আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বাধীনতা মাসে মৌলবাদের সর্বগ্রাসী তান্ডব

আমি বাঙালি এবং বাংলাদেশী মৌলবাদের নামক এক শুকুনের থাবায় রক্তাত্ত হচ্ছে গোটা দেশ । বিপন্ন হচ্ছে মানবতা। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া আজ শুধু হাহাকার, উৎকন্ঠা, উদ্বেগ, কিছু হায়ানার ভয়ে সবাই উৎকন্ঠিত, স্বজন হারানোর ভয় সবাই কে তাড়া করছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম পবিত্র ইসলাম এবং আমাদের মহান স্বাধীনতাকে আজ প্রতিপক্ষ বানিয়ে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

যা আমাদের জাতীয় জীবনে বিভেদ-বিভাজনকে বাড়িয়ে দিচ্ছো মাত্র নয় মাসে বাংলাদেশকে স্বাধীনতা অর্জন করছে । যুদ্ধে বাংলাদেশকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে যার আর কোন নজীর ইতিহাস পৃথিবীর বুকে এখনও রচিত হয়নি। এই দেশের সাধারণ জনগন লড়াই করেছিল পাকিস্তানের সুশিক্ষিত আধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। এই লড়াই এই দুই পক্ষের মাঝে সীমাবদ্ধ ছিল না। আমাদের দেশের জনগনকে লড়তে হয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এ দেশীয় কিছু নরপশুদের বিরুদ্ধে।

যারা এদেশের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ কোরে ইসলাম তথা মুসলিম বেশ ধারন করে পাকিস্তানি বাহিনীকে সমর্থন করেছিল দুই পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষা করার পবিত্র দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে। এই রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস গোষ্ঠী পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষা করতে গিয়ে গলায় ছুরি,বুকে গুলি চালিয়েছিল এদেশের জনগনের উপর। পাকিস্তানি বাহিনীর বিনোদনের উপটৌকন হিসেবে এদেশের নারীদেরকে তুলে দিয়েছিলএই রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস গোষ্ঠী । আর তারা এগুলো করেছে তথা কথিত পবিত্র যুদ্ধের নামে । পাকিস্তানের রাজনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক আশ্রয়ে লালিত এই ধর্মব্যবসায়ী দেশদ্রোহী গোষ্ঠীর কর্মকান্ডের সময় মীরজাফর বেঁচে থাকলে তিনি হয়তো গোলাম আজম, নিজামী এসব ষড়যন্ত্রকারী দেশদ্রোহীর কাছে সবক নিতে আসতেন।

। বাংলাদেশের জনগনের কাছে পাকিস্তানিদের হাত থেকে বিজয় অর্জনের দিনটি ১৬ই ডিসেম্বর হলেও, নীল নকশার বাস্তবায়নে পাকিস্তানি মদদপুষ্ট এই বাংলাদেশ বিরোধী রাজাকারবাহিনী অশুভ শক্তির যে নতুন বীজ বপন করে তারও নিরব জন্ম এই দিনটিতেই। সম্মূখ যুদ্ধের শেষ ১৬ই ডিসেম্বর হলেও নিরব আরেকটা যুদ্ধের শুরু কিন্তু ঐ দিনটিই। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ অতিক্রম করে অশান্ত অনেকগুলো বছর। একদিকে যেমন ছিলো যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত দেশের পুনর্গঠন এর চাপ অন্যদিকে ছিল বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ বিরোধীদের অপপ্রচারের চাপ।

একইসাথে দেশে তখন বিভিন্ন শ্রেণীতে অসন্তোষ দানা বেঁধে উঠছিল। রাজনৈতিক পরিমন্ডলের সাথে সামরিক বাহিনীর স্নায়ুযুদ্ধ ছিলো তেমন এমনই একটি ঘটনা। সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশে সুযোগসন্ধানীর চক্রের কোন অভাব তখন ছিলোনা। আর যুদ্ধের ফলে সাধারণ মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত জীবনে তখন রাজনৈতিক-কূটনৈতিক আলোচনা অর্থহীন একটা বিষয়। দেশের এই সময়টি ছিল বাংলাদেশ বিরোধী গোষ্ঠীর কাছে প্রতিশোধ নেওয়ার মোক্ষম সময় ।

তারা পরিকল্পনামাফিক তাদের ষড়যন্ত্রের বীজ বিছিয়ে গেছে নিরবে আর তাতে জড়িয়েছে রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলে। আর দেশের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে ক্ষমতার দ্বন্দ তাদের এনে দিয়েছিল সেই অবধারিত সুযোগ। নীল নকশার মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে । হত্যা করে বাংলাদেশকে পরাধীনতার শেকলে আবার আবদ্ধ করে যায় খুনি চক্র। আর সুবর্ণসুযোগ কাজে লাগায় দেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা।

একটি স্বাধীন মানচিত্র পাওয়ার সাথে সাথেই এই মানচিত্রের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, ক্ষমতা নিয়ে দন্ধের কারণে সেদিকে খুব একটা নজর না দিলেও তখন আকর্ণবিস্তৃত হাসি হেসেছিল কিন্তু এই স্বাধীনতাবিরোধীরাই। জাতীয় চার নেতা কে হত্যা করে কফিনে শেষ পেরেকটি ঠূকা হয়েছিল সে সময়ে। সংবিধান পরিবর্তন করে যখন দেশের নব্য শাসকগোষ্ঠী স্বাধীনতা বিরোধীদের পরিকল্পনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যায় তখন ভাবতে কষ্ট হয় ঠিক কি কারণে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিল এই দেশের মানুষগুলো। দেশের রাজনীতিতে ইচ্ছাকৃতভাবে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করে দ্বিধাবিভক্ত সমাজকে আরও বিভক্ত করে দেয়া । স্বাধীনতা পরবর্তিতে দেশকে অতিক্রম করতে হয়েছে অনেকগুলো সরকার যার অধিকাংশ অবৈধ উপায়ে ক্ষমতা দখল কারী সামরিক সরকার যেগুলো কোনভাবেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেনি।

দেশের সার্বভৌমত্ব, অসাম্প্রদায়িকতা, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিকভাবে সমাজতন্ত্র এই মূল চেতনাগুলো এই সরকারগুলো বাস্তবায়ন করতে কখনোই চাইনি। বরং স্বাধীনতাবিরোধীদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র এবং অভয়ারন্যে তথাপি তাদের কে ক্ষমতার অংশিদ্বারিত্ব অর্পন করে রাজনৈতিকভাব পূরস্কৃত করা হয়। আর দিন যত এগিয়েছে রাজনীতি আর ধর্মের লেবাসে এরা নিজেদের শক্তিশালী মহীরুহতে পরিণত করেছে। দেশের ইতিহাস ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করা হয় যাতে বুদ্ধিজীবি হত্যার মাধ্যমে যে বিকলাঙ্গকরণ প্রক্রিয়ার শুরু হয়েছিল সেই ধারা আরও শক্তিশালী হয়। ধর্ম তথা ইসলাম কে ব্যবহার করা হয়েছে দেশ ও জাতিকে বিভক্ত করার উদ্দেশ্যে এবং স্বাধীনতা বিরোধী চক্র তাতে সফল হয়েছে।

দেশকে নিরবে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ফেলা স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্থান কোন সময়ই থেমে থাকেনি। আর তাদের এই পরিকল্পনা আরো সার্থক হয়েছিল যখন দেশের জনগনই তাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতার আসনে বসিয়েছিল। যখন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ানোর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল যারা এই পতাকা নিশ্চিহ্ন করতে জীবন বাজী রেখে ছিল। তাদের মুখে তখন নুরানী ছাপ, ইসলামের নামে ব্যবসা করে তারা বাংলাদেশে তালেবানী শাসন কায়েমে লিপ্তহয়। একে তারা জন্ম দেয় আবদুর রহমান বাংলা ভাই।

তৈরি করে জামাতুল মুজাহিদীন, জে এম বি র মত ইসলামী জঙ্গী সংঙ্গঠন যাতে এদের উপর ভর চিরদিন ক্ষমতায় থাকা যায়। জনগন এদের চিনতে ব্যর্থ হয়, যেভাবে ব্যর্থ হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়ে। সাম্প্রদায়িকতা আর বিভক্তির কূটচালে রাজনৈতিক অঙ্গনে যথেষ্ট শক্তিশালী এখন স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের মুল হোতা জামায়েতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির। ইসলামের লেবাসে খুনিদের এই অপশক্তির শেকড় আজ অনেক গভীরে। দেশের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে রয়েছে তাদের সংহত অবস্থান।

বিচারয়ল,প্রশাসন থেকে শুরু করে ব্যাংক, বীমা, মিড়য়া, হাসপাতাল সবই তাদের আছে। তাদের বিষবাষ্পে আক্রান্ত সমাজ পূর্বের মতোই দ্বিধাবিভক্ত। দেশের মাটিতে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদের উত্থান, সংখ্যালঘু হত্যা-নির্যাতন, দেশের সাংস্কৃতিক চেতনার বিরুদ্ধে একের পর এক আঘাত এসবই এর প্রমান। বিগত জোট সরকারের আমলে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র তাদের শক্তির পূর্ণ ক্ষমতা প্রদর্শন করে দেশকে রক্তাক্ত করেছে অসংখ্যবার। আজকে আবার যখন পূর্ণশক্তিতে এরা সারাদেশে তান্ডবলীলা সম্পন্ন করে তখন বোঝা উচিত আরেকটি তালেবান ভাব ধারার রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্নে বিভোর চক্রটির ক্ষমতা কতখানি।

এদের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে পুনর্বাসন করে শাসক জেনারেল জিয়া যেই প্রক্রিয়া শুরু করে গিয়েছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় আজকে তার হাতে গড়া বিএনপি যুদ্ধপরাধী গোষ্ঠীর একটি অংশমাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরগাছার মতো শুরু করলেও আজ দলটিকে প্রায় পুরো গ্রাস করে নিয়েছে এরা। অবশ্য পরগাছার বৈশিষ্ট্য এটাই। বিএনপির যেকোন সমাবেশে যেকোন কর্মসূচিতে সর্বাগ্রে থাকে জামায়েতে ইসলামী। আজকে দেশে লাগাতর অরাজকতা সৃষ্টির জন্য যে ক্ষমতার প্রয়োজন তা এদের আছে এবং তারা বারংবার সেটা ভালোভাবে প্রমান করেছে।

রগকাটা আর জবাই করে মানুষ হত্যা করাকে শিল্পের পযর্যায়ে নিয়ে যাওয়া ইসলামী ছাত্র শিবির । মুসলমান থাকতে হলে শিবির করা উচিত এরকম ধারনায় উদ্বুদ্ধ সংগ্রামী শিবিরকর্মীর সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বিগত বছরগুলোতে। আরও আশঙ্কার কারণ এদের অনেকেই তরুণ, এরা ইসলাম আর খুনি শিবিরকে একত্রে মিলিয়ে ফেলে। দেশের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন সগর্বে কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে । মধ্যপ্রাচ্যের টাকায় আর বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার ছত্রছায়ায় জামায়েতের মদদপুষ্ট এই অপশক্তির পুনর্জাগরণ দেশের জন্য ভয়াভয়হ অশনিসংকেত হয়ে ছিল অনেকদিন ধরেই আজকে তারা সেটা ভালভাবেই জানান দিয়েছে।

যখন বারবার অভিযোগ উঠেছে এই দলটি যুদ্ধপরাধীদের বিচার বানচালের জন্যই অরাজকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে তখন বিরক্তিতে ভ্রুকুঞ্চিত হয়েছে অনেকেরই। কিন্তু আজকে যখন এটা প্রমাণিত সত্য তখন আর এই অভিযোগকে অস্বীকার করার উপায় আছে কি। দেশের সেরা বিদ্যাপীঠগুলোতে পরিকল্পিতভাবে এই ষড়যন্ত্রের জাল ছড়িয়েছিল তাতে অনেকেই যোগ দিয়েছে আর এই প্রজন্ম এখন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে বিপদজ্জনক একটি রাস্তায় অগ্রসরমান। জামায়েত আর শিবির এদেশের ধর্মভীরু মানুষের সব থেকে দুর্বল জায়গাটি নিয়ে চক্রান্ত করছে আর তারা তাতে সফল। আজকে যখন দেশের প্রধান মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে বারবার সহিংস ঘটনায় ছড়িয়ে পড়ে এই অপশক্তি ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, তখন দেশের সাধারণ জনগণ ভুলে যায় স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই জায়গাতেই সাধারণ মুসল্লিরা জুতোপেটা করেছিল গোলাম আজমকে।

আজকে দিকভ্রান্ত সাধারণ মানুষ তাদের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য নিয়ে সন্দিহান| ঠিক এতোটাই জঘন্যভাবে আমাদের মূলকে ক্ষতবিক্ষত করেছে জামায়েতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির। গনহত্যা আজকে যখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তা দিয়েই তাকে পিটিয়ে আধমরা বা হত্যা করা হয় কিংবা রাস্তায় পেট্রোল ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয় তখন বুঝতে হয় দেশের লাইসেন্সপ্রাপ্ত গুন্ডারাও কতো অসহায় তবে এরা আবার বাংলাদেশের মানুষের টাকায় যে অস্ত্র কেনা হয়, সেই অস্ত্র নির্বিচারে জনগণের উপর ব্যবহার করতে অত্যন্ত দক্ষ। জামাত শিবির নিধনের নামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী [বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মতে যিনি রাজাকার’] নির্দেশে পালন করতে গিয়ে পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করে চলছে। হত্যাকাণ্ডে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সরকারি দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে অংশ নিচ্ছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এইসব হত্যাকাণ্ডে বন্ধে কনো পদক্ষেপ নেই বরং সরকার ও তার সমর্থকরা আন্দদে ঢেকুর তুলেবলছে যাক বাবা আর কয়েকটা রাজাকার মারা গেল।

এভাবে ধর্মন্ধ মানুষ গুলো কে হত্যা করে জামায়েতে ইসলামী ,ছাত্রশিবির,হেফাজতে ইসলাম নামের জংঙ্গীদলগুলো কে শক্তিশালী করা হচ্ছে। এর শেষ এখানেই নয় ,সরকার মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারে স্বচ্ছ এবং দেশী ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে চরমভাবে ব্যর্থ। বিচার প্রক্রিয়া, ট্র্যাইবুনাল ও আইন নিয়ে শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ব্যাপক প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। এর অন্যতম কারন হচ্ছে আওয়ালীগ তার নিজের দলের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়ায় আনেনি। আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ালীগকেএরজন্য চরম মূল্য দিতে হবে।

আজকে জাতি একটি ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে আছে। স্বাধীনতার ৪২ বছর পরেও যে প্রশ্নটি আমাদের মাঝে বিভক্তি এনে দেয় আজকে সেইএ প্রশ্নটির সমাধান খুইবই জুরুরী। আমাদের দেশের রাজনীতি এখন দ্বি-মেরুকরণের ফলে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ও স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি-এই দুই ভাগে বিভক্ত ,এক ভয়ংকর সংঘাত ও সহিংসতার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। প্রতিটি নাগরিক আজ উৎকণ্ঠিত। স্বীকার করতেই হবে, দেশের অধিকাংশ মানুষের মাথায় স্বাধীনতাবিরোধীতা ,যুদ্ধাপরাধী, মৌলবাদ, জাতীয়তাবাদের মত জটিল জটিল টার্মগুলো ঢোকে না।

কারণ দেশের অধিকাংশ লোক গ্রামে বাস করে, এদের বেশীরভাগই পুস্তকজ্ঞান সম্পন্ন না, চিন্তাভাবনা সরল প্রকৃতির। এরা বোঝে চাল-ডাল তেলের দাম। তাই সময় এসেছে ভাবার আমরা কি স্বাধীনতা রক্ষার্থে জীবন বাজী রাখতে প্রস্তুত নাকি বিভক্ত হয়ে পরাধীনতার পতাকা উড়াতে উদ্যত? আমরা কি অসাম্প্রদায়িক জাতিগত ঐতিহ্য রক্ষা করব নাকি ধর্মের নামে বিভক্ত হয়ে সাম্প্রদায়িক জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাই? আমরা কি ঐক্যবদ্ধভাবে জামায়েতে ইসলামী ,ছাত্রশিবির,হেফাজতে ইসলাম, সহ সকল ধর্মভিত্তিক দল,ধর্মব্যবসায়ী, জঙ্গী উগ্রবাদীদের প্রতিহত করতে প্রস্তুত নাকি বাংলাদেশ একটি তালেবান বা পাকিস্তানপন্থী জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সহয়াতা করব যেটি হবে নতুন কোন ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমর বা লস্ককরে তৈয়াবার ঘাটী। বাংলাদেশ হবে জঙ্গীবাদ,সন্ত্রাস বাদ রপ্তানীতে বিশ্বের শীর্ষ দেশ। আসুন এই প্রশ্নের উত্তর খুজি।

 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.