আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক দেওলিয়ত্বের প্রমাণঃ আওয়ামীলীগের মেয়র লোকমান হত্যাকাণ্ড, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর মদদ, বিএনপির খায়রুল কবীর খোকন গ্রেপ্তার, পুলিশের ৫ দিনের হেফাজতের আবেদন।

একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, নরসিংদী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র হিসাবে দুইবারের স্বর্ণপদক প্রাপ্ত নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান সন্ত্রাসীদের গুলিতে আওয়ামীলীগের জেলা কার্যালয়ে গুলিবিদ্ধ হোন। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃতঘোষণা করেন। তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় নিহত মেয়র লোকমানের চাচা কুতুব উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, দলের কমিটি গঠন নিয়ে কোন্দল ছিল। তার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

কিন্তু আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে লক্ষ্য করলাম, হত্যাকান্ডের রাতেই কোন ওয়ারেন্ট ছাড়াই ৫৪ ধারায় নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। নিহতের চাচা তাৎক্ষণিকভাবে দলীয় কোন্দলে নিহত হওয়ার কথা বললেও পুলিশ কিসের ভিত্তিতে, কেনো বিএনপির সাবেক সংসদকে গ্রেপ্তার করলো? লোকমান মারা যাওয়ার দেড় দিন পরও এ নিয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি। এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে বৃহস্পতিবার বিকালে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন লোকমানের ভাই ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম নেওয়াজ। নরসিংদী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) শামীম বলেন, "বিএনপি নেতা খোকনকে আসামি করে মামলা করতে প্রশাসনিকভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। " তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।

ঘটনার বিস্তারিত জানা যায়, মন্ত্রী ও নরসিংদীর সংসদ সদস্য টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর সঙ্গে লোকমানের দূরত্ব তৈরি হয়েছিলো। কিছুদিন আগে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারিতে লোকমানের কয়েকজন অনুসারীরা মামলার আসামি হয়ে কারাগারে যান। ওই ঘটনার পর জেলা ছাত্রলীগ গত ২২ অক্টোবর মন্ত্রী রাজুর বিরুদ্ধে নরসিংদীতে ঝাড়– মিছিল করে। জেলা ছাত্রলীগের ওপর লোকমানের নিয়ন্ত্রণ থাকায় মন্ত্রী এর দায়ভার মেয়রের ওপরই চাপান বলে জানা যায়। স্থানীয় নেতারা জানান, গত বছর নরসিংদী কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচনের সময় রাজু-লোকমান মতদ্বন্দ্ব দেখা দেয়।

পরে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে লোকমানের ছোট ভাই শামীম ভিপি হন। এর পাশাপাশি পৌর নির্বাচনেও লোকমান পুনরায় জয়ী হন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও নরসিংদী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম কাইয়ুম বলেন, "এ সব ঘটনার জের ধরে মন্ত্রী ও তার ভাই সালাউদ্দিন বাচ্চুর মদদেই লোকমান হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। " শামীম বলেন, "মন্ত্রীর হুকুমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় লোকমান বলেছিলেন- 'এমন নেতা আমাদের দরকার নেই'। এ বক্তব্যের কারণেই তাকে আজ খুন হতে হয়েছে।

" নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের আগামী কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছার কথা বিভিন্ন জনকে জানিয়েছিলেন লোকমান। একই পদে মন্ত্রীর ভাই সালাউদ্দিন বাচ্চুর নামও আলোচনায় থাকায় এটাও দুজনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে বলে স্থানীয় নেতারা জানান। এদিকে লোকমান হোসেনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা খায়রুল কবীর খোকনসহ ৬ জনকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ। লোকমানের চাচা দলীয় কোন্দলে হত্যার কথা বলেছে, ভিকটিমের ভাই সরাসরি মন্ত্রী রাজু ও তার ভাইকে দোষারুপ করেছে তাহলে কেনো খায়রুল কবির খোকনকে আটকে রাখা হলো? এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী নিশ্চুপ কেনো? আমরা নির্দোষ খায়রুল কবির খোকনের মুক্তি চাই। পাশাপাশি মেয়র লোকমান হত্যাকান্ডের আসল অপরাধীদের ফাঁসি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.