আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকার ফ্রান্স দূতাবাসে বিড়াম্বনা

বিবর্ণ জীবনে কয়েক ফোটা রং...... অফিসের কাজে লন্ডন যাচ্ছি আগামী ২৬ নভেম্বর। অফিসের কাজ ১ সপ্তাহের হলেও ঘোরাফেরার জন্য আমি অতিরিক্ত আরও এক সপ্তাহ ছুটি নিয়েছি। লন্ডন সফর এবারই প্রথম নয়। তাই ভাবলাম এই সুযোগে একাবার প্যারিস ঘুরে আসি। মনস্থির করে প্যারিস যাবার সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলার সাথেসাথেই অনলাইনে প্যারিসের হোটেল বুক দিলাম।

পেমেন্ট অগ্রীম দিতে হল পুরোটাই। তবে বুকিং বাতিল করার সুযোগ আছে বিনা ফী তে, চেক ইন তারিখের কমপক্ষে ৩ দিন আগে। আর লন্ডন-প্যারিস-লন্ডন যাতায়াতের জন্য ইউরোস্টার ট্রেনের টিকিট কাটলাম অনলাইনে। আমার ফরেন কারেন্সি একাউন্টের বিপরীতে আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ড আছে। তাই আমি অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারি।

যাইহোক, শুরুতেই গেল প্রায় ৫৫০ ডলার। সবকিছু ঠিক করে আজ সকালে গেলাম ঢাকার ফ্রান্স দূতাবাসে। ফোন করে আর ওয়েবসাইট দেখে জানলাম, ভিসার আবেদন নেয়া হয় সকাল ৮টা ৩০ থেকে ১২টা ৩০ পর্যন্ত। সে হিসেবেই আমি ২৫ তারিখে মিরপুর -১ থেকে ভোরে রওনা হয়ে অসহ্য রকম যানজট ঠেলে সকাল ১০টা ৩০ এ গিয়ে পৌছালাম ঢাকার ফ্রান্স দূতাবাসে। কিন্তু ভাগ্য খারাপ।

গিয়ে শুনি, তারা ঠিকই সকাল ৮টা ৩০ থেকে ১২টা ৩০ পর্যন্ত ভিসার আবেদন জমা নেয়, কিন্তু সে জন্য আবার টোকেন সংগ্রহ করতে হয় সকাল ৭টা ৩০ এর আগেই। বোঝেন কেমন লাগে। অথচ, এ তথ্যটা তাদের ওয়েবসাইটে নেই। এখন আবার আমাকে কষ্ট করে পরেরদিন ভোর রাতে রওনা হতে হল। এবার গিয়ে পৌছালাম, ঠিক ৬.৪৫ এ।

৭.৩০ এ টোকেন দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হল ৮.০৫ এ। টোকেন পেলাম। আবেদন জমা নেয়া শুরু হল ৯ টায়। ভেতরে গিয়ে এক কর্কশ কন্ঠী তরুণীর সামনে পড়তে হল। সে আবেদন জমা নেয়।

তার কথা বলার ধরন খুবই আক্রমণাত্নক। ভিসা প্রার্থীদের সে মনে করে সম্ভবত রাস্তার কুকুর। যাইহোক, কাগজ জমা দিয়ে, ফিংগার প্রিন্ট দিয়ে আবার অপেক্ষা। এরপর এক ফরাসি লোক ডেকে নিল। সে সব কিছু চেক করে।

আমাকে বলে, বাতিলের সুবিধা সম্পন্ন হোটেল বুকিং তারা গ্রহণ করে না। আমাকে নাকি এমন বুকিং ভাউচার জমা দিতে হবে যেখানে টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না, নন-রিফান্ডেবল। কি আর করা। পরেরদিন নন-রিফান্ডেবল ভাউচার জমা দিব বলে আবেদন টি রাখহার অনুরোধ করলাম। তারা রেখে দিল।

ফিরে এসে আবার সেই হোটেলের সাথে যোগাযোগ করলাম। বললাম, আমাকে একটা নন-রিফান্ডেবল ভাউচার দিতে। ই-মেইলে তারা সেটা আমাকে পাঠিয়ে দিল। সেটা নিয়ে আমাকে আবার পরেরদিন কাকডাকা ভোরে রওনা হতে হল ঢাকার ফ্রান্স দূতাবাসে। পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার তারিখ ৯ নভেম্বর।

দেখি ভিসা দেয় কি না। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।