আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বাধীন দশেকে স্বাধীন কল্যানকর রাষ্ট্রে পরণিত করার সুযোগ জনগণরে কাছে

ভোটের মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হয়েছিলেন, এখন নির্বাচিত হচ্ছেন,ভবিষ্যৎ এ নির্বাচিত হবেন তাদের জন্য যে বিধি বিধান নীতিমালা রয়েছে সেগুলো কি কি তা আমরা নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে অবগত হয়ে থাকি। আমরা এও অবগত হয়ে থাকি যে নির্বাচন কমিশন,দুর্নীতি দমন ব্যুরো অসহয়ত্ব প্রকাশ করেন প্রার্থীদের খরচ নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে। বিধি বিধান,আইন নীতিমালা তৈরী,সংযোজন,বিয়োজন এমনভাবে করা হয়ে থাকে যে, সকল প্রার্থী সকল নিয়ম মানলেও ঐ নির্বাচিতদের দিয়ে বেশীরভাগ মানুষের জন্য যা হয়েছে তা হলো, হোমিওপ্যথী ওষুধের মতো ফোটা ফোটা মেপে দারিদ্রতা হ্রাসের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে,কালো টাকার পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে,সুইচ ব্যাংকে জমা বৃদ্ধি পেয়েছে,ধনীর মেয়ের হাত খরচ হয়েছে মাসে ১০ লক্ষ টাকা,নাইটক্লাব আর বেশ্যা খরচ লক্ষ লক্ষ টাকা এবং যে বেশীরভাগ মানুষের ভোট এই বাদশাহী জীবন যাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে সেই বেশীরভাগ ভোটার দরিদ্র মানুষেরা এখনও অবর্ণণীয় কষ্টকর অনিশ্চয়তায় বস্তি,ফুটফাত,গ্রামের জীর্ণ শীর্ণ ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছে। ন্যায় অন্যায় এর মূল্যবোধ বিবেচনা করলে গরীব কম খেয়ে ভাংগা ঘরে শুয়ে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেবে আর ধনীরা বেশী খাবে সব্বোর্চ ভোগ করবে তাই ন্যায় মূল্যবোধ হিসেবে স্বীকৃত। আল্লাহ প্রদত্ত সকল সম্পদ সকল মানুষ সমান সমান খাবে,সমান সমান ভোগ করবে তা অন্যায় মুল্যবোধ হিসেবে স্বীকৃত শুধু নয়,যারা একথা বলে তারা ধর্মপালন করলেও তাদেরকে নাস্তিক বলার মুল্যবোধ গড়ে তুলেছেন ধার্মিক ধনীরা।

সভ্যতা বিকশিত হওয়ার সাথে সাথে এই মুল্যবোধকে আরোও বিকশিত,শক্ত পাকাপোক্ত করেছেন। ছন্নছাড়া শয়তান মানবাধিকার লংঘনকারী আমেরিকা এবং ভারত পৃথিবীব্যাপী সভ্যতাকে সম্পদ আড়াল আর ভোগ সংস্কৃতিতে পরিণত করছে। ব্যবহার করছে ধর্ম এবং যৌনতা। স্বাধীন দেশকে স্বাধীন কল্যানকর রাষ্ট্রে পরিণত করার সুযোগ জনগণের কাছে। সেই সুযোগ বিনষ্ঠ করছে আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলি যারা পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলো এরা মুলত আমেরিকা ও ভারতের দালাল।

ধর্ম এবং নগ্নতাকে বাজারজাত করছেন। ভোট হতে হবে বর্তমান সংস্কৃতির বাইরে অর্থাৎ নতুন সংস্কৃতিতে। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলির গঠনতন্ত্রে অর্ন্তভূক্ত করতে হবে যারা রাজনীতিকে পেশা হিসেবে নিতে চান তারা কেউই ৩০ লক্ষ টাকার বেশী মালিক হবেন না। যারা সংসদ নির্বাচনে প্রাথী হবেন তারা ৩০ লক্ষ টাকার বেশী মালিক হবেন না । নির্বাচনী ইশতাহারে উল্লেখ করতে হবে আমরা যে দলই ক্ষমতায় যাই সেনাবাহিনী নৌবাহিনীর তত্বাবধানে ০-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া হবে যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে জন্ম থেকে ১৮ বছর বয়স অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিশু সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম লেখাপড়া,সম চিকিৎসা খরচ পাবে এবং ৬০ উর্দ্ধো সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া হবে যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় তত্বাবধানে স্বয়ং রাষ্ট্র নিজে সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম যতœ ,সম চিকিৎসা পরিচালনা করবে।

যারা বেশী টাকার মালিক হতে চান তারা ফ্রেশ ব্যবসা করবেন,রাজনীতি নয়,রাজনীতিকে ব্যবহার করেও নয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.