আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাবনার ২১ জন হজযাত্রী এবার হজে যেতে পারছেন না!

টাকা জমা দিয়ে সকল প্রস্তুতি শেষ করার পরও পাবনার ২১ জন হজযাত্রী এবার হজে যেতে পারছেন না। হজে যেতে না পারার কষ্টের পাশাপাশি এসব হজে গমনেচ্ছুরা তাদের প্রদান করা অর্থ ফেরত পাওয়া না পাওয়ার অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। আলাপকালে জেলার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের কলাবাগান গ্রামের এলাকার মেজবাহ উদ্দিন জানান, স্ত্রী রোকেয়া বেগম, বড় দুই বোন রাজিয়া বেগম, সবুরা বেগম এবং তিনি নিজে সহ তার পরিবারের মোট ৪ সদস্য এবছর পবিত্র হজ পালনের নিয়ত করেছিলেন। হজে যাওয়ার জন্য জনপ্রতি ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা করে চারজন মোট ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা ‘দি বরিশাল ট্রাভেলস অ্যান্ড টুরস’-এর রিসিটে পাবনার হজ্ব এজেন্ট আব্দুল মজিদ সেলিম এর কাছে জমা দেন তিনি। ট্রাভেল এজেন্সী থেকে তকে জানানো হয়েছিল এই টাকায় কোরবানী বাদে হজে যাওয়া আসা, থাকা খাওয়া সহ সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।

কিন্তু গত সোমবার রাতে দূর্বৃত্তদের হাতে খুন হন ওই হজ এজেন্সীর পাবনাস্থ এজেন্ট ও স্কুল শিক্ষক আব্দুল মজিদ সেলিম (৪৮)। তার মৃত্যুর পর জানা যায়, মোট ৮৯ জন হজ্ব গমনেচ্ছুদের টাকা সেলিম তার ব্যবসায়িক পার্টনার রাজেম উদ্দিন (৪০)’র মাধ্যমে লেনদেন করতেন। সেলিম হত্যাকান্ডের পর ট্রাভেল এজেন্সী থেকে ওই সকল হজ যাত্রীদের জানানো হয়, সেলিমের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাড়ী ভাড়া বাবদ ১ কোটি ৭ লাখ তাদের কাছে পরিশোধ করা হয়েছে। বাকী টাকা পরিশোধ না করা হলে হজে গমনেচ্ছুদের নিয়ে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। নিরুপায় হয়ে হজে গমনেচ্ছু ৮৯ জনের মধ্যে ৬৮ জন বিভিন্নভাবে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করে জনপ্রতি ১ লাখ ১১ হাজার টাকা করে পুনরায় ট্রাভেল এজেন্সীর অ্যাকাউন্টে টিটি করে হজে যাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কিন্তু অতিরিক্ত এতো বিপুল পরিমান অর্থ যোগাড় করা আটঘরিয়ার মেজবাহ উদ্দিন বা তার পরিবারের হজে যেতে আগ্রহী বাকী তিন সদস্যের পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় তারা এবার হজে যেতে পারছেন না। একইভাবে টাকা পয়সা জমা দেবার পরেও শেষ মূহুর্তে এসে হজে যেতে পারছেন না মোট ২১ জন। সকল প্রস্তুতির পরেও যে ২১ জন হজে যেতে পারছেন না তারা হলেন, আটঘরিয়া উপজেলার জাবেদ আলী সরদার, আব্দুস সামাদ, মেজবাহ উদ্দিন, রোকেয়া বেগম, সবুরা বেগম, রাজিয়া বেগম, মমতাজ বেগম, নবীনূর রহমান, নুরজাহান বেগম, চাটমোহর উপজেলার আবুল হোসেন, আব্দুল হাই চাঁদ মোল্লা, নাজিম উদ্দিন মোল্লা, মুসা প্রামানিক, নাজির হোসেন, খন্দকার শাহজালাল, ঈশ্বরদী উপজেলার মোক্তার হোসেন, মোসলেম উদ্দিন এবং আতাইকুলা থানার হাফিজা বেগম, নুরজাহান বেগম, আব্দুল মোমিন ও তোফাজ্জল হোসেন। নিজেদের আর্থিক ও মানসিক দূরবস্থার কথা জানিয়ে হজ গমনেচ্ছু আমজাদ হোসেন, নাজিমুদ্দিন মোল্লা সহ অনেকেই বলেন, হজেও যেতে পারলাম না, আবার প্রদান করা এতগুলো টাকা ফেরত পাবো কিনা তাও জানিনা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.