আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রেম বা অশ্লীল অর্জিত গল্প

অমূলক বৃথাই সব প্রচেষ্টা,ভ্রান্ত বিকল মস্তিষ্কে! ১.আব্বা তোমাকে বলেছিলাম না কয়েকদিন থেকে মাথা ব্যাথা করছে,বোধ হয় ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। রিপন তার বাবার কাছে এ কথাটি বলে তার ঘরে চলে গেল । সমস্যাটা নতুন দেখা দিয়েছে। এমনিতেই আছে তার পারিবারিক সমস্যা তার উপর ব্যক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছে । মৃত্তিকাকে কিছুতেই কিছু বুঝাতে পারছে না সে বা তার বাবা তার আবদার রাখতে অক্ষম ।

সে গ্রামের ছেলে হিসেবে তাদের অভ্যাস মত কোন সমস্যা দেখা দিলে সেও প্রকৃতির কাছে চলে যায়। মেঠো পথে হাটতে হাটতে সে চিন্তা করছে কি করা যায়? জন্মদিন তো আমার ও আসে কই আমার তো মনে পরে না আমি এদিনটা খুব ঘটা করে পালন করেছি । মৃত্তিকা শহুরে মেয়ে তাই হয়তো জন্মদিনের অনুষ্ঠান করা লাগে। কলেজে আসলে ই প্রেম করা উচিত হয় নি। কিন্তু নিজের সাথে বাবার স্বপ্নের মিল হতে গিয়ে বাবার উপদেশে শহরের কলেজে ভর্তি হওয়া ।

কলেজের সেই শুরুর দিনের শিহরন এখনও জীবিত। মনে প্রানবন্ত সুবাস লাগিয়ে এলো মৃত্তিকা । ভার্সিতে ভর্তির পরও তাদের সম্পর্ক ঠিকই ছিল ,এখন সমস্যা দেখা দিয়েছে তার ইচ্ছা প্রকাশের দিক দিয়ে পূরন করতে রিপনকে মৃত্তিকার মা বাবার সাথে দেখা করতে হবে। গিফট কি নিয়ে যেতে তা মৃত্তিকা ঠিক করে দিয়েছে । টাকা নাই কাকে বলে তা এখন অক্ষরে অক্ষরে বুঝতে পারছে।

২.দূর, কাহিনী ঐ এক রকমই ,বলে লেখক সাহেব আল আমিন বলে হাক পেড়ে তাকে পানি দিয়ে যেতে বললেন। আল আমিন দৌড়ে এসে তাকে খাবার পানি দিয়ে গেল,তিনি তাকে গোসলের পানি গরম করতে বললেন। আল আমিন পানি গরম করতে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে গেল । আল আমিন এই লেখক সাহেবকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে ভালবাসে। সে জানে যে তিনি লেখালেখি করেন।

তবে সে মাঝেমাঝে চিন্তা করে কোন দিন জিজ্ঞাসা করেই ফেলবে তিনি হঠাৎ করেই কেন মাঝে মধ্যে ধূপ জ্বালিয়ে ঘরের মধ্যে বসে থাকেন। নতুন এসাইনমেন্টটা আসলেই তাকে ভীষন কষ্ট দিচ্ছে । আল আমিনের ভালবাসার কথা তিনি জানেন । কারন তিনিই তাকে জীবনের পথে ফিরিয়ে এনে ছিলেন। হতাশাগ্রস্ত এই যুবকটি যখন মৃত্যুর পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য রেল লাইনের উপর দিয়ে হাটছিল তখন তিনিই তাকে ফিরিয়ে এনে চাকরী দিয়ে ছিলেন ।

সেদিনও সম্পাদক সাহেব তাকে ফোন করে তাড়াতাড়ি লেখা জমা দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন ,কিন্তু তিনি এখনও কিছুই লিখতে পারেন নি । তিনি লেখাকে একটু ব্যতিক্রমি করার প্রচেষ্টায় বিভিন্ন মানুষের মাথায় প্রবেশ করে কাহিনী সংগ্রহ করেন। এটাকে বোধ হয় টেলোপ্যাথি বলে । লেখক সাহেব এটা আবিষ্কার করেন হঠাৎ করেই ,র্পূবে তিনি এতটা ভাল লেখতে পারতেন না ,একদিন তিনি একটা ভাল গল্প লিখতে চেষ্টা করছিলেন কিন্তু তা লিখতে পারছিলেন না । রেল লাইনের পাশে টং ঘরে চা খেতে খেতে তার মনে হল তিনি যদি কারো মাথায় প্রবেশ করতে পারতেন ,তাহলে তার আর গল্পের অভাব হতো না ।

এটা চিন্তা করতে করতে তিনি দেখলেন একজন লোক রেললাইনের উপর দিয়ে হেটে যাচ্ছে,তিনি তার মাথায় ঢুকতে চেষ্টা করেই পেরেছিলেন যার ফলে আল আমিন এখন তার ঘরে চাকরী করছে। ৩.পরীবানু আমি এসেছি ,আমি বললাম। ঢং ছাড়েন আপনে আমার বিশেষ কেউ না যে এসেই এরকম আহ্লাদ করে বলতে হবে,পরীবানুর উত্তর। কে বলল তুমি কেউ না ? কেন আমি আপনার কেউ হই এরকম কিছু কি কখনও বলেছি। না তা বল নাই কিন্তু আমি তো তোমারে সে রকম কিছু মনে করি ।

আপনে মনে করনে কিছু নাই ,আপনে হলেন গিয়া আমাগো খদ্দের। খদ্দের হলেই বেশ্যার উপরে প্রেম ভালবাসা রাখতে নাই নাকি? আমি মনে মনে চিন্তা করলাম, তুমি জান না তুমি আমার কি অমূল্য রত্ন। তবুও আমার লগে আপনের বনব না আপনে পাথর ব্যবসায়ী আর আমি খানকী বেশ্যা ! অনেক হইছে এখন অফ যা ,আমি শান্তির জন্য আসছি আমার শান্তির প্রয়োজন,দ্বীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম। এই তো লাইনে আইছেন। এখন মাথাটা টিপে দে হঠাৎ করে মাথা ব্যাথা করছে।

বাইরে আরেক ঘরে কদ্দুস আরেকটার সাথে শুয়েছে ,জানটা তার সাথে কথা বলার জন্য আকু পাকু করছে । ৪.লেখক সাহেব কুদ্দসের বন্ধু মাথার মধ্যে ঢুকেই ভ্যাবচ্যাকা খেয়ে গেলেন। এ আজিবে এখন কি চিন্তা করে ,যার সাথে শুয়ে আছে তার ভালবাসা না পেয়ে আবার তাকেই খুন করতে চায়! এটা নিয়ে তিনি একটা ছোট গল্প লিখে পএিকায় জমা দিলেন যা মোটামোটি আলোড়ন তুলল। ৫.ধান্ধা করা তোল ,জগত চামারদের! বলেই পাগলটা হাতের ইটের টুকরো সজোরে ট্রাফিক জ্যামে পড়া একটা দামী গাড়ীর দিকে ছুড়ে মারল। এতে গাড়ীর সুন্দরী আরোহী আহত হল।

রাস্তার আশেপাশের রোমিওরা যার রূপ দেখছিল তার এ অবস্থা দেখে তাদের মাথায় রক্ত চড়ে গেল। ৬.পর দিন পএিকায় ছোট খবরে এল গন পিটুনিতে মানসিক ভারসাম্য হীন এক ভবঘুরের মৃত্যুর সংবাদ। এবং বড় হেডিং দিয়ে বড়সড় খবর এল দেশের খ্যাতনামা একজন লেখকের মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার সংবাদ।  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.