আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশবাসীর শ্রদ্ধা প্রবাসীদের প্রতি : রিজার্ভ দশ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে

বিদেশী দাতাদের অব্যাহত হুমকি সত্বেও প্রবাসীরা বাচিয়ে রাখছে আমাদের অর্থনীতি । আমরা শ্রদ্ধা জানাই প্রবাসীদের প্রতি। গত দুই মাসে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় আসার পাশাপাশি আমদানি ব্যয় হ্রাস পাওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হচ্ছে। রোববার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৯৬ কোটি (৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন) ডলার। অর্থনীতির এ সূচকগুলো ঊর্ধ্বমুখী থাকায় চলতি সপ্তাহে রিজার্ভ এক হাজার কোটি (দশ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

চাহিদা অনুপাতে ডলারের সরবরাহ না বাড়ায় টানা ২২ মাস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে থাকার পর গত সেপ্টেম্বরে তা ৯ বিলিয়নে নেমে আসে। এরপর অক্টোবরে তা আবার ১০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। নভেম্বরে আবার নেমে আসে ৯ বিলিয়ন ডলারে। ডিসেম্বর জুড়ে এটি ৯ বিলিয়নের ঘরে ছিল। তবে গত ৯ জানুয়ারি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা পরিশোধ করায় ওইদিন রিজার্ভ ৮৯০ কোটি ডলারে নেমে আসে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, গত তিন মাস ধরে আমদানি ব্যয় কমছে। সর্বশেষ জানুয়ারি মাসে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এলসি (ঋণপত্র) খোলার পরিমাণ গত বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় ২৭ শতাংশ কমেছে। ডিসেম্বরে কমেছে ২৪ শতাংশ। আগের মাস নভেম্বরে কমেছিল ২৩ শতাংশের মতো। বাংলাদেশ ব্যাংকের আমদানি সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে অর্থাত্ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ১ হাজার ৭৮২ কোটি (১৭ দশমিক ৮২ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মো. আখতারুজ্জামান রোববার বলেন, অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে ঋণ না দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক আমদানিতে। আমদানি ব্যয় কমার এই ধারা অব্যাহত থাকলে রিজার্ভ আবারও সন্তোষজনক পর্যায়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রবাসীরা গত ডিসেম্বর মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠায়। ওই মাসে তারা প্রায় ১১৪ কোটি ডলার দেশে পাঠায়, যা ছিল এ যাবত্কালের সর্বোচ্চ। কিন্তু এর পরের মাস জানুয়ারিতে ডিসেম্বরের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড হয়।

জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা মোট ১২১ কোটি ডলার পাঠায়। আর ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ পর্যন্ত ৭৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে প্রবাসীরা মোট ৭২৮ কোটি ৪১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। এ সময়ে বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবাহ বেড়েছে ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.