আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জীবনে প্রথম এই জিনিসের স্বাদ লইলাম .............(ডিসেম্বর স্মৃতী)

বেচেঁ থাকার স্বাদ নিচ্ছি... থাকি নারায়নগঞ্জে, আর অফিস করি ঢাকায় - গুলশানে , অফিস আওয়ার হচ্ছে আট ঘন্টা আর আসা যাওয়া যাতায়েত ধরা যায় আরো ৩ ঘন্টা বা কখোনো তার চেয়ে বেশি । ১২ ঘন্টা বাইরে কাটিয়ে শুধু মাত্র রাতের খাওয়া আর নিজ বাড়িতে শান্তিতে ঘুমানোর জন্য একটু বাসায় ফিরা । আর তার পারদিন ভোরে আবার দৌরাও । এই হচ্ছে লাইফ। চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি, নেই কোন তার থামাথামি ।

ভাবছেন কি শিরোনাম আর কি বলে যাচ্ছি। অনেক ব্যাস্ততার মাঝে ঈদের ছুটিগুলো একেবারে ঈদের মতো লাগে । গভমেন্ট হলিডে , হরতাল, এইসব বিষয়ে খুব আপডেট থাকি । বন্ধের দিনে বেশি না আটটা পর্যন্ত ঘুম, তারপর টেনশন ছাড়া নাস্তা (আবার না ট্রেন টা মিস করি ), তারপর .....আহ!!!....যাইহোক অন্য দিকে চলে যাচ্ছি । এবার ঈদের বন্ধে গেলাম গাজীপুর ।

গাজীপরের শ্রীপুর গ্রামে । বন্ধু বান্দব সহকারে ছোট খাট একটা টোর। মাত্র তিন দিনের। আমি , নাদিম, শিপলু , আকাশ। ।

গুলিস্তান থেকে সকালে রওনা হয়ে পৌছে গেলাম দুপরের মধ্যেই । যাদের বাসায় থাকব তিনি আবার অসুস্থ সে জন্য তিনি বাস স্টান্ড পর্যন্ত যেতে পারেননি । আমারা নিজেরাই বের করি। যাই হোক আমি মনে হয় শিরোনাম থেকে আবার দুরে চলে আসছি, কথা বেশি বলিতো তাই । দুপরে খাওয়া দাওয়া সেরে একটু বিশ্রাম নিয়ে একটু হাটতে বের হলাম, আমরা যার বাসায় এসেছি সে আমার বন্ধু আকাশের বিয়াই হয়, উনি একটি ছেলে ঠিক করে দিলেন আমাদেরকে ঘুরে দেখানোর জন্য ।

গ্রাম বলতে যা বুঝায় সে গ্রামটি আসলেই তাই। মাটির ঘর, চারিদেকে সবুজের সমারহ, রাতে শিয়ালের ডাক । দারুন অনুভুতি। অসমভব ভালো লাগল । শন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরলাম।

ভাবছি পরের দিন কি করা যায় । বিয়াই অসুস্থ থাকায় উনি সময় দিতে পারবেন না জানি । এদিকে আমাদের বন্ধুরা যার যার পার্ট টাইম কাজ নিয়ে একটু পর পর ব্যাস্ত হয়ে যাচ্ছে , মানে যার যার গার্ল ফ্রেন্ডদের সাথে একটু পর পর আলাপ । আমারটা নাই বললাম । যাইহোক আমার রাতটা এক বিছানায় চার বন্ধু জরোসরো করে থাকলাম ।

ফলাফল কেউ কাউকে ঘুমাতে দেয়নি । বন্ধুবান্দবের ফাইজলামির চুরান্ত যাকে বলে । সকালে নাস্তায় ভাবি আমাদের নাস্তা করালেন (কুরবানির ঈদের কথা বলছি নাস্তার মেন আইটেম কি হতে পারে ভেবে নেন )। নাস্তা সেরে ১১টার মধ্যে বেরিয়ে পরলাম । আমাদের সাথো সেখানকার দুটি লোকাল ছেলে গাইড হিসেবে ছিল ।

একজনের নাম হচ্ছে সজিব আর আরেক জনের নাম মন্ডল । মন্ডল টা দেখতে একটু চালাক চতুর টাইপের ক্যাবল অপারেটর এর ব্যাবসা করে । যাই হোক সারা দিন গাজীপরের কয়েকটি পার্কে আমরা বেড়ালাম, যেমন শ্রী গাল, হুমাউন আহমেদ এর নুহাশ পল্লী। আমার একটি সি এন জি প্রাইভেট করে সারাদিন বেরিয়েছি। বাড়িতে ফিরে খাওয়া দাওয়া করালাম (কুরবানী ঈদের খাবার !!!!) বিকেলে বের হলাম কথায় কথায় মন্ডল আমাদেরকে বল্ল, ভাই ডাম্পা খাইবেন ??? আমি ডাম্পা কি জানি ...কিন্তু এই ছেলের কথায় কি উত্তর দিব??? ভাবছি ।

ও আমার প্রতিউত্তর আশা না করেই বলে বসল চলেন খাই ,আসছেন ঢাকা থেকে মেহমান কিছু ভালো জিনিস খাইবেন না ???? আমি আমার বন্ধুরা কি বলব ভেবে পাচ্ছিলাম না । আমি ভাবছি রসিকতা করছে । কিছুক্ষন পরে আমার ওর সাথেই বের হলাম এবং ঘুরতে ঘুরতে ও আমাদের নিয়ে গেল এক ধান ক্ষেতের আইলে । এবং হাতে একটি সিগারেট ধরিয়ে দিয়ে বল্ল বস টানেন । একটা কথা বলে নেই আমি সিগারেট খাই ।

তবে অভ্যস্ত নই । সৌখিন ধুমপায়ি বলা যায় । আমি সিগারেট টা হাতে নিলাম । নাকে গন্ধ নিলাম । গাজার মাতাল করা গন্ধ মৌ মৌ করে চলে আসছে বুঝতে আমার অসুবিধা হচ্ছে না ।

................. তারপার....থাক..বুঝে নেন । ...মন্ডল আমার সামনে সমানে টেনে যাচ্ছে আমিও পিছিয়ে নেই । আমার বন্ধু আকাশ আমার থেকে কিছুটা নিল । নাদিম আর শিপলু দর্শকের ভুমিকায় । আর মন্ডল একটু পর পর বলছে গাজা খায় রাজায় ।

আহ .........!!! শান্তি !!! পরিশেষ : অতপর গাজীপুরে দুই রাত্র তিন দিন এর সফর শেষে অসংখ্য ছবি (গাজীপুরে তোলা ) আর গাজার স্মৃতি নিয়ে সকাল বেলা গাজীপুর থেকে রওনা হলাম আমি সরাসরি বাসায় না যেযে অফিসে চলে গেলাম। জীবেন প্রথম বার (মনে হয় শেষ বারো) ...গাজা খেয়েছি বলে আমাকে কি ভাবছেন আল্লাহই জানে ....লেখা পড়ে বিরক্ত হইলে কইসষা মাইনাস দিয়া যান । কিন্তু ভালো লাগলে মন্তব্য করতে ভুইলেন না । (ঘটনাটা গত বছরের ডিসেম্বর মাসের তাই নতুন উদ্যাম এ রিপোস্ট মারলাম ) পুনশ্চ : এ বছরের ডিসেম্বরে এমন কোনো ইতিহাস হয় নাই  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।