আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিল্লি দখলের ডাক মমতার

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ কারণে এক জনসভায় দিল্লি দখলের ডাক দিয়েছেন তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে গতকাল শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে ওই জনসভার আয়োজন করা হয়।
মমতা দাবি করেছেন, আগামীতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গড়ার মূল কারিগর হবে তাঁর তৃণমূল কংগ্রেস। তারাই নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে।


এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রের কাছে ভিক্ষা চাইতে যাব না। বাংলার কাছে ওদের ভিক্ষা চাইতে হবে। যেভাবে চলছি, চালাচ্ছি, তাতে আমি দিল্লি চালিয়ে দেব। এরপর দিল্লিকে কিনে নেব আমরা। ’
ভারতের লোকসভা নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

ইতিমধ্যে নির্বাচন নিয়ে দলীয় প্রচার জোরদার করেছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা বা ইউপিএ এবং বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা বা এনডিএ।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা দিয়েছেন, মেয়াদ ফুরোনোর আগেই আগামী চার মাসের মধ্যে লোকসভার ভোট হতে চলেছে। কারণ, ইউপিএ সরকার দুর্নীতিতে ডুবে গেছে।
অন্যদিকে ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষা চালিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ইউপিএ বা এনডিএ কোনো জোটই সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় গরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। দুই জোটকেই অন্য রাজনৈতিক দলের সাহায্য নিয়ে জোট সরকার গড়তে হবে।

সর্বশেষ ‘দ্য উইক’ সাময়িকীও তাদের সমীক্ষায় বলেছে, এনডিএ পেতে পারে ১৮৪টি আসন। আর ইউপিএ পেতে পারে ১৬২টি আসন।
এসব সমীক্ষা প্রতিবেদন দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বস্ত হয়েছেন যে, আগামী নির্বাচনে তৃতীয় কোনো শক্তি বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের জোট গঠন করে ক্ষমতায় আসতে পারে। এই লক্ষ্যে তিনি ইতিমধ্যে কংগ্রেস ও বিজেপিবিরোধী ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের ডাক দিয়েছেন। যদিও এ ব্যাপারে তেমন সাড়া মেলেনি।


অন্যদিকে বামদলগুলোও মুলায়ম, মায়াবতী, নবীন পট্টনায়ক, চন্দ্রবাবু নাইডু, জয়ললিতা এই নেতাদের নিয়ে একটি বিকল্প জোট গঠনের চিন্তাভাবনা শুরু করছে।
মমতা জানেন, বিজেপি বা এনডিএর দিকে ঝুঁকলে তাঁর সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক হারাতে হবে। তাই আঞ্চলিক দল নিয়ে তৃতীয় একটি ফ্রন্ট গঠনে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, নির্বাচনের ফলাফলে যদি আঞ্চলিক দলের জোটের শক্তি সরকার গড়ার মতো অবস্থানে চলে আসে, সে ক্ষেত্রে মমতা নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় তৃতীয় জোটকে সমর্থন দিয়ে বসতে পারেন। এতে তাঁর দিল্লি দখলের স্বপ্নপূরণ হতে পারে।

এমনকি মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগও আসতে পারে। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।