আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টুকিটাকি কিছু ঘুরে বেড়ানোর ছবি

ঙ ক) সব সময় দূর দূরান্তে গিয়ে প্রকৃতির সাহচর্য লাভ করা ব্যাপক আয়োজনের কাজ বটে, সব সময় তা হয়েও ওঠে না । মাঝে মাঝে যান্ত্রিক ঢাকায় ছুটির দিনগুলোতে ইচ্ছে করে যদি দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যায় এমন কোথাও গিয়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটিয়ে আসা যেত ! এমন বিবেচনায় মাওয়া ঘাটে ঘুরে আসার বিষয়টা রাখতে পারেন । উপরের প্রথম ছবিটার মত যখন সোনালি-কালচে-রূপালি আভা মাখানো নদীর বুকে গাঙচিলের উড়ে চলার দিকে তাকিয়ে থাকবেন, তখন পার্থিব দুঃখ বোধ ভুলে নিজেকে ভারমুক্ত মনে হবে । আমাদের ঘুরে আসার কাহিনী আমার অফিসের কিছু কলিগ ফ্যামিলি সহ ঘুরে এলাম গতকাল ২০ তারিখ । শুনেছিলাম যাত্রাবাড়ি/ধোলাইরপারের দিকে মাওয়া ঘাটে যাবার জন্য ইলিশ পরিবহন আছে ।

সৌভাগ্যবশত যারা গিয়েছিলাম তাদের মধ্যে দুজনের প্রাইভেট কার থাকাতে আরামেই যাওয়া হয়েছিল । যাত্রাবাড়ি থেকে যেতে লেগেছে ঘন্টা দেড়েক জ্যাম না থাকায় । সকাল ১১ টা ৪৫ এ রওনা দিয়েছিলাম । কারণ আমাদের প্ল্যান ছিল সেখানে গিয়ে গরম গরম ইলিশ ভাজা দিয়ে ভাত খাব । মাওয়া ঘাটের চৌরাস্তার মোড়ে পৌঁছানোর পর ডাইনে লঞ্চঘাটে গেলাম কারণ বেশ কয়েকটি খাবার হোটেল সেখানেই অবস্থিত ।

এইটুক গাড়ি দিয়ে পেরুতেই আধঘন্টা নস্ট । যাইহোক, খেতে বসে ইলিশ ভাজা, ইলিশ ভর্তা, ইলিশের ডিম, ইলিশ দিয়ে মসুর ডাল – পুরো ইলিশময় খাবার । আমরা ইলিশ ভাজা খেয়েছিলাম জনপ্রতি তিন পিস । একটা কথা, হোটেল গুলো শহরের হোটেলের মত অতটা নীট এন্ড ক্লিন নয় । লঞ্চঘাটটিতে স্পীড বোটের ছড়াছড়ি ।

স্পীডবোটগুলোকে কেন্দ্র করে জীবনের পারাপারজনিত মুখরতা । একজন স্পীডবোটে ঘুরার প্রস্তাব করল । তাই সই । আমরা তখনো জানতাম না পুরাতন ফেরিঘাটে ট্রলার নৌকায় ঘুরার ব্যবস্থা ছিল । তাহলে সেইটা হত অনেক কম খরচে ।

স্পীডবোটের পথচলায় জলের আন্দোলন । বিস্তীর্ণ বালুচরে হারিয়ে যাবার নেই মানা। মেঘ ও সূর্যের লুকোচুরি। মাওয়া পৌঁছে চৌরাস্তার মোড়ে ডাইনে ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট , আর সোজাসুজি গেলে পুরাতন ফেরিঘাট । যারা বেড়াতে আসেন বেশিরভাগ এখানেই আসেন ।

গিয়ে দেখি মানুষের বেশ আনাগোনা । ঘুরার জন্য ট্রলার নৌকার ব্যবস্থা আছে । সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে । ডিজিটাল জুমে তোলা অস্তগামী সূর্য। উপরের ছবিগুলো ক্যানন এসএক্স ২৩০ এইচএস আর নীচের ছবিগুলো সনি ডব্লিউ ১৭০ তে তুলা ।

। খ) যারা চট্টগ্রাম ঘুরতে যান তারা ভ্রমণ লিস্টিতে শহীদ জিয়া স্মৃতি কমপ্লেক্স/মিনি বাংলাদেশ(কালুরঘাট) এর নামটা রাখতে পারেন । চাটিকিয়াং রুমান ভাই জানিয়েছেন, এখন তা নামান্তর হয়ে স্বাধীনতা কমপ্লেক্স হয়েছে - তাঁকে ধন্যবাদ এটা জানানোর জন্য । জায়গাটা সুন্দর । কিছু ফান রাইডেরও ব্যবস্থা আছে ।

আছে ঘূর্ণায়মান রেস্তোরা । ধীরে ধীরে এই রেস্তোরাটি বৃত্তাকারে ঘুরতে থাকে । এদিকে রুশো ভাই জানাচ্ছেন জায়গাটা নাকি এখন বন্ধ । এই ঘূর্ণায়মান রেস্তোরা থেকে নীচের ভিউ শহীদ জিয়া স্মৃতি কমপ্লেক্স/মিনি বাংলাদেশে বাংলাদেশের কিছু দর্শনীয় স্থাপনার রেপ্লিকা আছে এখন ফয়েজ লেক পার্ক সংলগ্ন সী ওয়ার্ল্ডের কিছু ছবি । উল্লেখ্য, ফয়েজ লেক এর পার্ক এবং সী ওয়ার্ল্ডের টিকেট একসাথে কেটেছিলাম ফলে কিছুটা সাশ্রয় হয়েছিল ।

এপ্রোচিং সী ওয়ার্ল্ড ..................... জলে দাপাদাপির ব্যবস্থা আছে । উল্লেখ্য ভয়াবহ জ্যামের কারণে ঢাকায় বাস ছাড়তে তিন ঘন্টা দেরি এবং এরপর রাস্তায় পাঁচ ঘন্টা দেরি হওয়াতে সময়সূচি থেকে পতেঙ্গা সৈকত কেটে দিতে হয়েছিল (২০০৯ সালের ঘটনা )। এরও বহু আগে একবার পতেংগা সৈকত দেখেছিলাম, তখন আবার ক্যামেরা ছিল না । দু একটি ছবিতে মানুষ মুছে দেওয়া হয়েছে, আনএডিটেড ছবিগুলো ছাইরাছ হেলাল ভাইকে উৎসর্গ করা হল ।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।