আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইরান বনাম ইসরাইল, মিয়ানমার বনাম বাংলাদেশ

আমি সত্যের এবং সুন্দরের পুজারী। কজন মানুষের সাথে হাসিমুখে মিষ্টি ভাষায় যারা কথা বলে তাদের প্রতি আমার অপরিসীম শ্রদ্ধা । আর যারা নিজেদের অনেক বড় ভাবে, তাদের প্রতি আমার রয়েছে করুণা । চারিদিকে গুজব চলছে ইরানের উপর সম্ভাব্য ইসরায়েলী হামলা নিয়ে। এটা কে বলা হচ্ছে Preemptive strike on Iran's nuclear facilities. ইসরাইল যেমন ইরানের উপর হামলা কে খুব ই সম্ভাব্য বলতেছে, একি ভাবে ইরান ও ইসরাইলের এ হুমকি কে একটু কম ই গুরুত্ব দিচ্ছে।

কিন্তু এ অঞ্চলে আরেকটা যুদ্ধ আসলেই হবে কিনা, তা নিশ্চিত না, কিন্তু যদি হয়, তা কি আসলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করতে পারে ? আমার মত মানুষ যারা যুদ্ধের ইতিহাস পড়ে উত্তেজনা বোধ করি, কিন্তু সত্যিকার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে চাই না, তাদের জন্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সামান্যতম সম্ভাবনা ও কিছুটা চিন্তার কারণ। তবে এ ২ দেশ ই অনেক দিন ধরে নিজেদের প্রস্তুত করছে। বছরের পর বছর ধরে নিজেদের প্রস্তুত করছে, আরো উন্নত করছে। সামনের সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহে আন্তর্জাতিক আণবিক কমিশনের রিপোর্টের উপর নির্ভর করেই হয়ত বিশ্বশক্তি তাদের পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করবে। আমার এ আলোচনার কারণ আসলে ইরান-ইসরাইল না, আসল উদ্দেশ্য বাংলাদেশ- মিয়ানমার যুদ্ধ সম্ভাবনা র উপর ।

২০০৮ সালে এবং ২০০৯ সালেও বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার প্রায় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। যতদূর জানা যায় , বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমার বিশাল সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করায় আর বাংলাদেশের অমীমাংসিত সমুদ্রব্লকের অদূরেই অবস্থান নেয় মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ একিসাথে সামরিক এবং কুটনৈতিক ততপরতা শুরু করে। সীমান্তে ততকালীন বিডি আর, আর ভেতরে ভেতরে মিলিটারি প্রিপারেশন আর সমুদ্রে বাংলাদেশের ৩ টা ফ্রিগেট প্রবেশ করে।

বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা মিয়ানমারের সামরিক জান্তা র সাথে আলোচনায় বসে এবং এতদঞ্চলে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে চীন গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এরপর আরো ৩ টা বছর পার হতে চলল। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘেটে জানা যায়, সামনে যুদ্ধ লাগতে পারে, এই আশংকায় ২ দেশ ই তাদের সামরিক, বিমান এবং নৌ সক্ষমতা বাড়াতে থাকে। মিয়ানমার সম্পর্কে জানা যায় তারা সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বাংকার খোড়া শুরু করেছে প্লান মাফিক, এমন কি তারা অনেক গ্যারিসন ও সম্ভবত সরিয়ে আঞ্ছে এদিকে। একি সাথে উত্তর কোরিয়া এবং চীনের সহায়তায় পাহাড়ের ভিতরে পারমাণবিক চুল্লী তৈরি শুরু করেছে বলেও জানা যায়।

বিমান সংগ্রহের দিকে ও আছে তাদের নজর। পক্ষান্তরে দেখা যায় বাংলাদেশ তাদের নৌবাহিনী কে শক্তিশালী করতে চায়। এজন্য হেলিকপ্টার, মেরিটাইম প্লেন, ২০২০ সালের মাঝে সাবমেরিন যুক্ত করার পরিকল্পনা, এর মাঝে ব্রিটিশ ৩ টা পুরানো জাহাজ কে সংগ্রহ করে ঘষামাজা করে উপযুক্ত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী র জন্য উপযুক্ত করে নেয়া , আরো অনেক কাজ চলছে। শান্তি মিশনে কাজ করার কারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ সরকার অনেক বৈদেশি মুদ্রা অর্জন করছে ঠিক ই, বাংলাদেশের অনেক জাহাজ রক্ষনাবেক্ষন ও এই টাকায় করা হচ্চে হয়ত, বাংলাদেশের নৌবাহিনী সামরিক বাহিনীর সদস্যরা অনেক অত্যাধুনিক জিনিস চালাতে পারছেন তো ঠিক ই, কিন্তু বাংলাদেশ আসলে কি সামরিক দিকে দিয়ে এখনো শক্তিশালী ? এছাড়া ওই সময়ে আরো দেখা গেছে, বৈদেশিক নীতিতে আমাদের অবস্থা "ধরি মাছ না ছুঁই পানি" র কারণে যুদ্ধের সময় আমদের সত্যিকার বন্ধু রাষ্ট্র একজন ও নেই। এমনকি আমাদের দেশের অবস্থান একেবারে নিম্নভূমি বা সমতল ভূমিতে হওয়ার কারণে শত্রু বিমান বা মিসাইলে আঘাতে প্রচুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আবার যুদ্ধ যদি আমরা ফুল স্কেল এ করি , তাহলে সে যুদ্ধ আমাদের কতদিন চালানোর সামর্থ্য আছে সেটা ও একটা ব্যাপার। আমি রাষ্ট্র নেতা ও না, বিরোধী দলীয় নেতা না, সামরিক বিশেষজ্ঞ বা এনালিস্ট ও না, তবে এসব ব্যাপারে কৌতুহলী। আর যেহেতু বাংলাদেশ ২০০৮ সালে একেবারে মিয়ান্মারের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল, আমি ভরসা রাখতে চাই, আমাদের গর্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর এবং বাংলাদেশ থিংক্ট্যাংকের উপর। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.