আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধন্যবাদ আমলীগঃ তোমরা নতুন প্রজন্ম কে আবার বাকশাল এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলে, স্বৈরাচারী কি ও কাকে বলে তাও শিখিয়ে দিলে।

I never knew how to worship until I knew how to love. পুলিশ সাগর রুনির হত্যাকারীকে ধরতে পারে না, পুলিশ সৌদি কূটনীতিকের হত্যাকারীকেও ধরতে পারে না, এডিআইজির চুরি হওয়া গাড়ি উদ্ধার করতে পারেনা, কিন্তু কর্মসূচী ঠেকাতে হাজার হাজার বিএনপি কর্মীকে ধরতে পারে! তাহলে এই সরকারের কাছে কোনটা বড়? ষোল কোটি বাংলাদেশির নিরাপত্তা, নাকি ক্ষমতা? তিরিশ লক্ষ সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশির জীবন? নাকি মসনদ --সাহার খাতু্ন ক দিন আগে বল্লেনঃ দেশে আর কোনো জংগি নাই, এখন আবার বলছেন ১২ ই মার্চ মহাসমাবেশের নামে ঢাকায় জংগি হামলা করবে। তাহলে এখন এই জংগি কোথা হতে আসলো? না কি ১২ মার্চ উপলক্ষে আমলীগ জংগি ভাড়া করবে? বাকশালের কথা অনেক শুনেছি, পড়েছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য একবিংশ শতাব্দীতে, ডিজিটাল বিশ্বে আবারো বাকশাল শাসন দেখতে হলো। গণতান্ত্রিক দেশে সরকারের অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী আচরণই প্রমাণ করে বাকশালের রক্ত এখনো প্রজন্ম ধরে বয়ে বেড়াচ্ছে। বিরোধীদলীয় নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আহবানে "চলো চলো ঢাকা চলো" কর্মসূচিতে সরকার, আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল নেতা-কর্মীরা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকান্ড বাকশালের বর্ণনার সাথে হুবুহ মিলে যায়।

১২ই মার্চ "চলো চলো ঢাকা চলো" কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে সরকারের সর্বোচ্চ ব্যাক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুমকি দিয়ে বলেছেন "উল্টাপাল্টা করলে খবর আছে"। একজন প্রধানমন্ত্রীর কিভাবে কথা বলতে হয় উনার সেটা এখনো শিখা হয়নি। এ লজ্জা কার? অন্যদিকে আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হানিফ সমাবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। ঢাকা সিটিতে ১৪৪ ধারা জারির আহবান জানিয়েছে প্রশাসনের দিকে। সরকার জনগণকে ভয় পায়।

ফ্যাসিবাদি এ সরকারের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে সেটার প্রমাণ হলো গণতান্ত্রিক দেশে জনসভা নিষিদ্ধের দাবি জানানো। দেশব্যাপি গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে। ঢাকা শহরের সমস্ত আবাসিক হোটেল গুলোকে হুমকি দেওয়া হয়েছে যেনো ৯-১২ তারিখ পর্যন্ত কোন লোক উঠানো না হয়। সমস্ত খাবার হোটেলগুলো বন্ধ রাখার অলিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দূর পাল্লার বাস মালিকদের বাস চালাতে নিষেধ করা হয়েছে।

ঢাকা সিটির সিটি সার্ভিস চালাতে নিষেধ করা হয়েছে। তার প্রমাণ আজকের ঢাকা শহর। ইতিমধ্যে ওপরের নির্দেশে চাঁদপুর-ঢাকা লঞ্চ বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি চাঁদপুর থেকে কোন বাস ঢাকা আসছেনা। দেশব্যাপি বিএনপির টাঙানো ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে।

টিভি চ্যানেলগুলোকে মহাসমাবেশ সরাসরি প্রচার করতে নিষেধ করা হয়েছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.