my country creat me a ginipig
গত ১৪ জানুয়ারি, বেলা প্রায় ২টা ৩০ মিনিট। তুরাগ পরিবহনের একটি গাড়ি থেকে নামছিলাম। গাড়িটা স্থির হওয়ার আগেই সামনের ২ জন নেমে গেলেন, আমিও এক পা বাড়িয়েছি। কিন্তু ড্রাইভার কি মনে করে যেন দিলেন স্পিড বাড়িয়ে। আর স্পিড এতটাই বাড়ালেন যে, তাল সামলানোর কোন উপায় থাকল না।
দুমরে মুচড়ে পড়লাম কালো পিচের পাশান বুকের উপর। তারপর ----
না তারপর আর আমার জীবনের কোন ঘটনা থাকার কথা ছিল না। অন্তত সেই সময়টাতে তো ছিলই না। মধ্যগগনের সূর্যের আলোকে ব্যাঙ্গ করে একরাশ অন্ধকার এসে ঘিরে ধরল, আর কিছু মনে নেই। কতক্ষণ পর জানি না, দৃষ্টি মেলে দেখলাম মুখের উপর ঝুকে কেউ এক জন মাথায় পানি ঢালছেন।
কিন্তু চিনতে পারলাম না। চেনার কথাও না। অপরিচিত জায়গায় পরিচিত কেউ থাকার কথাও ছিল না। দুঃখের বিষয় হলো, সে অপরিচিত মুখের অবয়বটা স্পষ্ট হওযার আগেই আবারো চোখ বন্ধ হয়ে আসলো।
ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর বদ অভ্যাসটা ছিল আগে থেকেই।
সেদিনও তাই করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু অবাক হলাম তখন, যখন দেখলাম, যার উপকার করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হলাম তিনি একবার মোবাইলে খুঁজ নিয়েই দায়িত্ব শেষ করলেন। তিন দিন পর তার সাথে দেখাও হয়েছিল, অথচ তিনি একবারও জানতে চাইলেন না যে, কোথায় কোথায় আঘাত পেয়েছি কিংবা আঘাত কতটা গভীর? অথচ এখনো শরীরের ভিবিন্ন অংশের ক্ষত এবং ব্যাথা বয়ে বেড়াচ্ছি।
তখনই আবার মনে পড়ল সেই অচেনা মুখটির কথা, চেনা নেই, জানা নেই অথচ গভীর মমতায় রাস্তা থেকে তুলে এনে যিনি সেবা দিলেন, পৌঁছে দিলেন ক্লিনিকে। না মনে করতে পারছি না তার ছবিটাকে।
নাম পরিচয় কিছুই জানি না তার, বলতে পারেনি ক্লিনিকের কেউ। তাই দুঃখ প্রকাশ করে নিজেকে স্বান্তনা দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকল না।
অজানা, অচেনা মুখের মানুষটিকে এবং তার মানবতাবোধকে স্যালুট। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।