আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিল্লী কি ধর্ষণের রাজধানী?

প্রশ্নটা আমার নয়। এটা টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি লেখার শিরোণাম। ধর্ষণ একটি প্রাচীণ বিষয়। ভারত একটি প্রাচীণ দেশ। ভারতের রাজা মহারাজারা ধর্ষণ করতেন কিনা জানা যায় না।

তবে তাদের হেরেমে শত শত নারী ছিলো। তারা ভোগ করতেন। ভারত থেকেই কামসূত্র নামের বিখ্যাত কামলীলার কৌশলসমৃদ্ধ সচিত্র বই বের হয়েছে। যদিও পরবর্তীকালে ইংরেজ ও আমেরিকানরা ভারতের কাছ থেকে কামলীলার তথ্য জেনে নিয়ে নিজেরা পর্ণোগ্রাফির বিশাল বাজার তৈরি করে অর্থকড়ি কামাচ্ছে। যেসময়ে রাজা মহারাজারা হেরেমে নারী ভোগে ব্যস্ত ছিলেন তখনও প্রজারা তাদেরকে খাজনা দিতো।

আর এখন প্রজারা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা দেয়। তবে এই লেখার আলোচ্য বিষয় তা নয়। আমার এক প্রাক্তন সহকর্মী দিল্লীতে থাকে। তার একটি মিনি ইন্টারভিউ এখানে ছাপাতে পারলে ভালো হতো। দেখি সে ফেসবুকে আছে কিনা? তাকে মেসেজ পাঠিয়ে এলাম।

সে হলো গবেষক মানুষ। অবশ্য তার গবেষণার বিষয় শিক্ষা। ধর্ষণ তো শিক্ষার অভাবের কারণেই হয় নাকি? হয়তো একটা কিছু লিঙ্ক করা যাবে। আপাতত লেখাটা শেষ করি। ভারতে ধর্ষণের দিক থেকে এগিয়ে আছে রাজধানী দিল্লী।

অনেকবছর ধরেই দিল্লী তার শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। প্রিয় শয়তান দিল্লী, অনেকে আদর করে ডাকছে দিল্লীকে। তো এই শহরে ২০১০ সালে ৪০০ এর বেশি ধর্ষণ হলেও ২০১১ সালে ৫৬৮টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মুম্বাইয়ে ২০১০ সালে ধর্ষণ ছিল ২০০ এর কম। ২০১১ সালে ২১৮টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর হিসেব থেকে বললাম। দিল্লী কতোদিন ধরে তার শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে? উত্তর হলো ২০০৭ সাল থেকে। দিল্লীর পর আছে মুম্বাই, ভূপাল, পুনে ও জয়পুর। এতো গেলো শহরের হিসেব। তবে আপনি যদি রাজ্যের হিসেব নেন তবে তালিকার শীর্ষে পাবেন মধ্য প্রদেশকে।

তারপর পশ্চিমবঙ্গকে। মধ্য প্রদেশে দিনে ৪২টি মেয়ে ধর্ষিত হয়। পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য সংখ্যাটি কিঞ্চিত কম, দিনে ৩১ জনের মতো। তৃতীয় অবস্থানে থাকা উত্তর প্রদেশ খুব একটা পিছিয়ে নেই। এমনকি চতুর্থ অবস্থানে থাকা আসামও সমান তালে লড়াই করে যাচ্ছে।

উল্লেখ করা যেতে পারে উত্তর প্রদেশ ২০১০ সালে চতুর্থ অবস্থানে ছিলো। ২০১১ সালে তারা এক ধাপ উত্তীর্ণ হয়ে বলব নাকি অবনতি ঘটিয়ে তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে। মহারাষ্ট্রের অবস্থান হলো পঞ্চম। উত্তর প্রদেশে দিনে ২৪ জন, আসামে দিনে ২২ জন এবং মহারাষ্ট্রে দিনে ২১ জন ধর্ষিত হচ্ছে। যারা ধর্ষণ করছে তাদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে এবং যারা ধর্ষিত হচ্ছে তাদের বয়স ৩০ থেকে ৪৫ এর মধ্যে।

ধর্ষকদের গ্রেফতারও করা হচ্ছে। তাতে দেখা যায় প্রায় ৯০০০ ধর্ষকের বয়স ৪৫ বছরের বেশি। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, ৪,৪৬১ জনের বয়স ১৮ বছরের কম। যাদেরকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। প্রশ্ন হলো ধর্ষণ কি সামাজিক সমস্যা নাকি আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যা? নাকি এটি শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা? নাকি পারিবারিক? উত্তর যেটাই হোক না কেন, আমাদের সমাজে যাতে এই ধরনের কালো ব্যাধি বাসা বাধতে না পারে সেলক্ষ্যে সতর্ক হতে হবে।

দিল্লী না পারলেও ঢাকা পারবে এবং কিভাবে করতে হয় সেই জ্ঞান সেখানে দেবে সেটা আশা করি। কারণ এটা একটা মানবিক ইস্যু। এটাকে রাজনৈতিক সম্পর্ক দিয়ে বিচার করা ঠিক হবে না Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।