঙ্গীকার করেন। উক্ত চার জন স্বাক্ষরকারী হইতেছেন এ্যাডভোকেট জনাব কামালউদ্দিন মিয়া, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সমাজকল্যাণ সেক্রেটারী জনাব আব্দুস শুকুর মিয়া, জনাব আব্দুল জলিল মিয়া (মোক্তার) ও এ্যাডভোকেট কাজী খলিলুর রহমান। উৎস: দৈনিক আজাদ, তাং- ১৭-০৭-১৯৭১, পৃঃ ১-ক৩, প্রকাশ-ঢাকা, ঢাবিঃ কেঃ লাইঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুদ্ধাপরাধী দুই আওয়ামী লীগ নেতা ১. মামলায় আখউড়ার নয়াদিল গ্রামের মৃত সাদতালীর পুত্র মোঃ মোবারক ও ২. টানোয়াপাড়ার মৃত কালু মিয়ার পুত্র মোঃ জামশিদ মিয়া Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.