আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেহরি খাওয়ার ফযিলত, সেহরি খাওয়ার উপর গুরত্ব আরোপ, বিলম্বে সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব এবং অবিলম্বে ইফতার করা মুস্তাহাব

কখনও আল্লাহ কে দোষারোপ করবেন না এই বলে যে, আল্লাহ কেন আপনার দোয়া সাথে সাথে কবুল করেন না, বরং শুকুরিয়া আদায় করুন এই জন্যে যে, আল্লাহ আপনার পাপের জন্য সাথে সাথেই শাস্তি দেন না । আমিন ২৪১৫। আনাস (রা) থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাই ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “ তোমরা সেহেরি খাবে, কেননা সেহরিতে বরকত রয়েছে’ ২৪১৬। আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাই ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “ আমাদের রোজা এবং আহলি কিতাব (ইহুদি ও খৃস্টান সম্প্রদায় ) এর রোজার মধ্যে পার্থক্য হল সেহরি খাওয়া’’ ২৪১৮। জায়েদ বিন সাবিত (রা) থেকে বরনিত।

তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাই ওয়াসাল্লাম এর সাথে সেহরি খেয়ে ফজরের নামাজের উদ্দেশে দাঁড়ালাম। আমি(আনাস) বললাম, সেহরি ও নামাজ এ দুয়ের মধ্যে ‘সময়ের কতটুকু ব্যবধান ছিল ? তিনি বললেন, “ পঞ্চাশ আয়াত পাঠ করার পরিণাম সময়” ২৪২০। সাহল ইবনে সা’দ (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাই ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “মানুষ যতদিন বিলম্ব না করে ইফতার করবে ততদিন তারা কল্যাণের সাথে থাকবে। ২৪২২।

আবু আতিয়্যাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি ও মাসরুক আয়েশার (রা) নিকট গিয়ে বললাম, হে উম্মুল মুমিনীন ! রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাই ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের মধ্যে এমন দুই ব্যাক্তি রয়েছেন যাদের একজন ইফতার ও নামাজ উভয়টিই বিলম্ব না করে সম্পন্ন করেন আর অপরজন ইফতারও দেরিতে করেন এবং নামাজও দেরিতে পড়েন। তিনি বললেন, এ দুজনের মধ্যে কে ইফতার ও নামাযে বিলম্ব করেন না ? আমরা বললাম, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা)। তিনি বললেন, “রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাই ওয়াসাল্লামও এরূপ করতেন। রাবি আবু কুরাইবের বর্ণনায় উল্লেখ আছে, আর দ্বিতীয় বাক্তি (যিনি ইফতার ও নামাযে বিলম্ব করেন) হলেন আবু মুসা (রা)।

মুসলিম শরীফ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।