আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাবের দুনিয়ায়

Shams -কে 'আই লাভ ইউ' আবিষ্কার করছে? -চীন। - (অবাক হয়ে) কিভাবে? - এইটার কোন ওয়ারেন্টি- গ্যারান্টি নাই, নাই কোন কোয়ালিটিও। টিকলে সারাজীবন: না টিকলে ২ দিনও যায় না !!!!!!! শুধু কি ভালোবাসা? নানা পরীক্ষাও বোঝা যায় না মনটাও। এক লোক ক্যালিফোর্নিয়া উপকূল ধরে সাইকেল চালাচ্ছিল। এমন সময় হঠাৎ সে ঈশ্বরের কণ্ঠ শুনতে পেল।

ঈশ্বর তাকে বলল, তুমি এই মুহূর্তে একটি ইচ্ছার কথা বল, আমি তা পূরণ করব। সাইকেল চালক কিছুক্ষণ ভেবে বলল, আমার বাড়ি হাওয়াইতে। তুমি যদি আমেরিকা থেকে হাওয়াই পর্যন্ত একটি ব্রিজ করে দাও তা হলে আমার খুব উপকার হয়। ঈশ্বর এই কথা শুনে বলল, দেখ, আমি তোমাকে ব্রিজ তৈরি করে দিতে পারি। কিন্তু তুমিই ভেবে দেখ, এত বড় একটি ব্রিজ হবে সাগরের উপর, পিলার উঠে আসবে সাগরের তলদেশ থেকে, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে, আর মানুষ একদিনে এত বড় ব্রিজ দেখে আশ্চর্য হয়ে যাবে।

তার চাইতে তুমি এমন কিছু চাও যা তোমার ব্যক্তিগত উপকারে আসবে। লোকটি আরও কিছুক্ষণ ভেবে বলল, ঠিক আছে, তুমি আমাকে আমার স্ত্রীর মন বোঝার ব্যবস্থা করে দাও। এই কথা শুনে ঈশ্বর বলল, ইয়ে মানে ব্রিজটা তোমার কতক্ষণের ভিতর লাগবে? " শুধু কি নারীর মন পুরুষরাও কিন্তু কম যায় না। ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ আরেক বৃদ্ধের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়ে খুবই লজ্জা পাচ্ছিল যখন তার বন্ধু তার বৃদ্ধা স্ত্রীকে 'জান'- 'ময়না'-'কলিজার টুকরা' বলে ডাকছিল। যাওয়ার সময় সে তার বন্ধুকে বলল, 'বিয়ের ৪০ বছর পরেও তুমি স্ত্রীকে আদর করে এত সুন্দর করে ডাকো।

' বৃদ্ধ নিচু গলায় বলল, আমি ১০ বছর আগেই আমার স্ত্রীর নাম ভুলে গেছি! ভয়ে তার নামটা জিজ্ঞেস করতে পারিনি তাই এসব বলেই ডাকি। নানা ঠাটবাটে ভরে গেছে আমাদের জীবন। অনেকে আছে বই কিনে শুধুমাত্র শো-কিসের জন্য যেন অতিথি ভাবে গৃহকর্তা বা গৃহকত্রী কত না সৌখিন। এর এই সৌখিনটার জন্য কত কিছু না করা। কিছু অত্যন্ত ধনী লোকের জীবনযাপন কে আমরা সৌখিনতা বলি।

আসলে সেটা যে কি বিরক্তিকর তাই কী দেখেছেন? যেমন : প্রশ্ন : কি পান করবেন? ফলের জুস, চা, কফি, মিল্ক সেক, সোডা, কোল্ড ড্রিংক? উত্তর: না ধন্যবাদ, শুধু চা। প্রশ্ন : সিলন চা, লাল চা, গ্রিন টি, হারবাল টি, আইস টি, নাকি হানি টি? উত্তর: সিলন চা। প্রশ্ন: কোনটা? ব্ল্যাক না হোয়াইট? উত্তর: হোয়াইট প্রশ্ন: দুধ, কন্ডেন্স মিল্ক নাকি হোয়াইটনার? উত্তর: দুধ। প্রশ্ন: ছাগলের, গরুর নাকি উটের? উত্তর: গরুর দুধ দেন। প্রশ্ন: আফ্রিকান গরু নাকি দেশী গরুর? উত্তর: দেশী।

প্রশ্ন: ঠাণ্ডা নাকি গরম? উত্তর: গরম। প্রশ্ন: ফুল ক্রিম, লো ফ্যাট নাকি ফ্যাট ফ্রি? উত্তর: থাক লাগবে না, আপনি বরং হোয়াইট টি-ই দিন। প্রশ্ন: মিষ্টি হিসেবে কি খাবেন, চিনি, সুইটনার নাকি মধু? উত্তর: চিনি দিন। প্রশ্ন: আখের চিনি নাকি বিট সুগার? উত্তর: আখের চিনি। প্রশ্ন: চিকন দানার নাকি মোটা দানার? উত্তর: আচ্ছা বাদ দেন আমার কিছু লাগবে না।

শুধু এক গ্লাস পানি দেন। প্রশ্ন: মিনারেল নাকি নরমাল? উত্তর: মিনারেল প্রশ্ন: বোতলের নাকি ক্যান এর? উত্তর: থাক কিছুই লাগবে না। আমি যাই। আমদের দেশে এখনও অনেক জায়গা আছে সেখানে সাধারণ পোশাকে ঢুকা যাবে না। ঢুকলে তো অভিজাত থাকবে না।

জাত চলে যাবে! এ নিয়ে সর্বাধিক প্রচলিত একটা কৌতুক আছে সেটা হল : এক লোক মরুভূমিতে পথ হারিয়ে হাঁটছিল। তৃষ্ণায় তার প্রাণ যায় যায় অবস্থা। এমন সময় সে ব্যাগ নিয়ে এক লোককে গাছের নিচে বসে থাকতে দেখল। - আমাকে একটু পানির সন্ধান দিতে পারবে? জানতে চাইল লোকটি। - হাঁ, যদি তুমি আমার কাছ থেকে একটা টাই কেন যার দাম ৫০ ডলার।

রেগে মেগে তৃষ্ণার্ত লোকটি বলল, তোমার অমন উল্টাপাল্টা দামের টাই আমার দরকার নেই। পানির খবর বল নইলে তোমার খবর আছে। টাইওয়ালা বলল, ঠিক আছে। বলছি। এখান থেকে পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে গেলে সুন্দর একটা হোটেল দেখতে পাবে।

সেখানে ঠাণ্ডা পানি পাওয়া যায়। আমার ভাই ওই জায়গার মালিক। লোকটি পশ্চিমে রওনা হওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা কেটে গেল। এরপর আবার টাইওয়ালার কাছে ফিরে এলো সে। - হোটেলের মালিক তোর ভাই আরেক হারামজাদা, টাই ছাড়া নাকি আমাকে ওখানে ঢুকতে দেবে না।

ভাবের এ দুনিয়া ভাব ছাড়া আর কি আছে? ভাব মেরে যায় যে যে ভাবে পারে। তিনটি ইঁদুর এক সাথে গল্প করতেছে। ১ম ইঁদুর : জানিস আমি এক বোতল ইঁদুর মারার বিষ খেয়েও বেঁচে আছি। ২য় ইঁদুর : আমি তো ফাঁদে আটকে গেছিলাম কিন্তু ফাঁদ ভেঙে বের হয়ে এসেছি। ৩য় ইঁদুর : দোস্ত তোরা বসে বসে গল্প কর, আমি একটু আমার পোষা বিড়ালটাকে খাবার দিয়ে আসি।

অনেক কথা বললাম সর্বশেষ একটা গল্প বলি : ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রথম প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করলেন তিনি, 'দেখুন, এ পেশায় খুব মনোযোগী হতে হয়, অনেক সূক্ষ্ম ব্যাপার খেয়ালে রাখতে হয়। আপনি কি আমার সম্পর্কে এমন কিছু খেয়াল করতে পারছেন?' প্রার্থী একগাল হেসে বলল, 'নিশ্চয়ই স্যার। আপনার তো দুটা কানই কাটা!' রিয়াদ সাহেব গর্জে উঠলেন, 'বেরো এখান থেকে, ব্যাটা নচ্ছার!' দ্বিতীয় প্রার্থীকেও একই প্রশ্ন করলেন তিনি। 'দেখুন, এ পেশায় খুব মনোযোগী হতে হয়, অনেক সূক্ষ্ম ব্যাপার খেয়ালে রাখতে হয়। তা, আপনি কি আমার সম্পর্কে এমন কিছু খেয়াল করতে পারছেন?' দ্বিতীয় প্রার্থী খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে বলল, 'জ্বী স্যার।

আপনার তো দুটা কানই কাটা!' রিয়াদ সাহেব গর্জে উঠলেন, 'বেরো এখান থেকে, ব্যাটা ফাজিল!' তৃতীয় প্রার্থীকেও একই প্রশ্ন করলেন তিনি। 'দেখুন, এ পেশায় খুব মনোযোগী হতে হয়, অনেক সূক্ষ্ম ব্যাপার খেয়ালে রাখতে হয়। আপনি কি আমার সম্পর্কে এমন কিছু খেয়াল করতে পারছেন?' এবার প্রার্থী বলল, 'জ্বী স্যার। আপনি কন্টাক্ট লেন্স পরে আছেন। ' রিয়াদ সাহেব খুশি হয়ে বললেন, 'বাহ, আপনি তো বেশ: তা কিভাবে বুঝলেন?' 'সোজা।

আপনি চশমা পরবেন কিভাবে, আপনার তো দুটা কানই কাটা!' ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।